বড় কাকিমার ভালোবাসার উপহার।
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছো,সুস্থ আছি।
প্রতিটি মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনের কোন না কোন উপহার পেয়ে থাকে। এই উপহারগুলো একটি মানুষের মনে নতুন ভালোলাগা ও ভালোবাসার তৈরি করে থাকে। মানুষ সচরাচর নিজের কাছের বন্ধুদের কিংবা আপনজনের কাছ থেকে জীবনের বিশেষ দিন ও মুহূর্তগুলোতে উপহার পেয়ে থাকে। মাঝে মাঝে অনাকাংক্ষিত উপহারই কাংখিত উপহারের চেয়ে বেশি আনন্দ দেয়।সেরকমই আমি অনাকাঙ্ক্ষিত উপহার পাওয়ার আনন্দ শেয়ার করবো।
বড় কাকিমা আমাদের মায়ের মতো।আমরা বাবা মায়ের মতোই কাকা-কাকিমাকে সন্মান করি।বাব-মার অবস্থান সবার উপরে এটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।আমরা বাবা-মার পরেই কাক-কাকিমা কে ভালোবাসি।আমাদের জীবনে তাদের গুরুত্ব কম নয়।ছোটবেলা থেকেই তাদের আদর ভালোবাসা পেয়ে আমরা বড় হয়ছি।কাকার চেয়ে কাকিমা আমাদের সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখেন।কখন কার কি লাগবে কে কি খাবে সবদিকেই কাকিমার লক্ষ্য।আমার মেয়েরা তো দিদা বলতেই পাগল।ঢাকায় থাকা অবস্থায় প্রতি মাসে একবার করে কাকিমার বাসায় যাওয়া হতো।এখন কাকা রিটায়ার্ড করার পর থেকে কাকিমারা রংপুর নয়তো বাড়িতে থাকেন।রংপুর এ বাড়ির কাজের জন্য মাঝে মাঝে যান কিন্তু বেশিরভাগ সময় গ্রামের বাড়িতে থাকেন।কাকা গ্রামে থাকেই বেশি পছন্দ করেন।
বড় কাকা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন গতবছর অবসরে আসেন।এখন অবসরে আসার পর থেকে কাকা কাকিমা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এবং সনাতন ধর্মের সকল তীর্থস্থান দর্শন করে বেড়াচ্ছেন।কয়দিন আগেই কেদারনাথ,বন্দ্রীনাথ, হরিদ্বার আরও বেশ কয়েকটি তীর্থস্থান দর্শন করেছেন।আসার সময় আমাদের সকলের জন্য উপহার নিয়ে এসেছেন।
সেদিন রংপুর এ আমার দাদার বাসায় যাওয়ার পর দুদিন ছিলাম।যাওয়ার পরেরদিন দুপুর বেলা কাকিমা তার বাসায় আমাদের নিমন্ত্রণ দিয়েছে দুপুরে খাওয়ার জন্য। আমি আমার মেয়ে, বৌদি তার মা ভাই সবাই মিলে কাকিমার বাসায় খেতে যাই।অনেক ভালো ভালো রান্না হয়েছিলো কিন্তু দুঃখের বিষয় সেসব রান্না আমি খেতে পারিনি।তার কারন হলো আমি শনিবার মাছ মাংস খাইনা। তাই আমার জন্য নিরামিষ রান্না করা হয়েছিলো আমি সেগুলোই খেয়েছি।খাওয়াদাওয়া শেষ করে সবাই রেস্ট নিয়ে সন্ধ্যায় চা নাশতা খেয়ে রওনা দিবো,তখন কাকিমা আমাকে ডেকে নিয়ে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিলো খুলে দেখি আদিযোগী মহাদেবের মূর্তি আর জগন্নাথ দেবের মূর্তি।দেখে আমার কি যে ভালো লাগছিলো তা বলার মতো না।
অনেক দিন ধরেই এরকম একটি আদিযোগী মহাদেবের মূর্তি কেনার খুবই ইচ্ছে ছিলো।অনেক বার অনলাইনে দাম করেছি কিন্তু কেনা আর হয়ে উঠেনি।হয়তো কাকিমার কাছ থেকে এই উপহার পাবো বলেই কেনা হয়নি।সেদিন কাকিমার কাছ থেকে পাওয়া উপহার আমার কাছে শ্রেষ্ঠ একটি উপহার মনে হয়েছে।এই উপহারে কাকিমার ভালোবাসা জড়িয়ে রয়েছে। আমি আজীবন এই উপহার খুবই যত্নসহকারে রেখে দিবো।
আজ এখানেই শেষ করছি।আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময়ে অন্য কোনো নতুন বিষয় নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
টুইটার লিংক
আপনার বড় কাকিমা আপনাদের সবাইকে তার বাসায় দাওয়াত করেছিল।আপনারা সবাই গেলেন।খুব আনন্দ করেছেন।অনেককিছু রান্না হলেও আপনি সেদিন মাছ,মাংস খান না তাই নিরামিষ খেয়েছেন।আপনার কাকিমা চলে আসার আগ মুহূর্তে আপনাকে ডেকে নিয়ে আপনার পছন্দের দুটো জিনিস উপহার দিল।যা কিনা আপনি অনেকদিন ধরে কেনার কথা ভাবছিলেন।আসলে শখের জিনিসগুলো কেউ দিলে মনটা তখন অনেক বেশি ভালো লাগায় ভরে যায়। আপনার অনুভূতি আমি বুঝতে পারছি।এই ভালো লাগাটা আসলে লিখে ও প্রকাশ করা যায় না।অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার মনের অনুভূতি গুলো পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু কিছু কিছু মানুষের ভালোবাসা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।