দেশীয় ফল কেনার অনুভূতি।পর্ব -১
"হ্যালো বন্ধুরা"
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
এখন রসালো ফলের মৌসুম।বাজারে এখন আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ,তরমুজ, আনারসসহ দেশি ফলের সমাহার। ফলমূল কেবল রসনাকেই তৃপ্ত করে না,যোগায় শক্তিও।আমদানিকৃত ফলের চেয়ে দেশজ মৌসুমী ফল অধিক স্বাস্থ্যসম্মত।দেশি ফলে ক্ষতিকর কেমিকেল ও প্রিজারভেটিভ থাকে না তাই শরীরের জন্য অনেক উপকারী।দেশি ফলে অধিক পুষ্টি পাওয়া যায়।
আজ বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে কিছু ফল কেনার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বেড়িয়ে ছিলাম।বাসায় আশেপাশে অনেক ফলের দোকান আছে কিন্তু আমি দেশীয় ফলের হাঁটে যাবো আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম তাই সোজা গুরুর হাঁটের দিকে চলে গেলাম।গরুর হাটের পাশেই দেশীয় ফলের বাজার বসে প্রতিদিন।এখানে সিজনালী ফল গুলো অনেক ভালো পাওয়া যায়।গ্রাম থেকে নিজস্ব বাগানের সব টাটকা ফল নিয়ে ছোট ছোট দোকান বসে।এখানকার ফল চোখ বন্ধ করে কেনা যায়।আমি গরুর হাটে গিয়ে পৌঁছে দেখি অনেক লোকজনের ভীড় আজ হাটের দিন ছিলো তাই গরু ছাগল কেনা-বেচা চলছে।সামনে কোরবানির ঈদ তাই হাটে লোকজনের সমাগমও অনেক বেশি।
আমকে যে ফলের রাজা বলা হয় সেটা কিন্তু এমনি এমনি না! অবাক করার মতোই এর পুষ্টিগুণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধেও আম কার্যকরী।হাড়িভাঙ্গা আম বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ও সুস্বাদু আম। বিশ্ববিখ্যাত এ হাড়িভাঙ্গা আমের উৎপত্তি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়ন থেকে। হাড়িভাঙ্গা আম বাংলাদেশের আশবিহীন একপ্রকারের সুস্বাদু আম। বিশ্বখ্যাত, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় আম।
আমি প্রথমে আমের দোকানে গেলাম আম কেনার জন্য যাই।অনেক রকমের আম ছিলো আমি হাঁড়িভাঙ্গা আম কিনবো তাই অন্য কিছু না দেখে সোজা হাঁড়িভাঙ্গা আমের দরদাম শুরু করি।প্রথমে ৮০ টাকা কেজি দাম চাইছিলো কিন্তু আমি একবারে বলে দিয়েছি ৫০ টাকা হলে নিবো নয়তো না।কিন্তু দোকানদার কোনভাবেই ৫০এ দিবে না তাই শেষ পর্যন্ত ৬০ টাকা দিয়েই কিনতে হলো।আমি ৫ কেজি আম নিতে চাইলাম কিন্তু ব্যাগে যতগুলো আম তুলেছিলো সবগুলোর ওজন ৭ কেজি হয়েছে দোকানদার জোর করেই সবগুলো আম দিয়ে দিলো আমি কাঁচা আম দেখে দেখে নিয়েছি যাতে করে অনেক দিন ধরে খেতে পারি।আসার সময় দোকানদার ভাই আমাকে একটা পাকা হাঁড়িভাঙ্গা আম গিফট করেছেন যাতে বাসায় এসে সাথে সাথেই খেতে পারি।বাসায় এসে আম কেটে মেয়ে সহ বেশ মজা করে খেলাম খেতে অসাধারণ লেগেছে।বাকি কাঁচা আম গুলো ঝুড়িতে করে রেখে দিয়েছি পাকা শুরু হলে দেখে দেখে পাকা গুলো খাওয়া হবে তাহলে অনেক দিন খাওয়া যাবে।
থাইল্যান্ডভিত্তিক এই আম স্বাদে ও গন্ধে বেশ মনকাড়া। দেখতে কলার মতো লম্বা, পাকার সময় দুধে আলতা মেশানোর মতো হলুদ থেকে গোলাপি রঙ্গের, আঠি চোকা পাতলা, রয়েছে প্রকৃত আমের স্বাদ।বাজারে নানাজাতের আমের মধ্যে ব্যানানা ম্যাঙ্গো নামে যে আমি পাওয়া যাচ্ছে তা দেখে বেশ ভালোই লাগলো।আমি কখনো এই আম টি খাইনি তাই দেখে মনে হলো অল্প পরিমাণে কিনে খেয়ে দেখতে হবে এর স্বাদ কেমন!দাম জিজ্ঞেস করলাম প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।আমি অনেক দামাদামি করলাম কিন্তু কাজ হলো না শেষমেশ ৭৫ টাকা করে দুই কেজি ১৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হলো ব্যানানা ম্যাঙ্গো দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও অনেক সুস্বাদু।
আজ এখানেই শেষ করছি,আবার দেখা হবে পরবর্তী পর্বে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আমি নাকি আপনার জান? তাহলে জানকে ছাড়া এতগুলো দেশীয় ফল কিনে একা একা কিভাবে খেলেন? আমি কিছু কমু না। পেটে ব্যথা করলে আমার দোষ নাই। থাইল্যান্ড ভিত্তিক আম হোক আর নাই হোক । আম জাম দুটোই আমার বেশ প্রিয়। ফল কেনার বর্ণনা বেশ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
জান তো অনেক দূরে থাকে তাই তাকে ফেলে রেখেই সবকিছু খেতে হচ্ছে এতে আমার কোনো দোষ নেই,তাই পেটে ব্যথা হওয়ার কোনো সম্ভবনা নাই।😁আম আমারও খুব প্রিয় আপু।ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন দেশি ফলের পুষ্টি অনেক বেশি । আপনি সব সময় দেশি ফল কেনার চেষ্টা করেন বিষয়টি জেনে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো । আর যারা নিজস্ব বাগানের ফল বিক্রি করে সেগুলো খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে । তবে আমার কাছে ব্যানানা ম্যাংগোটি দেখতে খুবই চমৎকার লেগেছে । এরকম আমের গাছ আমার দাদা বাড়িতে ছিল । খেতে ভীষণ মিষ্টি ছিল । সত্যি চমৎকার লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে ।
ছোট ছোট দোকান নিয়ে যারা বসে তারা সবাই বেশিরভাগ নিজেদের বাড়ির বাগানের ফল গুলোই হাঁটে বিক্রি করতে আসে তাই সেগুলো কেনাই ভালো হয়।আপনার দাদা বাড়িতে ব্যানানা আমের গাছ আছে তাহলে তো আপনি এই আমের স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছেন আপু।আমি এই প্রথম খেলাম। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার আম কেনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি আমের গুনাগুন তুলে ধরেছেন। গরুর হাটের পাশেই ছোট ছোট ফলের দোকান বসে।আপনি হাঁড়ি ভাঙ্গা আম কেনার জন্য গেলৈন।৮০ টাকা কেজি চাইলেও দরদাম করে আপনি ৬০ টাকা করে আনলেন।আপনার মতো আমিও আম বেশী কিনলে কাঁচা দেখেই কিনি।একটা একটা পাকবে আর খাবো।আর এই ব্যানানা আমটি আমি আগেও খেয়েছি আমার দেবর গাছ লাগিয়েছিল বাড়িতে গত বছর খেয়েছিলাম।বেশ মজার আমটি।আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আমি আম কিনলে সবসময়ই কাঁচা দেখেই কেনার চেষ্টা করি যাতে অনেক দিন ধরে খাওয়া যায়।সত্যিই ব্যানানা আম টি খেতে অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপু।
হাড়িভাঙ্গা আমগুলো আমার কাছে ও খুবই প্রিয়। আমার বাড়িতেও আমার নিজের কলম দেওয়া হাড়িভাঙ্গা আমের গাছ আছে। আন্টি আপনি ঠিকই বলেছেন দেশীয় ফল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনার অনুভূতি পরিবেশ ভালো লাগলো আন্টি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দেশীয় ফলের গাছটা অসাধারণ ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এখন তো চলছে গ্রীষ্মকাল ফল পাকার সিজন।। দেশীয় ফল খেতে আমার খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে আম কাঠাল এবং জাম।।
এর মধ্যে আবার কাঁঠাল খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।।
আসলে এই মৌসুমটা অনেক রকম ফল-ফলাদি দিয়ে ভরপুর। এই মৌসুমে যতটা টাটকা এবং সতেজ মানের ফল পাওয়া যায় সেটা অন্য কোন মৌসুমে পাওয়া সম্ভব নয়। দেশীয় ফল খেতে আমরা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসি। ফল কেনার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে এই সিজনাল মৌসুমী সিজনাল ফল কিনেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। যদিও এ বছর তেমন একটা ফল খাওয়া হয়নি বাহিরে থাকার কারণে তবে কিছুদিনের মধ্যেই বাসায় যাবো অবশ্যই সব ধরনের ফল টেস্ট করতে হবে। ভালো লাগলো আপু আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলছেন অবশ্যই সিজনাল ফল গুলোর মধ্যে কোন ধরনের মেডিসিন ইউজ করে না তাই খেলে অনেক ভালো হয়ে। এছাড়া আন সিজনাল ফলের মধ্যে প্রিজারভেটিভ থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আপনি বেশ মজার মজার রসালো ফল কিনলেন লোভ লাগার মত।
বিভিন্ন ফলের দোকানে যে দেশীয় ফল পাওয়া যায় এগুলো একদম ভালো হয় না বৌদি ফরমালিন দেওয়া। আপনি খুব ভালো করেছেন পাইকারি বাজারে গিয়ে ফল কিনে। ওখানে একদম টাটকা ফল বিক্রি হয়। আপনার দেশীয় ফল কিনার অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ফলের দোকানের ফল গুলো খুব একটা ভালো থাকে না তাই পাইকারি হাঁটে থেকে কিনি সবসময়।ধন্যবাদ ভাবি।