বৃত্ত'র জন্মদিন।
"হ্যালো বন্ধুরা"
গত ৫ই জুলাই বৃত্ত'র জন্মদিন ছিলো।সেই উপলক্ষ্যে আমাদের সকলের নিমন্ত্রণ ছিলো বৃত্ত দের বাসায়।আমার মেয়েরা আগে থেকেই জানতো ওর জন্মদিনের কথা তার কারন বৃত্ত আমার দুই মেয়েকে পড়ানোর সময় ওর জন্মদিন নিয়ে অনেক বার গল্প করেছে এবং দুবার আমাদের নিমন্ত্রণ দিয়েছে তাই ওদের খুব ভালো করেই বৃত্ত'র জন্মদিনের তারিখ মনে আছে।
ক'দিন আগে থেকেই আমার দুই মেয়ে খুবই এক্সাইটেড যে জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাদের টিচার কে কি উপহার দিবে।ভাবতে ভাবতে দুই মেয়ে সিদ্ধান্ত নিলো যে তাদের জমানো টাকা দিয়ে জন্মদিনের কেক উপহার দিবে।আমাকে বললো বিষয় টা আমি বললাম ঠিক আছে তোমাদের যা ভালো মনে হয় তাই করো এতে আমার কোনো আপত্তি নেই।বড় মেয়ে কেক &বেক বেকারিতে ফোন করে দুই পাউন্ড একটি কেকের অর্ডার করলো আর ওনাদের কে বৃত্ত'র একটি ছবি পাঠিয়ে দিয়ে বললো কেকের উপরে ছবিটি দেওয়ার জন্য।মেয়েরা বৃত্তকে বদ্দা বলে তাই হ্যাপি বার্থডে বদ্দা লিখে দিতে বলেছে।যাইহোক জন্মদিনের আগেরদিন সন্ধ্যায় কেকে টি বাসায় ডেলিভারি দিয়ে গেলো বেকারি থেকে।
কেকের টাকা দেওয়ার পর মেয়েদের কাছে আরও কিছু অবশিষ্ট টাকা রয়েছে।তাই দুই মেয়ের বায়না যে ওরা আরও কিছু উপহার বৃত্তকে দিবে।মেয়েদের কথা শুনে আমি ওদের নিয়ে মার্কেটে গেলাম কিছু একটা কেনার জন্য।অনেক ঘোরাঘুরি করে একটা গার্মেন্টস দোকানে ঢুকে টি-শার্ট দেখাতে বললাম।অনেক গুলো টি-শার্ট দেখানো হলো কিন্তু আমার একটিও ভালো লাগছিলো না। পরে ব্লাক কালারের একটা টি-শার্ট দুই মেয়ে পছন্দ করলো কিন্তু আমার খুব একটা পছন্দ হলো না।মেয়েরা ব্লাক কালারের টিশার্টটিই নিবে কি আর করা আমি তাই দামদর করে কিনে ফেললাম।
জন্মদিনের দিন সকাল সকাল দুই মেয়ে কেক টি-শার্ট নিয়ে বৃত্তদের বাসায় চলে গেলো।বৃত্ত আগেরদিন বলে রেখেছিলো ওদের সকাল সকাল গিয়ে একটু হেল্প করতে তাই ওরা সকাল সকাল চলে গেছে।আমরা
শুভ ভাই,হিরা ভাবি পরে দুপুর বেলা সবাই মিলে একসাথে যাই।অনুষ্ঠানটি দুপুরে নেওয়ার কারন বৃত্তর বোনের বিয়ে ঐদিন রাতেই তাই দুপুরে অনুষ্ঠান করে সন্ধ্যায় বিয়ে বাড়িতে যাবে ওরা।
সবাই একত্রে হয়ে কেক কাটা শুরু হলো।তার মধ্যেই ওর কাকিমা আরেকটি কেক নিয়ে হাজির হলো তাই দুটো কেক একসাথে কাটতে হলো বৃত্তকে।কেক কাটার পর কেক খাওয়া শুরু হলো।বৃত্ত একে একে ওর সকল স্টুডেন্ট দের কেক খাইয়ে দিলো তারপর আমাদের সবাইকে কেক খাইয়ে দিলো।তারপর চিকেন বিরিয়ানি আরও অনেক কিছু খাবার সামনে হাজির হয়ে গেলো।বেলা বেশ ভালোই হয়েছিলো তাই সবাই অনেক ক্ষুধার্ত ছিলাম খাবার সামনে পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি করে সব খাবার খেয়ে ফেললাম।বৃত্ত'র মা দিদির রান্না এমনিতেই অনেক ভালো তার মধ্যে আবার বিরিয়ানি তাই খাবার সামনে নিয়ে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করা সম্ভব হচ্ছিলো না।
অনেক ভালো খাওয়াদাওয়া শেষ করার পর আমরা সবাই মিলে একসাথে দাঁড়িয়ে অনেক গুলো ছবি তুলি এবং অনেক সময় ধরে গল্প আড্ডা দিয়ে ওদের বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে আসি।সবমিলিয়ে অনেক সুন্দর কিছু মুহুর্ত আমরা উপভোগ করি আর সেই মুহুর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আপনারা সবাই বৃত্ত'র জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ দোয়া করবেন।
প্রথমে ভাইয়ার জন্য রইলো জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দুই মেয়ে বদ্দার জন্য তো ভালোই আয়োজন করেছে কেকের।আর কেকটিও কিন্তু মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর লাগলো ছবি দেয়াতে।সবাই মিলে ভাইয়ার বাসায় খুব আনন্দ করলেন।ভাইয়ার কাকির দেয়া কেকটিও চলে এলো। তবে তো খুব ভালোই হলো দুই ফ্লেবারের কেক খেতে পারলেন।এরপর মায়ের হাতের বিরিয়ানি সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন।সবাইকে খুব সুন্দর লাগছে।সব সময় অনাবিল আনন্দ থাকুক সবার মনের মাঝে এই কামনাই করি।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আমার মেয়ের দেওয়া কেক আর বৃত্তের কাকির দেওয়া কেক দুটো মিলে অনেক আনন্দ করে কেক কাটা হয়েছিলো।সবমিলিয়ে অনেক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপু।
শ্যামসুন্দর ভাইয়ার জন্মদিন নিয়ে ঐদিন হীরা আপু একটা পোস্ট করেছিল। যার কারণে ওনার জন্মদিনের কথা জানতে পেরেছিলাম। আজকে আপনিও ওনার জন্মদিনে কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো। সবাইকে একসাথে দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অনেক মজা করেছিলেন দেখেই বুঝতে পারছি।
জ্বি আপু হিরা ভাবি জন্মদিন এর পোস্ট শেয়ার করেছে।সবাই একসাথে মিলে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি।ধন্যবাদ আপু।
আপনার এই পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো বিশেষ করে আপনার দুই মেয়ের মন মানসিকতা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এরকম মন মানসিকতা সবারই থাকে না তবে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা খুবই ছোট কিন্তু মন মানসিকতা অনেক বড় আপনার দুই মেয়ে ঠিক তেমন। জন্মদিনের খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেখানে গিয়ে দেখে ভালো লাগলো অবশ্যই বৃত্ত দাদা অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ পেয়েছিল। সুন্দর মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমার মেয়েরা বয়সে অনেক ছোট হলেও ওদের মানসিকতা অনেক বড়।আর আমি চাই ওরা যেনো আরও অনেক বেশি ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ অসাধারণ সময় পার করলেন আপনারা সবাই মিলে বৃত্তের জন্মদিনে অনেক ভালো লাগলো। তবে দাওয়াত আমরাও পেতে পারতাম কিন্তু দিদি আপনি যদি দাওয়াত করতেন চলে যেতাম। কেক দুইটা হলো তাহলে দারুন খাওয়া দাওয়া করলেন। এছাড়া গিফট দুটো খুব ভালো ছিল অনেক ভালো লেগেছে জানতে পেরে খুব সুন্দর দুটি গিফট দিলেন। সবাই মিলে অনেক খাওয়া দাওয়া করলেন খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল।
আসলেই আপু আপনাকে দাওয়াত করা যেতেই পারতো।যাক এবারের মতো ভুল হয়েছে আগামীতে এরকম ভুল আর হবে না আপু।😁জ্বি আপু সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া সবকিছু নিয়ে বেশ আনন্দ করা হয়েছে।ধন্যবাদ আপু।
বাহ এক সাথে এক ফ্রেমে আমার বাংলা ব্লগের অনেক সূর্য সন্তানদের দেখলাম। মানুষ ইচ্ছা করলে আনন্দটা কত সুন্দর ভাবে ভাগ করে নিতে পারে সেটার উদাহরন পেলাম। ধন্যবাদ আপু।