মায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।😥
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি,সুস্থ আছি।আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আজ আমার মায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজ থেকে বছর দুয়েক আগে আমার মায়ের হঠাৎ করে চলে যাওয়া টা কোনভাবেই যেনো মেনে নিতে পারছিলাম না।তারপর আস্তে আস্তে সময়ের সাথে কেনো জানি নিজে থেকেই অনেকটা ধৈর্যশীল হয়ে গেছি।না হয়েও তো উপায় নেই আমার উপর আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।নিজের জন্য না হলেও ওদের জন্য ভালো থাকাটা খুব জরুরী,তাই মনের ভিতর শত কষ্ট নিয়েও ভালো থাকার চেষ্টা করে যেতে হচ্ছে। সময় কত দ্রুত চলে যায় দেখতে দেখতে দুটো বছর পার হয়ে গেলো।অক্টোবরের ১৯ তারিখের মায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো।মেয়ের টেস্ট পরীক্ষা চলছিলো তাই আর বাড়িতে যাওয়া হলো না।বাড়িতে গেলে মায়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে থাকতে পারতাম কিন্তু সেই সৌভাগ্য আমার হলো না।তাই উপায় না পেয়ে আমাদের এখানকার বাসুদেব মন্দিরে মায়ের আত্মার শান্তি কামনায় গোবিন্দ ভোগের আয়োজন করেছিলাম।
আগের দিন সন্ধ্যায় শ্যামসুন্দর কে দিয়ে ভোগের জন্য টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম যাতে করে পুরোহিত মশাইয়ের বাজার করতে সুবিধা হয় এবং পরের দিন সময় মতো পুজা দিতে পারেন।পরের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নিজের ঘরের পূজা শেষ করে গীতা পাঠ করি এবং মায়ের আত্মার জন্য শান্তি কামনা করি।তারপর সকাল এগারোটার দিকে মন্দিরের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ি।
মন্দিরে পৌঁছে দেখি তখনো পূজা শুরু হয়নি ভোগের রান্নাবান্না প্রায় অর্ধেক হয়ে আসছে।মন্দিরের সামনে বসে থাকলাম এবং ঠাকুরের সামনে মায়ের জন্য প্রার্থনা করলাম।ঠিক বারোটার সময় সবকিছুর আয়োজন শেষ হলো এবং পুরোহিত মশাই পূজা করতে বসলেন।পাশে বসে পুজা দেখলাম এবং প্রাণভরে মায়ের জন্য প্রার্থনা করলাম।এই মুহূর্তে প্রার্থনা করা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই।মন থেকে শুধু একটাই চাওয়া মা যেনো স্বর্গবাসী হন এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
পূজা শেষ করে সবাইকে প্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং আমাকে কিছু প্রসাদ দিয়ে দেয় বাসায় আনার জন্য।প্রসাদ নিয়ে আমরা বাসায় চলে আসি।মা বেঁচে থাকতে হয়তো বা তার গুরুত্বটা বুঝতাম না,কিন্তু এখন প্রতি পদে পদে মায়ের গুরুত্ব টা বুঝি এবং অভাব বোধ করি।মা থাকলে জীবনটা হয়তো অনেকটাই সহজ হয়ে যেতো।মায়ের কাছে যে ভরসা শান্তি পাওয়া যায় সেই শান্তি আর কোথাও নেই।এখন অনেক কিছুই বুঝি কিন্তু বুঝেও আর কোন লাভ হবে না মাকে তো আর কখনো ফিরে পাবো না।
তাই যখন বাবা-মা থাকে তার গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং তাদেরকে মন থেকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা করা প্রতিটি সন্তানের দায়িত্ব কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।আপনারা সকলে আমার মায়ের জন্য প্রার্থনা করবেন।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজকে এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ।
আসলে আমাদের কাছের মানুষগুলো চলে গেলে আমরা অনেকটা অসহায় হয়ে যাই। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবারো আমাদের শক্ত হয়ে উঠতে হয়। কারণ এই পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ী নয়। ঠিকই বলেছেন, মা বাবা থাকা পর্যন্ত তাদের শ্রদ্ধা, সম্মান এবং গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আপনার মায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। দোয়া রইলো আপনার মায়ের জন্য।
জ্বি আপু পৃথিবীতে কেউ চিরদিন থাকে না এটা জানার পরও প্রিয়জনের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।দোয়া করবেন আপু।ধন্যবাদ।
আপু আপনার মা চলে গেছেন দুই বছর হয়েও গেলো। মা কে নিয়ে খুব সুন্দর কিছু অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে মা-বাবা বেঁচে থাকতে আমরা অনেকেই তার গুরুত্ব দেইনা।মা যে কতটা আপন তা হারিয়ে ফেললে বোঝা যায়। আপনার মায়ের জন্য দোয়া করি আপু।আল্লাহ আপনার মনটাকেও শীতল করে দিন,আমিন।
হ্যাঁ আপু আমরা বেঁচে থাকতে বাবা-মার গুরুত্ব বুঝি না।কিন্তু হারানোর পর ঠিকই বুঝি।দোয়া করবেন আপু।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
যার মা আছে সে মায়ের কদর বোঝে না। আর যার মা চলে গেছে সে বুঝে মায়ের মর্ম। দেখতে দেখতে দুই বছর পার হয়ে গেছে আজকে আপনার মার সেই মধু মাখা মুখটা আর দেখতে পান না। শুধু স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে ছবি হয়ে। যাই হোক দোয়া করব আপনার মা যেন স্বর্গবাসী হন। আপনারা যে সমস্ত ভাই বোন গুলো আজ দুনিয়ার বুকে রয়েছেন সুস্থ সবল অবস্থায় মায়ের জন্য দোয়া করবেন এবং একত্রে পথ চলার চেষ্টা করবেন সেই কামনা রইল।
জ্বি ভাইয়া মা এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে আছে।চাইলেও মা কে আর দেখতে পারি না।দোয়া করবেন ভাইয়া।
মায়ের চলে যাওয়াটা শুধু আমরা নয় আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশি কেউ মেনে নিতে পায়নি।আসলে অধিক কষ্টে মানুুষ পাথর হয়।আর আপনিও তেমনি পথর হয়ে গেছেন।এটা সৃষ্টি কর্তার আশীর্বাদ বলতে পারেন কারণ আপনি ভেঙ্গে পড়লে তো চলবে না সংসার আছে একটা তাই সৃষ্টিকর্তা ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দিয়েছেন।খুব ভালো লাগলো মায়ের শান্তি কামনায় পুজোর আয়োজন করেছিলেন । ভোগের প্রসাদ গুলো অনেক লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছো এটা ভগবানের আশীর্বাদ তা না হলে তো বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।পূজার প্রসাদ সবসময়ই অনেক লোভনীয় হয়,আমার তো খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ।
প্রতিটি সন্তানদের ই উচিত বাবা-মা বেঁচে থাকা অবস্থায় বাবা মায়ের গুরুত্বটা বোঝা। কারণ চলে যাওয়ার পর বুঝেও আর কোন লাভ নেই। বাবা-মা ঈশ্বরের দেয়া অনেক বড় উপহার! ভালো থাকুক সকল বাবা-মা। মেয়েদের পরীক্ষা থাকার কারণে বড়মার মৃত্যুবার্ষিকীতে বাড়ির অনুষ্ঠানে যেতে না পারলেও নিকের মতো করে বাসুদেব মন্দিরে পূজো দিয়ে প্রার্থনা তো করেছো দিদিভাই। উপর থেকে ঠিকই দেখছেন সবকিছু! ঈশ্বর বড়মার আত্নাকে শান্তি দান করে স্বর্গবাসী করুন, এটিই প্রার্থনা।
হ্যাঁ মনা নিজের মতো করে যতটুকু করা যায় করেছি।সবসময়ই মায়ের জন্য প্রার্থনা করি যাতে মা স্বর্গবাসী হয়।ধন্যবাদ মনা।