মা দুর্গার মুখশ্রী।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
"মা দুর্গা"
বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। এই পূজা শরৎকালে হয় বলে একে শারদীয়া দুর্গাপূজাও বলা হয়ে থাকে। প্রতিবছর আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত এই উৎসব পালিত হয়। মা দুর্গাকে শক্তির দেবী বলা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয়েছে দেবী দুর্গা দশ দিন ধরে অশুর মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন এবং দশম দিনে তাকে হত্যা করেছিলেন। এই বিজয়ের আনন্দ আমরা দুর্গাপূজার উৎসব পালন করি মহাআড়ম্বরে।দুর্গাপূজার উৎসব নানাভাবে সর্বত্র পালিত হয়।
আজ আপনাদের সাথে মাটির থালায় মা দুর্গার সুন্দর একটি মুখশ্রী চিত্রাঙ্কন শেয়ার করতে যাচ্ছি।আমি চিত্রাঙ্কন এ একদম পারদর্শী নই তাই কখনো চেষ্টাও করে দেখি না।আজকের চিত্রাঙ্কন টি আমার বড় মেয়ে বর্ষা চাকী করেছে।আমি আগেই বলেছিলাম যে আমার মেয়েদের বিভিন্ন বিষয়ে ছোটখাটো প্রচেষ্টা গুলো আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বড় মেয়ের একটি চিত্রাঙ্কণ শেয়ার করতে যাচ্ছি,আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন তাহলে চিত্রাঙ্কণ টি দেখে নেওয়া যাক।
ধাপ-১
প্রথমে মাটির থালাটা সাদা রং দিয়ে পুরোটা রং করে নিয়েছে।তারপর কয়েক ঘন্টার জন্য রেখে দিয়েছে,যাতে করে সবগুলো রং একসাথে না লেগে যায়।
ধাপ-২
রং শুকিয়ে গেলে কালো রং দিয়ে মা দুর্গার মুখের পুরো আউটলাইন এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৩
এবার মুখের স্কিন রং করে নিয়েছে।
ধাপ-৪
এবার মায়ের ত্রিনয়ন আইভ্রো সহ এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৫
এবার নাক ও ঠোঁট এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৬
এবার মাথার চুল গুলো এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৭
এবার সোনালী রং দিয়ে কানের দুল এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৮
এবার লাল রং দিয়ে মাথার সিঁদুর কপালের টিপ ও চোখের কোনে রক্তবর্ণ করে এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৯
এবার নাকের নথ এঁকে নিয়েছে আর এরই মধ্যে দিয়ে পুরো আর্ট টি সম্পন্ন হয়েছে।
"ফাইনাল লুক"
আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
পুজো যে প্রায় চলে এসেছে তা আপনার পোস্ট থেকে বুঝতে পারছি। পিচ্চির আর্টের হাত বরাবরই অনেক সুন্দর। ও নিয়মিত চর্চা করলে অনেক ভাল কিছু করতে পারবে। মা দূর্গার মুখশ্রী মাটির পটে খুবই সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ বর্ষার সুন্দর চিত্রকর্ম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছো চর্চা করলে সত্যিই অনেক ভালো কিছু করবে।কিন্তু সমস্যা হলো করতে চায় না আর আমিও জোর করিনা কারন সামনে পরীক্ষা তাই।পরীক্ষার পর এগুলো নতুন করে আবার শুরু করতে হবে।ধন্যবাদ তোমাকে।
কি দারুণ হয়েছে, সামনে পূজা এটা একদম ভুলেই গেছিলাম আজকে মা দূর্গার মুখশ্রীর চিত্র টি দেখে মনে পড়ে গেলো এবং পূজা,পূজা ভাব চলে আসলো মনের ভিতরে।ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
দেখতে দেখতেই পুজো চলে আসলো।ছোটবেলায় অনেক দিন আগে থেকেই পুজোর প্রস্ততি গুলো দেখে দিন পার হতো।এখন আর সেই আনন্দ পাওয়া হয় না।ধন্যবাদ তোমাকে।