সফল প্রেমের গল্প (চতুর্থ পর্ব)
সে নিজে মার খাওয়ার জন্য যতোটা না কষ্ট পেয়েছিলো মেয়েটার পরিবারের সাথে হওয়া এই অত্যাচারের কথা শুনে তার থেকে অনেক বেশি কষ্ট পায়। সে শুধু চিন্তা করতে থাকে তার ভালোবাসার মানুষটা না জানি কি অবস্থায় রয়েছে? কয়েকদিন পরে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে সাব্বির আবার যায় সেই মেয়েটার সাথে দেখা করতে। কিন্তু মেয়েটা এবার তাকে সাফ জানিয়ে দেয় এই সম্পর্ক রাখা আর তার পক্ষে সম্ভব না। ছেলেটা যখন কারণ জিজ্ঞেস করে তখন মেয়েটা জানায় তার বাবার লোকেরা এসে তাদেরকে হুমকি দিয়ে গেছে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
বলে গেছে যদি মেয়েটা আর কখনো সাব্বিরের সাথে দেখা করে তাহলে তার পুরো পরিবারকে মেরে ফেলবে। সাব্বির মেয়েটার কাছে অনেক অনুনয় বিনয় করে। কিন্তু মেয়েটা তার পরিবারের কথা ভেবে তাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। কিন্তু সাব্বির ও নাছোড়বান্দার মতো মেয়েটার পিছু লেগে থাকে। শেষ পর্যন্ত মেয়েটার মন নরম হয়। কিন্তু মেয়েটা তাকে জিজ্ঞেস করে যে এভাবে আর কতদিন চলবে? তখন সাব্বির মেয়েটাকে প্রস্তাব দেয় চলো আমরা পালিয়ে বিয়ে করি। বিয়ে করে এখান থেকে আমরা অন্য কোথাও চলে যাবো। মেয়েটা প্রথমে তার পরিবারের কথা ভেবে সাব্বিরের প্রস্তাবে রাজি হয় না।
কিন্তু সাব্বিরের ভালোবাসার কাছে একসময় সে আত্মসমর্পণ করে। তারপর দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ে করে সেদিনই তারা তাদের এলাকা ছেড়ে পাশের জেলাতে চলে যায়। কিন্তু ঝোঁকের মাথায় বিয়ে করে তারা দুজনই বেশ বিপদে পড়ে। বাড়ি থেকে পালিয়ে আসার সময় সাব্বির খুব একটা বেশি টাকা আনতে পারেনি। যার ফলে অল্প কয়েক দিনেই তার কাছে থাকা টাকা শেষ হয়ে যায়।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সাব্বিরের মতো অসংখ্য ছেলের এমন কাজ করে। অবিভাবকেরা রিলেশনশিপ মেনে না নেয়া অসংখ্য ছেলেমেয়ে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলে। খুবই সুন্দর একটি ধারাবাহিক গল্প আমাদেরকে উপহার দিচ্ছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি ধারাবাহিক গল্প আমাদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য।
সাব্বির একেবারে ঠিক কাজ করেছে। কারণ ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেললে সারাজীবন আফসোস করতে হয়। তারা দু'জন যেহেতু পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে, এতে করে সাময়িকভাবে টাকা-পয়সার সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু পরবর্তীতে সাব্বির কোনো কাজ করলে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।