বড় মেয়ের জন্মদিনের কিছু মুহুর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশর গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমি আমার ব্লগ টি আপরাদের সাথে শেয়ার করছি।আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখ আমার কলো আলো করে বড় মেয়ে এই পৃথিবীতে আসে।তখন আমার বয়স খুবই কম তাই সন্তান লালনপালন করার মতো কোনো যোগ্যতায় আমার ছিলো না।আমি একটা জিনিস লক্ষ করেছি যে একজন মেয়ে যতই কম বয়সের হোক না কেনো,যখনি সে সন্তানের জন্ম দেয় তখন আপনাআপনি তার মধ্যে পরিপক্বতা সৃষ্টি হয়।ঠিক তেমনি আমার ক্ষেত্রে হয়েছিলো।ওর বাবা ডিফেন্স এর চাকরি করে তাই তার কাছ থেকে খুব বেশি সহযোগিতার আশা করা ঠিক নয়,তারপরও সে যথাসাধ্য অনুযায়ী আমাকে সহযোগিতা করেছে সবসময়ই।অনেক কষ্ট করে একা হাতে মেয়েকে বড় করে তুলেছি।
দেখতে দেখতেই মেয়েটা কখন যে বড় হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না।আমি কখনোই মেয়েদের জন্মদিন খুব বড়সড় করে করিনি।আগে যখন ঢাকায় থাকতাম তখন বেশিরভাগ জন্মদিন গুলো @tithyrani দের বাসায় পালন করা হতো।আমার মেয়েরা মাসিমনি বলতে পাগল আর তাদের মাসিমনিও ওদের খুব ভালোবাসে এবং ওদের জন্মদিনের কেক আনা সব আয়োজন করা তাদের মাসিমনিই করতো,আমাকে কিছুই করতে হতো না।২০২০ সালে যখন ঢাকা ছেড়ে চলে আসি ডিসেম্বর ১৯ তারিখ রাত ১২টায় তাদের মাসিমনি মামারা মিলে জন্মদিন পালন করেই ২০ তারিখের রওনা হয়েছি।সেই দিনগুলোকে খুব মিস করি।
সামনেই মেয়ের পরীক্ষা তাই ভেবেছি বাসায় ছোটোখাটো একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো
এবং সবাইকে খাওয়ায় একটু আনন্দ এবং আশীর্বাদ দোয়া নেওয়ার ব্যবস্থা করবো।তাই আমার বৌদি @shapladatta কে আসতে বলেছিলাম যাতে করে দুজন মিলে রান্নাবান্না করতে পারি।কিন্তু হঠাৎ করেই হরতাল অবরোধ এর কারনে বৌদি আসতে পারলো না আর তাই আমাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হলো।
রান্নাবান্না আমার কাছে কোনো ব্যাপার না কিন্তু ওসব করতে গিয়ে যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন তো মেয়ের পিছনে দৌড়াতে পারবো না।হাসবেন্ড কোনোভাবেই চাইছিলো না যে আমি একা এসব করি। সে সবসময়ই আগে আমার ভালো চিন্তা করে।তাই বাধ্য হয়ে বাদ দিতে হলো।কিন্তু মেয়ে তার বান্ধবীদের আগেই বলে রাখছে যে তাদের এবারের জন্মদিনে খাওয়াবে।ওদের না করলে মেয়ের মন খারাপ হবে আর ও ছোট হয়ে যাবে তাই ওদের বন্ধু বান্ধবীদের জন্য রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার করে দিলাম ওরা সবাই বাইরে খেয়ে নিলো।আর সন্ধ্যা বেলার জন্য বৃত্ত কে দিয়ে কেক অর্ডার করেছিলাম ভেবেছিলাম আমরা নিজেরাই কেক কাটবো আর কাউকে বলবো না।শুধু বাড়িওয়ালী আপার ছেলেরা লুচি আলুর দম খেতে চেয়েছিলো ওদের কে লুচি আলুর দম খাওয়াবো।সেদিন শরীর টা বেশ খারাপ ছিলো তাই হিরামনি ভাবিকে ডেকে আনছি আমাকে একটু হেল্প করার জন্য।ভাবি এসে লুচি বানানো শুরু করে আর আমি আলুর দম পায়েস করি।
সন্ধ্যা বেলা দেখি সবকিছু আয়োজন দেখে অনেকই আমার রুমে চলে আসছে, আমি তো তাদের বসতে বলছি আর তারপর এক এক করে বিল্ডিং এর সবাই আসা শুরু করলো।ভাগ্যিস আমি সবকিছু অনেক বেশি পরিমাণে করেছিলাম তা না হলে মানসম্মান আর থাকতো না। সবাই মিলে কেক কাটা লুচি আলুর দম পায়েস কেক খাওয়া হলো। রিতু ভাবি বৃত্ত মিলে পরিবেশন করে সাথে হিরা ভাবি আমি মেয়েরা।এত্তো গুলো লোক হবে বুঝতেই পারিনি যেখানে পাঁচজন হওয়ার কথা সেখানে প্রায় ২৫ জন হয়ে গেছে।আসলে বিল্ডিং এর সবাই আমাদের খুব ভলোবাসে তাই নির্দ্বিধায় আমার বাসায় চলে আসে এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।অনেকেই ভালোবাসা চেয়ে পায় না আর আমি না চাইতেই পাই।
বৃত্ত পছন্দসই কেক অর্ডার করে,যা আমাদের সবার খুব পছন্দ হয়।
ছোট্ট কেক টি কেক&বেক উপহার হিসেবে দেয়।যা দেখতে খুবই কিউট।
উপহার বন্ধু বান্ধবীদের দেওয়া। নীল চুড়ি গুলো বৃত্ত দিয়েছে তার ছাত্রী কে।
সুন্দর শাড়িটি আমাদের বাড়ীওয়ালী আপা ইন্ডিয়া আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল থেকে কিনছেন সেটি মেয়েকে উপহার দেন।আপা আমার মেয়দের খুব ভালোবাসে।
অনেক বড়সড় আয়োজন না করেও সবাই মিলে এতো বেশি আনন্দ করা হয়েছে তা বলার মতো না।আসলে মানুষ কে খুশি করতে অনেক কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না শুধু হাসিমুখে কথা বলা মানুষের প্রতি সন্মান করা ভালোবাসা থাকলেই খুব সহজেই যেকোনো পরিস্থিতিতে আনন্দ উপভোগ করা যায়।সামনে আমার মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা আপনারা সকলেই আমার মেয়ের জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ,দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ।
বড় মেয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা। সবাই মিলে বেশ ভালোই ইনজয় করেছেন। আপনার লেখা অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার বড় মেয়ের জন্য দোয়া রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া। মেয়ের জন্য দোয়া করবেন যাতে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো। এত দারুন ভাবে আপনারা আয়োজন করেছেন।অনেকটা ভালোবাসা পেয়েছেন দেখছি সবার কাছে। ভীষণ ভালো লাগছে এবং আমাদের সকলেরই প্রিয় হিরা মনি ভাবী এসেছে এবং আপনার কাজে সাহায্য করছে এবং সে অনেকগুলা গিফট পেয়েছে এবং দারুন মুহুর্ত উদযাপন করেছেন। আপনারা ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
সেদিন আমি বেশ অসুস্থ ছিলাম তাই হিরা ভাবি আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলো।সেই সাথে বৃত্ত রিতু ভাবি সবাই ছিলো বলেই সবকিছু সুন্দর ভাবে করতে পেরেছিলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভ জন্মদিন, দোয়া করি আপু আপনার মেয়ের জন্য। সে যেন অনেক বড় হতে পারে, আর আপনাদের আশা পূরণ করে। সুন্দর একটি আনন্দ খান ও মুহূর্ত ছিল জন্মদিন উপলক্ষে যেখানে অনেক মানুষের উপস্থিতি। হয়তো একই সাথে আমিও উপস্থিত থাকলে আরও ইনজয় হতো। তবুও অনুভব করলাম সুন্দর এই আনন্দঘন মুহূর্ত।
হ্যাঁ ভাইয়া সবসময়ই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।ওরা আমার স্বপ্ন ওদের ভালো কিছুতে আমি সফল হবো।আপনারা সবাই থাকলে আমিও খুব খুশি হতাম।🙂ধন্যবাদ ভাইয়া।
যখন তোমরা ঢাকায় ছিলে, তখন আমাদেরও যাওয়ার একটা জায়গা ছিলো। বিভিন্ন উপলক্ষে তোমাদের বাসায় বা আমাদের বাসায় এই যাতায়াত টাই তখন বেশ আনন্দময় সময়ের উৎস ছিলো! আমিও আগের দিনের ছবিগুলো এই কথাই ভাবছিলাম! তেমন বড় কোন আয়োজন ছাড়াই কী সুন্দর সময় উপোভোগ করতাম তখন!! অর্থী - ঐশীর জন্য সবসময়ই ভালোবাসা অফুরান ❤️❤️
ঠিক বলেছো মনা তখন মন চাইলেই ঘুরতে যাওয়ার মতো একটা নির্ভরযোগ্য জায়গা ছিলো কাকিমার বাসা।এখন সেই সময় গুলো আমরাও খুব মিস করি।আশীর্বাদ করিও আগামীতে যেনো আবার পাশাপাশি থাকার সুযোগ পাই।ধন্যবাদ মনা।
খুব সুন্দর জন্মদিনের আয়োজন হয়েছে ঘরোয়া ভাবে হলেও বেশ সুন্দর হয়েছে সব কিছু। শুভ জন্মদিন ঐশী। বাসার সবাই যেমন আপনাকে ভালবাসে ঠিক তেমনি হেল্প ফুল সবাই।আসলে জন্মদিনের অনুষ্ঠান হচ্ছে আনন্দের তাই না বললেও সবাই আনন্দ উপভোগ করার জন্যই আপনা আপনি চলে এসেছে এটাই ভালোবাসা। হরতাল অবরোধ না হলে আমি ও যোগদিতাম কিন্তুু হরতাল সব প্লানে জল ঢেলে দিলো।ঐশীর বন্ধুদের সাথে খুব ভালো সময় কাটিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।ঐশীর দাদা তো দেখছি দারুণ চুড়ি উপহার দিয়েছে। শাড়ি টিও খুব সুন্দর হয়েছে। কেক দুটো অসাধারণ। ধন্যবাদ সুন্দর জন্মদিনের ফটোগ্রাফি ও সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। ঐশী দীঘায়ু কামনা করে শেষ করছি।
এটা ঠিক বলছো আমাদের বাসার সবাই খুব হেল্পফুল।বিপদে আপদে সবাই আমরা পাশে থাকি একে-অপরের।বৃত্তর চুড়ি গুলো আমারও খুব পছন্দ হয়েছে কিন্তু আমার হাতে হয় না।😥তোমাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যে কোন অনুষ্ঠানে এভাবেই লোকজন বেড়ে যায় যাই হোক পাঁচজন হওয়ার কথা ছিল সেখানে ২৫ জন হয়ে গিয়েছিল তাতে কি হয়েছে অনেক মজা হয়েছে এটাই তো আনন্দের বিষয়।কেক টা অনেক বেশি সুন্দর ছিল।যাই হোক আম্মাজানের জন্য শুভকামনা রইলো।
ঠিক বলেছো ভাই অনুষ্ঠান মানেই কমবেশি লোক হবেই।আমার বাসায় মাঝে মাঝে এরকম হয়ে যায় না বললেও অনেকেই চলে আসে।ধন্যবাদ ভাই।