আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৪৯|শেয়ার করো তোমার ইউনিক শীতের পিঠা রেসিপি।|ক্ষীর করলা পিঠা|
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি আজ একটি রেসিপি ব্লক নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৪৯ শেয়ার করো তোমার ইউনিক শীতের পিঠা রেসিপি।আয়োজন করার জন্য প্রথমে আমাদের শ্রদ্ধেয় ফাউন্ডার দাদা,এডমিন মডারেটর প্যানেলের সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।আমাদের প্রিয় এডমিন @nusuranur আপু শীতের পিঠা রেসিপি প্রতিযোগিতা ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ভাবছি কি পিঠার রেসিপি দেওয়া যায়!ভাবতে ভাবতেই শরীর টা বেশ খারাপ হয়ে গেলো, আর এর মধ্যে সময় শেষ হয়ে গেলো।তখন মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেছে।তারপর সাপ্তাহিক হ্যাংআউট এ আবার যখন নুসুরা আপু সময় বাড়িয়ে দিলেন তখন আবার একটু স্বস্তির আশ্বাস পেলাম।রান্না বিষয়ক যেকোনো প্রতিযোগিতা হলে আমার অনেক ভালো লাগে। তার কারন আমি নতুন নতুন রেসিপি করতে অনেক ভালোবাসি।
শীতকালে বাজারে গেলে চারদিকে শুধু সবজির সমাহার দেখতে পাওয়া যায়।সবুজ সবজি দেখতে খুবই ভালো লাগে যা চোখের প্রশান্তি এনে দেয়।তাই সেই ভালোলাগা থেকেই প্রিয় সবজি করলা পিঠা তৈরি করলাম।🙂চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক-
"ক্ষীর করলা পিঠা"
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
গরুর দুধ | হাফ কেজি |
কনডেন্স মিল্ক | হাফ কৌটা |
গুঁড়া দুধ | হাফ কাপ |
চালের গুঁড়া | হাফ কাপ |
ময়দা | হাফ কাপ |
চিনি | ২ টেবিল চামচ |
কাজুবাদাম | ১০ টা |
কাঠবাদাম | ১০ টা |
কিসমিস | পরিমাণ মতো |
গ্রিন ভুড কালার | সামান্য পরিমাণ |
সবুজ শাকের ডাঁটা | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি,তারপর গরুর দুধ দিয়ে দিয়েছি।তারপর নেড়েচেড়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এবার কনডেন্স মিল্ক গুলো দিয়ে দিয়েছি, তারপর ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।এবার স্বাদমতো চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
এবার বাদাম কুঁচি ও কিসমিস গুলো দিয়ে দিয়েছি।তারপর ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।এবার গুঁড়ো দুধ গুলো দিয়ে অল্প আঁচে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দুধের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
সবগুলো উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে,অল্প আঁচে অনেকক্ষণ ধরে নেড়েচেড়ে দুধগুলো ঘন করে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
দুধ ঘন হয়ে আসলে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে বারবার নেড়েচেড়ে দুধগুলো ক্ষীর করে নিয়েছি।লাল লাল আঠালো হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপঃ
এবার চুলায় আবার কড়াই বসিয়ে দিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়েছি।তারপর সামান্য একটু লবণ ও স্বাদমতো চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপঃ
এবার সামান্য পরিমাণে গ্রীন ফুড কালার তারপর সামান্য পরিমাণে সয়াবিন তেল দিয়ে ভালোভাবে জলগুলো ফুটিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপঃ
জল ফুটে উঠলে চালের গুঁড়া ও ময়দা একসাথে মিশিয়ে নিয়ে দিয়েছি।তারপর আটাগুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি।শক্ত হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করতে দিয়েছি।
নবম ধাপঃ
এবারে সিদ্ধ করা আটা গুলো ঠান্ডা হয়ে আসলে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে একটা সফট ডো তৈরি করে নিয়েছি।তারপর ছোট ছোট গুটি করে দুই হাতের সাহায্যে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গোলাকার আকৃতি তৈরি করে নিয়েছি।
দশম ধাপঃ
এবার দুই হাতের সাহায্যে ছোট ছোট বাটির মতো করে বানিয়ে নিয়েছি।তারপর সেই বাটির মাঝখানে ক্ষীরের পুর দিয়েছি।দুই হাত দিয়ে চেপে চেপে পুলি পিঠার আকৃতি করে সবগুলো বানিয়ে নিয়েছি।
একাদশ ধাপঃ
এবার অপর পিঠে আবার হাতের সাহায্যে চিমটি কেটে কেটে সাইড গুলো ডিজাইন করে নিয়েছি।তারপর আবার মাঝখানে করলার শিরের মত করে চিমটি কেটে কেটে ডিজাইন করে নিয়েছি।সবশেষে কাটা চামচের সাহায্যে মাঝখানে একটু ছোট ছোট দাগ টেনে নিয়েছ।তারপর একদম শেষে নিচের দিকে বোটার অংশে শাকের ডাটা ভিরতে দিয়ে করলার ডাটা তৈরি করে নিয়েছি।একইভাবে সবগুলো করলা আকারে তৈরি করে নিয়েছি।
দ্বাদশ ধাপঃ
এবার রাইস কুকারে পরিমাণ মতো জল দিয়ে স্টিমার টা বসিয়ে হাতে সামান্য পরিমাণে তেল নিয়ে পুরোটা মেখে নিয়েছি।তারপর একে একে প্রতিটা করলা মাঝখানে বসিয়ে দিয়েছি।এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
শেষ ধাপঃ
১৫থেকে ২০ মিনিট স্টিম করে নিয়েছি।তারপর একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার ক্ষীর করলা পিঠা রেসিপিটি।
পরিবেশন
শীতের সময় বলে কথা তাই শাকসবজি দিয়ে পিঠা গুলো সাজিয়ে নিয়েছি।এখন খাওয়ার জন্য প্রস্তুত মজাদার ক্ষীর করলা পিঠা রেসিপিটি।উপরে দেখতে করলাম মনে হবে তেতো কিন্তু মুখে দিয়ে কামড় দিলেই এর স্বাদ অসাধারণ যা বলে বোঝানো যাবে না।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের সকলের অনেক ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করে শেষ করছি।
প্রতিযোগিতায় আপনাকে দেখে বেশ ভালো লাগলো। বেশ মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার এমন সুন্দর করে করল্লার রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে দেখে। অনেক সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য। আশা করি আপনার প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ স্বার্থক হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। এবং প্রতিযোগিতায় সময় বাড়ানোর জন্য আপনার জন্য সুবিধা হয়েছে। তবে আপনি একদম ভিন্নরকম পিঠার রেসিপি করেছেন। আমি তো মনে করলাম প্রথমে কোন সবজি করলার ফটোগ্রাফি। পরে দেখতেছি আপনি অনেক সুন্দর করে ক্ষীর করলা পিঠা বানিয়েছেন। সত্যি বলতে আপনার পিঠার রেসিপি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। রেসিপিটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি আপু প্রতিযোগিতার সময় বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এজন্য খুবই ভালো হয়েছে।দেখতে করলার মতো জন্যই করলা ভেবেছিলেন আপু।ধন্যবাদ আপু।
প্রতিযোগিতার সময় বাড়িয়ে দেয়াতে আপনি অংশগ্রহন করতে পারলেন।তাই আপনাকে জানাই অনেক অভিনন্দন আপু।আপনার বানানো ক্ষীর
করলা পিঠা খুব মজার হবে খেতে।কেননা ভেতরে ক্ষীর দেয়াতে দারুন মজার হয়েছিল খেতে আপনার শেয়ার করা পিঠাটি।ধন্যবাদ আপু মজার এই পিঠার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু সময় বাড়ানোর জন্য পিঠার রেসিপি করতে পেরেছি।সত্যিই খেতে মজা হয়েছিলো।ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার মতো আমিও সময় বাড়ানোর জন্য খুব খুশি হয়েছি। আমিও কিছুক্ষণ আগে প্রতিযোগিতার পোস্ট করেছি। যাই হোক আপনার ইউনিক রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না। এই পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি আর আমি এমন পিঠা এই প্রথমবার দেখলাম। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
যারা প্রথম সপ্তাহে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি,সময় বাড়ানোর জন্য সবাই খুশি হয়েছি।আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য টি করার জন্য।
অসাধারণ সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। এতো সুন্দর পিঠা তৈরির রেসিপিটি জীবনে প্রথম দেখলাম। আপনার এই পিঠা তৈরীর দশম ধাপটি এবং দ্বাদশতম ধাপটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই এ ধরনের পিঠাগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল।
আমার পিঠার রেসিপি টি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই খুশি হলাম।প্রতিটি ধাপ খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করেছেন জেনে আরো খুশি হলাম।ধন্যবাদ।
প্রথম সপ্তাহের অসুস্থতার জন্য এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি, যার কারণে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল আপনার। তবে আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়ার পর আপনি খুবই ইউনিক পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা এই পিঠা দেখে আমার অনেক লোভ লেগেছে। এগুলোর স্বাদ নিশ্চয়ই অনেক বেশি মজাদার ছিল। খুবই মজা করে খেয়েছিলেন নিশ্চয়ই। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য মজাদার এবং ইউনিক পিঠা তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইয়া প্রথম সপ্তাহে অসুস্থতার জন্য অংশগ্রহণ করতে পারিনি।সময় বাড়ানো দেখে আর দেরি না করে খুব তাড়াতাড়ি একটি রেসিপি তৈরি করে ফেললাম । পিঠা খেতে অসাধারণ ছিলো ভাইয়া।ধন্যবাদ।
প্রথমেই আপনাকে অনেক অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য৷ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি একদমই ইউনিক একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন৷ এই রেসিপিটি আমি কখনোই দেখিনি৷ আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এই রেসিপি দেখতে পেলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য৷
রেসিপিটি আমার কাছেও একদম নতুন ছিলো,আমিও কখনো খাইনি এবারই প্রথম বানিয়ে খেয়েছি।খেতে খুবই চমৎকার হয়েছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম এগুলো বোম্বাই মরিচ হবে হয়তো। পরে পোষ্টের টাইটেলে দেখলাম আপনি পিঠা কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। সত্যি দারুন একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। খেতেও নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু কিছুটা দেখতে বোম্বাই মরিচের মত হয়েছিলো।দেখতে যেমন চমৎকার হয়েছে খেতেও ঠিক তেমনি সুস্বাদু হয়েছিলো।ধন্যবাদ আপু।
অনেক লোভনীয় ও অসাধারন ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটা দেখে আমি যেন লোভ সামলাতে পারছিনা। রেসিপিটা দেখে একটু খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার বাসার পাশে থাকলে অবশ্যই আপনার অনুমতি ছাড়াই খেয়ে নিতাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু চলে আসুন শীতের সময় অবশ্যই আপনাকে বানিয়ে খাওয়াবো।পাশাপাশি থাকলে আপনাকে বলতে হতো না আমি গিয়ে আপনাকে দিয়ে আসতাম।ধন্যবাদ আপু।
প্রথম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো আমি বুঝতে পারছিলাম না এটা কেমন রেসিপি কিন্তু যখন দেখতে থাকলাম বুঝতে পারলাম আমার সবচেয়ে প্রিয় পিঠা পুলি পিঠা আপনি এভাবে তৈরি করছেন। আসলে শীতকালে বিভিন্ন শাকসবজি পাওয়া যায়। আর এইসব দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করে খাওয়া সম্ভব। ঠিক তেমন নতুন কিছু একটা তৈরি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন আপনি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতের শাক সবজি খেতে খুবই পছন্দ করি এবং দেখতেও খুব ভালো লাগে।তাই পছন্দের করলার পিঠার রেসিপিটি তৈরি করে ফেললাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।