ক্ষীরের লাড্ডু রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজ আমি একটি রেসিপি ব্লক নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
লাড্ডুর নাম শুনে জিভে জল আসে মিষ্টিপ্রেমীদের। দোকান থেকে মজাদার সব লাড্ডু কিনে এনে খাওয়া হয় নিশ্চয়ই? লাড্ডু অনেক প্রকারের হয়ে থাকে।বুটের ডালের লাড্ডু,বেসনের লাড্ডু,মতিচুরের লাড্ডু।আরও অনেক রকমের লাড্ডু বাজারে দেখতে পাওয়া যায়।
আজ আমি খাঁটি গরুর দুধের লাড্ডু তৈরি করেছি।
লাড্ডু তৈরি করা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। রেসিপি জানা থাকলে খুব সহজে ঘরে বসেই তৈরি করা যায় মজাদার লাড্ডু।আজকের লাড্ডু রেসিপিতে আমি বাড়তি কোনো চিনি যুক্ত করিনি।দুধের মিষ্টি স্বাদ আর কনডেন্স মিল্ক এর যতটুকু মিষ্টতা তাই দিয়ে যতটুকু মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায় সেটাই করেছি।কারন অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন আবার কারো চিনি খাওয়া বাড়ন,তারা নিঃসন্দেহে এই ক্ষীরের লাড্ডু টি খেতে পারবে।চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
ক্ষীরের লাড্ডু
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
গরুর দুধ | ১ লিটার |
কনডেন্স মিল্ক | হাফ কৌটো |
গুঁড়ো দুধ | ১০০ গ্রাম |
কাঠবাদাম | ৮-১০ টি |
কাজুবাদাম | ৮-১০ টি |
কিসমিস | সমপরিমাণ |
ধাপ-১
প্রথমে চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি।তারপর গরুর দুধ গুলো কড়াইয়ে দিয়ে দিয়েছি। অল্প আঁচে বেশ কিছুক্ষণ ধরে গরুর দুধগুলো ভালো করে জাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
দুধ জাল দেওয়া হয়ে গেলে তার মধ্যে কনডেন্স মিল্ক দিয়ে দুধের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।আরো কিছুক্ষণ ধরে জাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার বাদাম কুঁচি ও কিসমিস গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর নেড়েচেড়ে দুধের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।এবার গুঁড়ো দুধ গুলো ঢেলে দিয়েছি,তারপর খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি যাতে দলা পেকে না যায়।
ধাপ-৪
গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে নেওয়ার পর খুবই অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে দুধ ঘন করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
দুধ ঘন হয়ে আসলে ঘনঘন নাড়তে থাকলাম যাতে করে নিচে ধরে না আসে।একটা সময় দুধগুলো শুকিয়ে গিয়ে বেশ কিছুটা লাল লাল হয়ে আসছে, তখন চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করতে দিয়েছি।
ধাপ-৬
এবারে একটা প্লেটে ঢেলে নিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে সফট ডো হয়ে আসলে,তখন ছোট ছোট গুটি করে নিয়ে নিয়েছি।তারপর দুই হাতের সাহায্যে লাড্ডুর গুলো বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
সবগুলো লাড্ডু তৈরি হয়ে গেলে, একটা প্লেটে কিছুটা গুঁড়ো দুধ নিয়েছি। তারপর গুঁড়ো দুধের মধ্যে একটা একটা করে লাড্ডু দিয়ে চারপাশে গড়িয়ে নিয়েছি।তারপর উপর দিয়ে কিছুটা বাদাম কুঁচি দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার ক্ষীরের লাড্ডু রেসিপিটি।
পরিবেশন
আজ এখানেই শেষ করছি।আবার দেখা হবে অন্য কোনোোো সময় অন্য কোন নতুন রেসিপি নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
ধন্যবাদ🙏
বাংলা উইটনেস
OR
দারুণ একটা রেসিপি এটা সত্যি, শিখে নিলাম ভালোভাবে যাতে বাড়িতে ট্রাই করতে পারি। আশা করছি বাড়ীতে এটা তৈরী করতে পারবো আর না পারলে আপনার ভাবিকে দিয়ে বানিয়ে নিবো হা হা হা।
ভাবি কে দিয়ে কষ্ট করানোর কি দরকার ভাইয়া!আপনি নিজেই করবেন আর না পারলে আমাকে বলবেন আমি বানিয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।😁😁ক্ষীরের লাড্ডু রেসিপি টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।যদি কখনো সুযোগ হয় অবশ্যই বানিয়ে কমিউনিটির সবাইকে খাওয়াবো।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।❤️
ক্ষীরের লাড্ডু রেসিপি টা খুবই চমৎকার হয়েছে,বিশেষ করে পরিবেশনার সেই ছবিগুলো দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে দেখেই মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হবে।
জ্বি ভাইয়া খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে।ধন্যবাদ।
ক্ষীরের লাড্ডু রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। এত মজাদার একটি রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন। আর এই লাড্ডু রেসিপি আমার খুবই প্রিয়।
ক্ষীরের লাড্ডু কমবেশি সকলেরই খুবই পছন্দের একটি খাবার। ধন্যবাদ ভাইয়া।
লাড্ডু খেতে আমি অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি। আজকে যেভাবে আপনি এরকম সুন্দর একটি লাড্ডু রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন তা দেখে একদম লোভনীয় মনে হচ্ছে৷ আপনার কাছ থেকে এই রেসিপি দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য৷
লাড্ডু খেতে আমারও খুব পছন্দের খাবার। দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খতেও ততটাই সুস্বাদু হয়েছিলো ভাইয়া।ধন্যবাদ।
বাজারের দোকানগুলোতে আমি যখন এই জাতীয় মিষ্টি বিক্রয় করতে দেখি তখন মনে চিন্তা জাগে কিভাবে এগুলো তৈরি করে। তবে ছেলেমানুষ হওয়ায় এর বেশি গুরুত্ব করা হয় না। আজকে যাই হোক পোস্ট পড়তে এসে সুন্দর এই রেসিপি তৈরি করার সম্পূর্ণ বিষয়গুলো ধারণা পেলাম এবং জানতে পারলাম।
দোকানে হরেকরকম লাড্ডু পাওয়া গেলেও বাড়ির তৈরি লাড্ডু মতো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী লাড্ডু পাওয়া সম্ভব হয় না।আপনি চিনি না দিয়ে অসাধারণ লাড্ডু তৈরি করেছেন এই লাড্ডু নিশ্চয়ই দুধের স্বাদ ও দুধের মিষ্টির কারণে স্বাদ দ্বিগুণ হয়েছে । তৈরি পদ্ধতির প্রতিটি ধাপ অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছো বাজারের কেনা লাড্ডুর চেয়ে বাসার তৈরি লাড্ডু খেতে খুবই সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে।তোমাকেও ধন্যবাদ জানাই সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
মিষ্টি কোন জিনিস খেতে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না, তবে মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। আপনি মজাদার ক্ষিরের লাড্ডু রেসিপি তৈরি করেছেন, যেটা দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তবে আমার কাছে কিন্তু এই লাড্ডু দেখে অনেক ভালো লেগেছে। ইচ্ছে করছে এখনই দুই একটা নিয়ে খেয়ে ফেলি। আপনি এক্সট্রা কোন মিষ্টি কিছু এখানে মিক্স করেননি এটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই এটা খুব মজা করে খেয়েছিলেন আপনারা।
জ্বি ভাইয়া আমি এখানে বাড়তি কোনো চিনি যোগ করিনি,তাই নিঃসন্দেহে যেকেউ খেতে পারবে।মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো আমিও খেতে খুব একটা পছন্দ করি না।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ক্ষীরের লাড্ডু আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনি আমার ফেভারিট লাড্ডু তৈরি করেছেন। আমার জন্য কয়েকটা পার্সেল করে পাঠিয়ে দিতেন, তাহলে আমিও খেতে পারতাম। আগে আমাদের বাড়িতে ক্ষীরের লাড্ডু অনেক বেশি তৈরি করা হতো। বলতে গেলে আমার ফ্যামিলির সবাই এটা খেতে পছন্দ করত। আজকে আপনার পোস্টে দেখে আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই অনেক বেশি মজাদার ছিল এই লাড্ডু।
আমার ভুল হয়েছে ক্ষমা করে দিন।😁😁😁এর পরের বার তৈরি করলে অবশ্যই পার্সেল পাঠিয়ে দিবো আপু।অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো আপু।ধন্যবাদ।
দিদি আপনার নামে অবজেকশন আছে 🙂
এরকম লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আমাদেরকে লোভ দেখানোর কোন মানে হয়। সত্যি অনেক লোভনীয় লাগছে ক্ষীরের লাড্ডু দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে।
সবাইকে লোভ দেখানোর জন্যই তো এই রেসিপি টি তৈরি করা হয়েছে ভাই।😁😁একদিন চলে আসো ছোট ভাই অবশ্যই খাওয়াবো।ধন্যবাদ।
লাড্ডু খেতে সবাই পছন্দ করে। সাধারণত দোকান থেকেই কিনে খাওয়া হয়। ক্ষীরের লাড্ডু দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
লাড্ডু খেতে খুবই পছন্দ করি তাই আমি মাঝে মাঝে দোকান থেকে কিনে খাই। তবে দোকানের লাড্ডু তে অনেক মিষ্টি তাই স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।আমার লাড্ডু রেসিপি টি দেখে খেতে মন চাইলে চলে আসুন একদিন আপু আবারও তৈরি করে খাওয়াবো।ধন্যবাদ আপু।❤️