স্বপ্ন জয়ের পথে একধাপ এগিয়ে |পর্ব-১|
হ্যালো বন্ধুরা,
আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আশাকরি আজকের ব্লগ টি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
পৃথিবীতর সকল মানুষের মধ্যে অধিকাংশ মানুষেরই কোনো না কোনো স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন সবাই দেখে আর এক সময় স্বপ্ন দেখতে দেখতে স্বপ্ন পূরণ হয় বা সফলতা অর্জন করে।।শুধু স্বপ্ন দেখলেই হবে না স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং মনের মধ্যে ধৈর্য রাখতে হবে তাহলেই কোনো না কোনো দিন সফলতা ঠিকই পাওয়া যাবে।অনেকেই স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন কিন্তু সেই স্বপ্ন কে বাস্তবায়নের জন্য কোনো পরিশ্রম করেন না।কিন্তু পরিশ্রম ছাড়া কখনোই স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব না।স্বপ্ন পূরণ করার জন্য পরিশ্রম এবং ধৈর্য্য থাকা খুবই জরুরি।কথায় আছে ও ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয় আর এই ধৈর্যই এবং পরিশ্রম একজন মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।
আমি বরাবরই স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি তবে সেটা নিজের জন্য নয়।আমার প্রতিটি স্বপ্ন আমার সন্তানদের ঘিরে।আমি চাই আমার সন্তানেরা অনেক ভালো মানুষ হোক এবং সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচবে আর সেদিনই একজন মা হিসেবে নিজেকে সফল মনে করবো।আর তাই প্রতিনিয়ত সেই স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে ছুটে চলছি,জানিনা কতটা সফল হতে পারবো তবে চেষ্টা করতে কোনো ত্রুটি রাখতে চাইনা।
আজ থেকে তিন মাস আগে ছোট মেয়েকে আলোহা বাংলাদেশ এ ছোট মেয়েকে ভর্তি করাই।আলোহা বাংলাদেশ হচ্ছে একটিমজার ও সহজ শিক্ষা পদ্ধতি যার মাধ্যমে ফিঙ্গার,এ্যাবাকাস,ও মেন্টাল প্রয়োগ করে বড় ও জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান নির্ভুলভাবে খুব দ্রুত ও সহজেই করা সম্ভব।মেয়েকে ভর্তি করানোর তেমন কোনো প্রস্তুতি আমার ছিলো না।সত্যি কথা বলতে আলোহা সম্পর্কে আমার কোনো ধারনাই ছিলো না।আমার প্রতিবেশী @rituamin ভাবীর মুখে একদিন আলোহা সম্পর্কে জানতে পারি।তারপর ভাবী একদিন বললো যে গোবিন্দগঞ্জেই নতুন একটি শাখা খুলেছে।ভাবীর মুখে শুনে খুব তাড়াতাড়ি আলোহা শাখায় গেলাম এবং বিস্তারিত জেনে নিলাম।তারপর মেয়েকে ভর্তি করে ক্লাস শুরু করলো।তিন মাসের মধ্যে জাতীয় প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন শুরু হলো।আমি আগে পিছে না ভেবে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম।তারপর দেখতে দেখতে প্রতিযোগিতার দিন ধার্য করা হলো।
প্রতিযোগিতার দিন এমন ভাবে ধার্য করেছে যে সেখানে যোগদান করা আমার পক্ষে খুবই অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।কারণ আপনারা সকলেই জানেন আমার বড় মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা চলে।ওর পরীক্ষা রেখে ছোট মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়াটা আমার জন্য অসম্ভব হয়েছে।কিন্তু তারপরও আমি থেমে থাকিনি।অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম ছোট মেয়েকে ওর বাবা ঢাকায় নিয়ে যাবে আর বড় মেয়ের পরীক্ষার গ্যাপে আমি প্রতিযোগিতার আগের দিন ঢাকায় যাবো,পরের দিন পরীক্ষা শেষ হলে আবার রাতে রওনা হয়ে যাবো তাহলে আমার দুই দিকেই বজায় থাকবে।২০ তারিখ রাতে ছোট মেয়ে ওর বাবার সাথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।মেয়েকে কখনো একা ছাড়িনি ওর যাওয়াটা আমার জন্য খুবই কষ্ট করছিলো।কিন্তু মেয়ে খুবই এক্সাইটেড ছিলো তার কারণ ও ভালো কিছু করার জন্য খুবই আগ্রহী।খারাপ লাগা সত্ত্বেও মেয়েকে বাবার সাথে ঢাকায় পাঠাতে হলো কিছু করার নেই ভালো কিছু করতে গেলে ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে...............
আজ এখানেই শেষ করছি।আবার দেখা হবে পরবর্তী পর্বে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আসলে প্রত্যেকটা বাবা-মার স্বপ্ন নিজের সন্তানদেরকে নিয়েই থাকে সবসময়। আর ঠিক তেমনি আপনার সন্তানদেরকে নিয়ে আপনার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। আপনার ছোট সন্তান স্বপ্নের পথে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে দেখে, সত্যি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে দিদি। আসলে কোন কিছু অর্জন করার জন্য কিছু না কিছু তো অবশ্যই ত্যাগ করতে হয়। আর ঠিক তেমনি আপনার সন্তানকে আপনাকে ছেড়েই চলে যেতে হয়েছিল ঢাকার তার বাবার সাথে।
হ্যাঁ ভাইয়া সন্তানের সাফল্য গুলো বাবা-মায়ের জন্য অনেক বড় পাওয়া।ভালো কিছু করার জন্য অনেক কিছুই ত্যাগ স্বীকার করতে হয় আর পরিশেষে যখন সফলতা আসে তখন সেই কষ্ট গুলো আর মনে হয় না।দোয়া করবেন ভাইয়া।ধন্যবাদ।
আপনি আপনার মেয়েদেরকে নিয়ে যতটা পরিশ্রম করেন আমার মনে হয় এরকম ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে পরিশ্রম খুব কম সংখ্যক মা বাবাই করে। আর যদি ভাগ্নিদের কথা বলি তারাও তো সোনার টুকরা। বড় মেয়ের পরীক্ষা চলছে তাই ছোট মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া একটু কষ্টই। তো ষ ভালো কিছু আশা করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে সেই সাথে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে যেটা দেখে আপনি একদমই ভয় পান না। ভাগ্নিদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দিদি।
ভাই আমি আমার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করি বাকিটা ঈশ্বরের কৃপা।সত্যি বর্তমান যুগের বাচ্চাদের তুলনায় আমার মেয়েরা কিছুটা হলেও ব্যতিক্রম।দোয়া করিও ভাই যাতে ভবিষ্যতে আরও অনেক ভালো কিছু করতে পারে।ধন্যবাদ ভাই।
সত্যি বৌদি এবার অর্থীর ঢাকা যাওয়াটা আমার মনকেও নাড়িয়ে দিয়েছিল।তবে মেয়েটা রাতে জার্নি করে যেয়ে সফল হয়েছে এটাই অনেক।জীবনে জয়ী হতে হলে এরকম অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে আপনাকে।এবার বড় মেয়ের পালা।ওদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাবী,আপনি যদি সেদিন আলোহা সম্পর্কে না বলতেন তাহলে হয়তোবা এই সম্পর্কে আমার অজানাই থেকে যেতো।দোয়া করবেন যাতে মেয়েদের নিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারি।ধন্যবাদ ভাবী।
সত্যি ই আপু শুধু স্বপ্ন দেখলেই হয় না।এরজন্য কঠের পরিশ্রম দরকার।আপনি মেয়েদের নিয়ে অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।এভাবে ধীরে ধীরে একদিন ঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপু ছোট মেয়ের জন্য।
জ্বি আপু স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আমাদের সবসময়ই পদক্ষেপ নিতে হবে তবেই সেই স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।দোয়া করবেন আপু।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
দিদিভাই, সেই ছোট থেকে গান নিয়ে স্বপ্ন জয় করার খুব ইচ্ছা ছিল আমারও। তবে আমার পারিবারিক সাপোর্ট একদম ছিল না বললেই চলে। যার কারণে আমি পিছিয়ে পড়েছি। তবে মনের অদম্য শক্তি নিয়ে একবার ক্লোজআপ ওয়ানে গিয়েছিলাম, আর সেখানে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আমার চারটি গান শুনেছিল, আর বলেছিল পরবর্তীতে যেন প্র্যাকটিস করে যাই। কপালে ছিল না তাই কিছু হয়নি। তবে দিদিভাই, আপনি যেভাবে মেয়েদের পিছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন বা তাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছেন এমন পরিশ্রম কখনোই বৃথা যেতে পারে না। তাইতো আমাদের মামনি এত সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে স্বপ্ন জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু স্বপ্ন জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়া নয় বরং আমাদের মামনি যেন স্বপ্ন জয় করতে পারে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই প্রার্থনা করছি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার পুরো পরিবারের জন্য।
প্রতিটি সন্তান তার নিজস্ব মেধা নিয়ে জন্ম নেয়।কিন্তু পারিবারিক সাপোর্টের অভাবে অনেকেই অকালে ঝরে যায় আর কেউ উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছায়।ভাইয়া আপনি হয়তো সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যা পেলে আজ অনেক উপরে থাকতে পারতে কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি।আপনার গান সবসময়ই খুব ভালো লাগে।আমি আমার নিজের স্বপ্ন গুলো আমার সন্তানের মাধ্যমে পূরণ করতে চাই আর তাই ওদের পিছনে টাকাপয়সা এবং নিজের শ্রম দিয়ে ওদের কে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।জানিনা কতটা সফল হতে পারবো!তবে আমার সন্তানেরা যেনোে কখনো আফসোস না করে যে আমার বাবা-মা আমার জন্য কিছু করে নি।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাবা,মায়েরা নিজের স্বপ্ন পূরণ করে থাকে তাদের সন্তানদের মাধ্যমে।সেরকম আপনিও আপনার সপ্নপূরনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন সফল ভাবে।এজন্য আপনার অনেক পরিশ্রেম,দিতে হচ্ছে। আসলে পরিশ্রম ছারা জীবনে সফল হওয়া সম্ভব নয়।অর্থীও ঐশী আপনার সপ্নপূরণ করবে অবশ্যই আর আপনার কষ্টেরও পরিশ্রমের সুফল আসবে।অর্থীর জন্য শুভকামনা রইলো আরো সফলতা আসবে ওর জিবনে এই কামনা করছি।
সত্যিই তাই আমি আমার না পাওয়া গুলো ওদের মাধ্যমে পূরণ করতে চাই আর এতেই আমার শান্তি।আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি বাকিটা ভগবান ভরসা।আশীর্বাদ করিও যাতে আগামীতে আরও অনেক ভালো কিছু করতে পারে।ধন্যবাদ।
বাবা মায়ের কাছে ছেলেমেয়ারই সব থেকে দামি। আর আমি তো জানি আপনি ওদের জন্য কতটা করছেন। নীলাক্ষী অল্প সময়ে দারুন করেছে,ও এই ধারা বজায় রাখুক এই প্রার্থনা করি।আর আপনার স্বপ্ন একদিন পূর্ণ হবেই,এটাও চাই ঈশ্বরের কাছে।
একদম ঠিক বলেছো বাবা-মায়ের কাছে তার সন্তানের উপর আর কিছু হতে পারে না।হ্যাঁ ও খুব অল্প সময়ে অনেক ভালো কিছু করতে পেরেছে।আশীর্বাদ করিও,ধন্যবাদ।
প্রত্যেক বাবা মায়ের স্বপ্ন তাদের সন্তান যাতে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে ভালো কিছু অর্জন করতে পারে।আপনার ক্ষেত্রেও একই ।আপনি আপনার সন্তান দের এগিয়ে নিতে বেশ পরিশ্রম করছেন।মেয়ের স্বপ্ন জয়ের পথে এক ধাপ এগিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। মেয়েদের জন্য শুভকামনা ।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু প্রতিটি বাবা-মা চায় তার সন্তান সমজে মাথা উঁচু করে বাঁচুক।সুন্দর মন্তব্য টি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রত্যেকটা বাবা মায়ের উচিত নিজের সন্তানকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করা এবং কি উৎসাহিত করা। যেন তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, মাথা উঁচু করে কিছু একটা করে বেঁচে থাকতে পারে, ভালো কিছু যেন করতে পারে, এরকম কাজ শেখানো উচিত। বড় মেয়ের যেহেতু পরীক্ষা তাই তাকে ছেড়ে যেতে পারছি না। কিন্তু ছোট মেয়ের এই কাজটাও ইম্পরট্যান্ট ছিল। তাই তার বাবাকে দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে ভালোই করেছেন। আশা করছি আপনার মেয়ে সফলতা অর্জন করতে পারবে। সব সময় আপনার দুই মেয়ের জন্য দোয়া করি।
বাবা-মা এর সকল স্বপ্ন আর আশা যেন তাদের সন্তানদের কেন্দ্র করেই থাকে। তুমিও তার ব্যতিক্রম নও। বরং যেখানেই তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ রয়েছে, তুমি সেখানেই ছুটে ছুটে গিয়েছো তাদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। সেটা ঐশীর ক্ষেত্রেও রংপুরে গান শেখাতে নিয়ে যাওয়া বা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানোর মাধ্যমে আগেও দেখেছি। আর তোমার মেয়েরা ঈশ্বরের কৃপায় বেশ গুণবতী। আর সাথে তোমার নিবিড় পরিচর্যা তো রয়েছেই। মাত্র ৩ মাসেই ওর সাফল্য অবশ্যই প্রসংশনীয়! পরের পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
হ্যাঁ মনা আমি আমার সাধ্যমতো সবসময়ই চেষ্টা করেছি ওদের প্রতিটি জায়গায় নেওয়ার জন্য যাতে করে ওরা ওদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে।ইচ্ছে আছে ওদের অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার বাকিটা ভগবান ভরসা।আশীর্বাদ করিও মনা।
সে তো সবসময়ই ওদের জন্য আশির্বাদ থাকে মন থেকেই । তোমার জন্যও ভালোবাসা। 😍