সাগুদানার খিচুড়ি।🍲🍲
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি আজ একটি রেসিপি ব্লক নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।সাগুদানার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা আছে।সাগুদানা শিশুদেরকেই বেশি খাওয়ানো হয়। এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান শিশুর শারীরিক বিকাশের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া ফালুদাসহ বিভিন্ন খাবারেও সাগুদানা ব্যবহার করা হয়।আজ আমি শীতকালীন সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করেছি সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক-
উপকরণ |
---|
সাগুদানা |
মুগডাল |
আলু |
ফুলকপি |
বাঁধাকপি |
শিম |
গাজর |
পেঁপে |
টমেটো |
কাঁচামরিচ |
শুকনা মরিচ |
জিরাগুঁড়া |
আদাবাটা |
মরিচের গুঁড়া |
হলুদগুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ভাজা মসলা |
ধাপ-১
প্রথমে মুগডাল কড়াই এ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি,তারপর প্রেসার কুকারে দিয়ে অর্ধেক সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার শুকনো কড়াইয়ে সাগুদানাগুলো দিয়ে অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে একটু ভেজে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৩
কড়াই এ পরিমাণ মতো তেল দিয়ে শুকনা মরিচ তেজপাতা জিরা ফোঁড়ন দিয়ে কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে ভেজে নিয়েছি।তারপর সবজি গুলো দিয়ে লবণ হলুদগুঁড়া দিয়েছি।
ধাপ-৪
লবণ হলুদগুঁড়া দেওয়ার পর ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর অনেক্ষণ ধরে নেড়েচেড়ে সবজি গুলো ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার আদাবাটা জিরাগুঁড়া মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।তারপর সিদ্ধ করা মুগডাল দিয়ে তার মধ্যে টমেটো গুলো দিয়ে একটু কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার ভেজে রাখা সাগুদানা গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো জল দিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিয়েছি।কিছুক্ষণ রান্না করে নেওয়া পর ভাজা মসলাগুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
মসলা দেওয়ার পর আবার কিছুক্ষণের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি সবকিছু সিদ্ধ হয়ে ঝোল শুকিয়ে গাঢ় হয়ে আসলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
"পরিবেশন"
চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে একটা বড় বাটিতে তুলে নিয়েছি।আর এখন খাওয়ার জন্য প্রস্তুত মজাদার সাগুদানার খিচুড়ি রেসিপি টি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি।আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করে শেষ করছি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
সাবুদানা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট ও ফালুদা এবং কি সাবুদানা দুধ দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায় কিন্তু এভাবে খিচুড়ি রান্না করা যায় তা আমি এই প্রথম দেখলাম। সাবুদানা এমনিতে আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। এভাবে খিচুড়ি রান্না করা যাবে তা কখনো মাথায় আসেনি নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম ।
আমি তো দিদি এমন খিচুড়ি জীবনেও খাইনি। আপনি তো বেশ ইউনিক একটি রেসিপি আজ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সাগু দানা দিয়ে যে এমন দারুন একটি রেসিপি করা যায় আজ আপনার দেখা রেসিপিটি দেখে বুঝতে পারলাম।নিশ্চয় খেতেও বেশ স্বাদের হয়েছিল। ধন্যবাদ দিদি এমন স্বাদের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু খেতে খুবই টেস্টি হয়েছিলো সাগুদানার খিচুড়ি রেসিপি টি।আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
খিচুড়ি আমার খুবই প্রিয়।
বিশেষ করে ভুনা করা সবজি খিচুড়ি হলে তো কোন কথাই নেই।
শীত এলে মাঝে মাঝেই বিকেলে এমন রেসিপি প্রস্তুত করে খাওয়া হয়।
সাবুদানা দিয়ে খিচুড়ি প্রস্তুত করা আপনার মাধ্যমে প্রথম দেখলাম তবে ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা পড়ে খুব লোভ হচ্ছে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে খেতে।
শীতের মৌসুমে খিচুরি খেতে কার না ভালো লাগে।
খুব সুস্বাদু একটা খিচুড়ি এর রেসেপি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ।
বাহ আপু,দারুণ রেসিপি তো।এমনিতে কত রকমের সব্জি খিচুড়ি খাওয়া হয়েছে। কিন্ত এভাবে সাবুদানা দিয়ে কখনো খিচুড়ি খাওয়া হয় নি।আমার তো বেশ ভালো লেগেছে আপনার রেসিপিটি। আমি বাবুর জন্য বিভিন্নভাবে খিচুড়ি করে থাকি,এবার এভাবে তৈরি করে দেখব।
সত্যি বলতেই প্রথম বার এরকম সাগুদানার খিচুড়ি রেসিপি দেখতে পারলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। যদিও এই সাবুদানা ছোট বাচ্চারা অনেক বেশি পছন্দ করে। এই প্রথমবার এরকম একটা রেসিপি দেখলাম কমিউনিটিতে, মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নরমালি পায়ের মাঝে সাগুদানা দেয়া হয়, খেতেও ভালো লাগে। তবে ডাল সবজির কম্বিনেশন এ খিচুরি! মনে হচ্ছে অন্যরকমের স্বাদ হয়েছে দাওয়াত দিলেও পারতেন আপু 😁
আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপির কালার টা অনেক সুন্দর এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সাগুদানার খিচুড়ি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।রেসিপি প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন যে কেউ চাইলে খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিতে পারবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্বাদু একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
সাগুদানার পায়েস খেয়েছি কিন্তু এভাবে সাগুদানার খিচুড়ি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার এই রেসিপি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। এভাবে সাগুদানার খিচুড়ি বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।