ক্রিমি-ক্ষীর রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
ক্ষীর খেতে কে না ভালোবাসে! বিশেষ করে মিষ্টি খাবার যারা পছন্দ করেন, তাদের কাছে লোভনীয় একটি নাম হলো ক্ষীর। অতিথি আপ্যায়নে কিংবা কোনো খুশির খবর উদযাপনে ক্ষীর তো খাওয়া যেতেই পারে।উৎসবে, পার্বণে, আনন্দে মন ভরে একটু মিষ্টিমুখ না করলে কেমন যেনো কোথাও একটা খামতি থেকেই যায়। বিশেষ করে, মেনুতে যতো ভালো ভালো খাবারই থাকুক না কেনো, শেষ পাতে একটু মিষ্টিজাতীয় কিছু না থাকে তাহলে যেনো খাবারের পরিপূর্ণ তৃপ্তি আসে না।খুবই অল্প উপকরণ ও কম সময়ে অসাধারণ একটি ক্ষীরের রেসিপি খুব সহজেই বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।চলুন তাহলে রেসিপি টা জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ সমূহ |
---|
চিনিগুঁড়া চাল |
গরুর দুধ |
ফ্রেশ ক্রিম |
চিনি |
কাজুবাদাম |
কাঠবাদাম |
কিসমিস |
এলাচিগুঁড়া |
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে এক মুঠ চিনিগুঁড়া চাল ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি,তারপর এক ঘন্টার জন্য ভিজিয়ে রেখেছি।চাল ভেজানো হলে শিলপাটায় মিহি করে বেঁটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি,তারপর সামান্য পরিমাণে ঘি দিয়ে বাদাম গুলো হালকা করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
এবার কড়াইয়ের মধ্যে গরুর দুধ দিয়ে ভালো করে জাল দিয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণমতো চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।অল্প আঁচে দুধ ঘন করে জাল দিয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
এবার সামান্য পরিমাণে এলাচির গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর মিহি করে বাটা চালের মিশ্রণটি অল্প অল্প করে দুধের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
এবার ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর ভেজে রাখা বাদাম গুলো এবং অল্প পরিমাণে কিসমিস দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।তারপর ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশনঃ
চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে একটা পাত্রে ঢেলে নিয়েছি। তারপর উপর দিয়ে বাদাম কুঁচি ও কিসমিস ছড়িয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার ক্ষীরের রেসিপি টি।
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার একটি রেসিপি।আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় এখানেই শেষ করছি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
কি শুরু করলেন আপনারা? এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি করছেন আর পোস্ট শেয়ার করে জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছেন। ভাবছি রাতেই ব্যাগ গোছাবো। দেখি কদিন যেয়ে থেকে আসি আপনার কাছে।যদি ভাগ্যে জোটে এত এত লোভনীয় খাবার গুলো। দারুন ছিল কিন্তু আজকের রেসিপি প্রানের প্রিয় আপু।
আপু দেরি না করে খুব তাড়াতাড়ি চলে আসেন।আপনার জন্য আরো মজার মজার রেসিপি তৈরি করে রাখবো।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে ক্ষীর খেতে আমার কাছে ভালো লাগে না। তবে আপনার তৈরি ক্রিমি ক্ষীর রেসিপি দেখে আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বুঝতে পারছি আপনার তৈরি করা এই ক্রিমি ক্ষীর অনেক বেশি মজাদার ছিল। নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। এভাবে কখনো ক্রিমি ক্ষীর তৈরি করা হয়নি, আমি ভাবছি এই রেসিপিটা তৈরি করে দেখব। আশা করছি অনেক ভালো লাগবে খেতে।
হ্যাঁ আপু ক্রিমি ক্ষীর খেতে সত্যিই অসাধারণ হয়েছিলো।অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন আশাকরি আপনারও অনেক ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন বৌদি অতিথি আপ্যায়নে বা যেকোনো খুশির খবরে মিষ্টিমুখ না হলে চলেনা। এভাবে চাল বেটে পায়েস রান্না অনেক ছোটবেলায় খেয়েছিলাম মায়ের হাতে। আপনার রেসিপি দেখে বেশ খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বাঙ্গালীদের মিষ্টি জাতীয় খাবার ছাড়া অতিথি আপ্যায়ন চলে না বললেই চলে।এরপর যখন রান্না করা হবে অবশ্যই আপনাকে খাওয়াবো সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।😁ধন্যবাদ ভাবি।
খুব সুস্বাদু একটি খাবারের রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার কাছ থেকে এরকম একটি রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ এই রেসিপি তৈরীর প্রত্যেকটি ধাপ আমি খুবই ভালোভাবে বুঝে নিয়েছি৷ আমিও এরকম সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করব। আপনি যেভাবে এটিকে তৈরি করেছেন এটিকে দেখে অনেকটাই সুস্বাদু বলে মনে হচ্ছে।
অবশ্যই চেষ্টা করে দেখবেন আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
ওয়াও অনেক ইউনিক একটি ডেজার্ট। এমন খাবার খেলে মন প্রাণ দুটোই জুড়িয়ে যায়।আর প্রেজেন্টেশন দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। সুস্বাদু যে হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ধন্যবাদ কাকিমা দুর্দান্ত রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
তোমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই অসাধারণ একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাহ দারুন ছিল আপু রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনা। সত্যি বলতেই পায়েস খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আগে এভাবে পায়েস বেশি তৈরি করা হতো। ইদানিং মিষ্টি জাতীয় খাবার একটু কম খাওয়ার চেষ্টা করতেছি। তবে মাঝে মাঝে তৈরি করে নিয়ে ফেলি কিন্তু লোভ সামলাতে পারিনা। অতিথি আপ্যায়নে অনেক অনেক মজাদার একটি খাবার। দারুণ রেসিপি করলেন আপু বেশ ভালোই লাগলো।
মিষ্টি জাতীয় জিনিস গুলো আমিও খুব কম খেয়ে থাকি আপু।মাঝেমধ্যে মেয়েদের জন্য তৈরি করি নিজে খুব একটা খাই না।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমরা এই রেসিপি কে পায়েস বলি। আমার এই পায়েস খেতে অনেক ভালো লাগে। দু'দিন আগেও আমি তৈরি করেছিলাম। আমার ছেলে এই পায়েস খেতে আরও বেশি পছন্দ করে। আপনার পায়েস অর্থাৎ ক্ষীর দেখে জিভে জল চলে আসলো। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু অনেকেই পায়েস বলে, কিন্তু যেটা গোটা চাল দিয়ে রান্না করা হয় সেটাকে আমরা পায়েস বলি।চালের গুঁড়া দিয়ে যেটা তৈরি করা হয় তাকে ক্ষীর বলা হয়।বাবু পায়েস খেতে পছন্দ করে জেনে খুব ভালো লাগলো মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো বাচ্চাদের জন্য অনেক ভালো হয়।ধন্যবাদ আপু।
মজাদার এই ক্রিমি-ক্ষীর দেখে জিভে জল চলে এসেছে খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে মনে হচ্ছে মজাদার এই ক্রিমি-ক্ষীর খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপও খুবই সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুস্বাদু হয়েছিল আপু।এই ধরনের খাবার গুলো সত্যিই অনেক লোভনীয় হয়।ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন অথিতি অপ্যায়নে কিংবা শুভ সংবাদে মিষ্টি মিষ্টি মুখ না করলে নয় আর তা যদি হয় নিজের হাতে বানানো খির তাহলে তো নিজের আত্মতৃপ্তি হয়।রেসিপিটি অনেক ভালো লাগলো।সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ধাপে ধাপে।
রেসিপি তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।সুন্দর মন্তব্য জন্য ধন্যবাদ।
মিষ্টি জাতীয় যে কোন খাবার আমার বেশ পছন্দ।আর ক্রিমি ক্ষীর পায়েস রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজা হবে। আমি এভাবে ক্রিম দিয়ে কখনো ক্ষীর রান্না করিনি। একদিন চেস্টা করবো।সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।