হঠাৎ জন্মদিনের নিমন্ত্রণ
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
নিমন্ত্রণ তো আমরা মাঝে মাঝেই পেয়ে থাকি, কিন্তু হঠাৎ করে কোনো নিমন্ত্রণ পেলে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগে।আমি যদিওবা সবসময় নিমন্ত্রণ বাড়িতে না যাওয়ার চেষ্টা করি তার কারন আমি অন্য কোনো বাড়িতে গিয়ে খুব একটা খেতে পারি না এটা আমার বদঅভ্যেস বলতে পারেন!আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইচ্ছে না থাকলেও যেতে হয় সামাজিকতা রক্ষার্থে। ঠিক সেরকমই হাসান হোসাইনের জন্মদিনে আমাকে যেতে হয়েছিলো।
আমাদের বিল্ডিং এ আমরা মোটামুটি ১৬ টা পরিবার একসাথে বসবাস করি।আমরা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সবাই মিলেমিশে একসাথে প্রতিটি অনুষ্ঠান উদযাপন করে থাকি।হোক সেটা কারো জন্মদিন কারো বিবাহ বার্ষিকী বা ছোটখাটো ঘরোয়া অনুষ্ঠান সবাই মিলে মিশে করা এবং আনন্দ উপভোগ করা হয় সবসময়ই।আমাদের তিনতলায় ময়না ভাবি এবং তার হাসবেন্ড দুজনেই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত আছেন।বিয়ের অনেক বছর তাদের কোনো সন্তান ছিলো না এই নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত ছিলেন!কিন্তু ভগবানের অশেষ কৃপায় তাদের একসাথে জমজ দুটো ছেলে সন্তান হয়,হাসান হোসাইন নাম তাদের।
দেখতে দেখতে হাসান হোসাইনের দুই বছর হয়ে গেলো।ময়না ভাবীর শশুর বাড়ির লোকজন ইসলামিক মাইন্ডের তাই তারা জন্মদিন উৎসব পালন করার পক্ষে নয়।তাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিধি-নিষেধ আছে বলেই তারা এটা করাতে খুশি নয় কিন্তু ময়না ভাবির ইচ্ছে সেরকম কোনো অনুষ্ঠান না করে শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়ার একটু আয়োজন করবেন এবং পরিচিত জনদের খাওয়াবেন।বাড়ি থেকে বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন এসেছিলেন।ময়না ভাবি এখানকার দুই মসজিদে দুই হাজার করে মোটা চার হাজার টাকা দান করেছেন এবং দুপুর বেলা কিছু হুজুর ডেকে বাসায় মিলাদ পড়িয়ে তাদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেন।ওনারা খেয়েদেয়ে চলে গেলে বাড়ির আত্মীয়স্বজন দের খাবার ব্যবস্থা করে তারপর খেয়েদেয়ে ওনারা রাতেই চলে যায়।তারপর আমাদের কে ভাবি খাওয়ার জন্য ডাকতে আসেন।আমি প্রথমে যেতে চাইনি কিন্তু ভাবির জোরাজোরিতে যেতে বাধ্য হয়েছি আর মেয়েরাও আমাকে ছাড়া যেতে চাইছিলো না।
যাওয়ার পর আমাদের খাবারের আয়োজন করলেন।খাবারের মেনুতে ছিলো ঝরঝরে পোলাও সাদা ভাত,সবজি,বোয়াল মাছ ভুনা, মুরগির রোস্ট,মুরগির মাংস ভুনা,পায়েস মিষ্টি কেক।রাতে আমি খুব একটা খাবার খাই না কিন্তু ময়না ভাবির বড় বোন লেবু আপার রান্না খুবই চমৎকার হয়েছিলো যে অনেক গুলো খাবার খেয়ে ফেলছি।সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে পোলাও আর বোয়াল মাছ ভুনা খেতে। বাকিগুলোও খুবই চমৎকার হয়েছিলো।এতকিছু খাবার পরেও পায়েস খেয়েছি তার কারন পায়েস রান্নাটাও বেশ ভালো ছিলো। সবকিছু মিলিয়ে খাবারের স্বাদ ছিলো অসাধারণ।মাঝে মাঝে এরকম জন্মদিনের নিমন্ত্রণ পেলে বেশ ভালোই লাগে তাই না!,😁
যাইহোক হাসান হোসাইনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।তারা যেনো মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।আপনারা সকলেই ওদের জন্য আশীর্বাদ দোয়া করবেন এই প্রত্যাশা রেখে আজ এখানেই শেষ করছি।
হঠাৎ নিমন্ত্রণ পেলে বেশ ভালই লাগে হঠাৎ এরকম নিমন্ত্রণ পেলে খাওয়া-দাওয়া টা বড় কথা নয় অনেকের সঙ্গে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্তে ব্যক্ত করা যায়। আপনাদের ফ্ল্যাটের সকলে মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো হাসান হোসাইন জন্মদিন উপলক্ষে সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেখানে গিয়ে। সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার পাশাপাশি মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া,যেকোনো অনুষ্ঠানে খাওয়াদাওয়া টা বড় কথা নয়, সবাই মিলে একত্রে হওয়া এবং ভালো কিছু মুহুর্ত কাটানোটাই আনন্দের।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এমন মজার মজার মুখোরোচক খাবারের ছবি দিয়ে ভরা পোস্ট গুলো পড়তে ভীষণ কষ্ট হয়! তাও ভালো একটু আগেই লাঞ্চ সেরে ফেলেছি বলে পেটে খুধা নেই! লাঞ্চের আগে এই পোস্ট দেখলে তো বাসার রান্না খেতেই মন চাইতো না বুঝি! খুব ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে। মানুষ কে খাওয়ানো এবং দান করা দুইটিই বেশ ভালো কাজ। জন্মদিনে অযথা টাকা নষ্ট না করে এমন ভালো কাজ করেছেন তাদের মা, এতে অনেক মানুষের দোয়াও পাবেন আশা করি। বার্থডে বয়দের জিন্য শুভকামনা রইলো, মানুষ এর মতোন মানুষ হোক।
ঠিক তাই খাবার খাওয়ার আগে লোভনীয় খাবার চোখে পড়লে তখন বাসার খাবার একদম খেতে মর চায় না।😅হ্যাঁ মসজিদে টাকা দেওয়াতে অনেক ভালো হয়েছে এতে করে অনেক দোয়া পাবে।ধন্যবাদ মনা।
হাসান হোসাইনের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা। দেখেছিলাম হাসান,হোসাইন কে খুব শান্তপ্রকৃতির বাচ্চা দুটো।ভাবি তো দারুণ সুস্বাদু সব খাবারের আয়োজন করেছেন।ইসলামি নিয়ম ও মেনেছেন এবং সবাইকে নিয়ে খাওয়াদাওয়ার ব্যাবস্থাও করেছেন সুন্দর ভাবে।সব মিলিয়ে খুব সুন্দর আনন্দের সময় পার করেছেন সবাই।আসলে মাঝে মাঝে এরকম নিমন্ত্রণ পেলে বেশ ভালোই লাগে খাওয়াটাই বড়ো কথা নয় সবাই মিলে আনন্দের সময় পার করাটাই অনেক বড়ো।
হ্যাঁ ইসলামিক মতাবেক সবকিছু করেছেন এবং পাশাপাশি সবাইকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিলো জন্মদিনের আয়োজন।ধন্যবাদ।
ভালোই করেছেন আপু হাসান হোসেনের জন্মদিনে গেয়েছেন। শুনে ভালো লাগলো আপনাদের ফ্লাটে 16 পরিবার সবাই যেকোন অনুষ্ঠানে জন্মদিন এবং বিয়েতে একজনকে একজন নিমন্ত্রণ করে। আসলে এরকম অনুষ্ঠানে গেলে নিজের কাছে ভালো লাগে। তবে এটি ঠিক অনেকে এরকম অনুষ্ঠানে গিয়ে খেতে পারে না। হাসান হোসেনের জন্মদিনে তাদের জন্য দোয়া রইল। অনেক বছর পর তারা তাদের মা বাবার পরিবারে আলোকিত করে দুনিয়াতে এসেছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া আমাদের এখানে অনেক গুলো পরিবার একসাথে থাকার কারনে,প্রায়ই কোনো না কোনো অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।জ্বি ভাইয়া অনেক বছর পর তারা দুটি সন্তান পেয়েছে।তাদের দোয়া করবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হাসান,হোসাইনের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সত্যি আপু যেতে না চাইলেও অনেক সময় সামাজিকতা রক্ষার জন্য যেতে হয়।আর মেয়েরা মা কে ছাড়া যেতেও চায় না।ইসলামী মাইন্ডের লোকজন জন্মদিন আসলে করতে চায় না।তারপরে ও সবাইকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করানো মনের একটা শান্তি।এতো বছর পর সন্তান হয়েছে বলে কথা।ময়না ভাবীর বড় বোন চমৎকার রান্না করেছেন।ফটোগ্রাফি দেখে ও বেশ বুঝতে পারছি। যাক জন্মদিনে খাওয়া খুব ভালোই হলো।ধন্যবাদ আপনাকে আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ইচ্ছে না থাকলেও সামাজিকতা রক্ষার জন্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়।সবকিছু খাবার অনেক মজার ছিলো। ধন্যবাদ আপু।
হঠাৎ যে কোন দাওয়াত পেলে বেশ ভালই লাগে। খাবারের আইটেমও তো দেখছি অনেক প্রকার। আপনি যদিও রাতে খান না তারপরও রান্না সুস্বাদু হয়েছিলো তাই ভালই মজা করে খেয়েছিলেন। আমার পক্ষ থেকেও হাসান হোসাইনের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
হঠাৎ দাওয়াত পেলে ভালোই লাগে।আমি খাবো না খাবো না করেও অনেক গুলো খেয়ে ফেলছি।প্রতিটি খাবার অসাধারণ ছিলো।ধন্যবাদ।