কলার মোচা ও সুগন্ধি চালের ঘন্ট।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
মোচার পুষ্টিগুণ
কলার গুণের শেষ নেই। ফলের মতো এই গাছের প্রায় প্রতিটি অংশই কোনো না কোনোওভাবে ব্যবহার করা যায়। অনেকের হয়তো জানা নেই, কলার মতো এর মোচাও দারুণ উপকারী। এতে শরীরের জন্য উপকারী ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়।কলার মোচার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান পুষ্টিগুণে ভরপুর। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যতালিকায় নিয়মিত এ খাবারটি রাখতে পারেন।
চলুন রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ |
---|
কলার মোচা |
চিনিগুড়া চাল |
আলু |
আদাবাটা |
জিরাগুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
লবণ |
হলুদগুঁড়া |
কাঁচামরিচ |
গোটা জিরা |
তেজপাতা |
গরমমসলা |
ঘি |
চিনি |
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে কলার মোচার খোসা ছাড়িয়ে বেছে নিয়েছি। তারপর কুঁচি কুঁচি করে কেটে হলুদ জলে ভিজিয়ে রেখেছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
অল্প পরিমাণে পোলাওয়ের চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রেখেছি।
তৃতীয় ধাপঃ
এবার একটা পাত্রে জল দিয়ে ধুয়ে রাখা মোচা গুলো দিয়ে ভাপিয়ে নিয়েছি,যাতে কস ভাবটা চলে যায় ।তারপর জল ঝরিয়ে নিয়েছি।
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গোটা জিরা কাঁচামরিচ ফালি ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়েছি।তারপর ছোট ছোট টুকরো করা আলুগুলো দিয়ে লবণ হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
ভাজা আলুর মধ্যে ভিজিয়ে রাখা চাল গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
এবারে কলার মোচা গুলো দিয়ে হালকা আঁচে অনেকক্ষণ ধরে ভেজে নিয়েছি।তারপর আদাবাটা জিরাগুঁড়া দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
এবার সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে মসলাগুলো কষিয়ে নিয়েছি যাতে কাঁচা গন্ধ না আসে।কষানো হলে পরিমাণ মতো জল দিয়েছি যাতে চালগুলো সিদ্ধ হয়।
পঞ্চম ধাপঃ
জল দেওয়ার পর কিছুক্ষণ ঢেকে রেখেছি।সবকিছু ফুটে উঠলে গরমমসলা বাটা ঘি স্বাদমতো চিনি বিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।অনেকক্ষণ ধরে নেড়েচেড়ে জল শুকিয়ে আঠালো হয়ে আসলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার ও সুগন্ধযুক্ত কলার মোচার ঘন্ট রেসিপিটি।
পরিবেশন
চুলা থেকে নামিয়ে একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি।এখন গরম ভাতের সাথে পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত কলার মোচা ও সুগন্ধি চালের মজাদার ঘন্ট রেসিপি টি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি আশাকরি আপনাদের সকলের অনেক ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
সত্যি আপু কলার যেমন অনেক গুণ তেমনি কলাগাছের অনেক গুণ। কলা গাছের বিভিন্ন অংশ খেতে অনেক ভালো লাগে। কলার মোচা ও সুগন্ধি চালের ঘন্ট রেসিপি দারুন হয়েছে। যদিও এই খাবারটি কখনো খাওয়া হয়নি। তবে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লাগলো।
জ্বি আপু এই রেসিপি টি অনেকেই জানেন না।এটা আমার মায়ের হাতের রেসিপি।ধন্যবাদ আপু।
ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। কলার মোচা এবং সুগন্ধি চালের ঘন্ট রেসিপিটি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। কলার মোচা দিয়ে এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করা যায় তা আমার জানা ছিল না। আপনার তৈরি করা দেখে শিখে নিলাম। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই আপু ট্রাই করে দেখবেন আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
সত্যি কথা বলতে কি কলার মোচার চেয়ে কলার থোড় আলুর সাথে ভাজি করলে বেশি খেতে ভালো লাগে। কিন্তু দুইটার একটাও আপনার ভাবি জানতে চায় না। সুন্দরভাবে আপনি রান্না করে দেখিয়েছেন দেখে লোভ সামলানো সত্যি কঠিন। এজাতীয় তরকারি গুলো রুটির সাথে বেশি মানায়।
কলার থোর বলেন আর মোচা বলেন সবগুলোই খেতে অসাধারণ লাগে।ভাবি জানতে চায় না তার কারন হলো এগুলো অনেক ঝামেলার কাজ তাই উনি ঝামেলা এড়িয়ে চলেন।😁ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ দিদিভাই! দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছো। মা আলু দিয়ে কলার মোচা ঘন্ট করে বাসায়, এভাবে পোলাও চাল দিয়ে বোধ হয় খাওয়া হয় নি। আর যে ঘি ব্যবহার করেছো, দেখেই মনে হচ্ছে পিওর ঘি! সব মিলিয়ে খেতে নিশ্চয়ই খুবই মজার হয়েছে। আজ দূরে থাকি বলে খালি দেখেই যেতে হয়।
হা হা হা,দূরে থেকে শুধু চোখ দিয়ে দেখো আর খাবারের তৃপ্তি অনুভব করো।😁😁হ্যাঁ মনা এখানকার ঘি একদম পিওর ঘি।সবমিলিয়ে খেতে অসাধারণ হয়েছিলো।
মোচার উপকারীতা সম্পর্কে আমি আগে থেকেই জানতাম কিছু টা। মোচার ঘন্ট আগেও খেয়েছি। অসাধারণ সুস্বাদু একটা খাবার। চিংড়ি দিয়ে এটা আরও বেশি সুস্বাদু লাগে। কিন্তু চাউল দিয়ে এইভাবে মোচার ঘন্ট কখনোই খাইনি। বেশ চমৎকার তৈরি করেছেন রেসিপি টা আপু। একেবারে লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন সত্যি দেখে জিভে জল চলে এলো।
কলার মোচা ভাজি আমার খুবই প্রিয় বিশেষ করে তার মধ্যে যদি চিংড়ি মাছ দেওয়া হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।
যে রেসিপি প্রস্তুত করেছেন ফটোগ্রাফি দেখে যে কেউ লোভে পড়ে যাবে আমার মত।
সুগন্ধি চাল দিয়ে কলার মোচার ঘন্টা সত্যি অনেক মজাদার। কলায় যেমন পুষ্টিগুণ তেমনি কলার মোচায়ও অনেক পুষ্টি। ঠিক বলেছেন কলা গাছের কোন না কোন অংশ সবজি হিসেবে ব্যাবহার করা যায়।আপনার রেসিপিটি লোভনীয় হয়েছে। খুব ভালো লাগছে।প্রতি ধাপ সুন্দর গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
কলার মোচা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। কিন্তু এভাবে কলার মোচা দিয়ে সুগন্ধি চালের ঘন্ট কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। কলা যেমন উপকারী তেমনি কলার মোচাও খুব উপকারী। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।