ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে আজকের ব্লগ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব। আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছি এগুলো অনেকদিন আগের তোলা। সবগুলো ছবির ডিটেলস আমি নিচে লিখে দিলাম।
প্রথমত যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে হলুদ গোলাপ। একসাথে ৩ টি গোলাপ ফুটে রয়েছে। বৃষ্টির পর যখন পানির কণা গোলাপের পাপড়িতে বসে আছে তখন রোদের ঝলকে চিকচিক করছে।কি যে ভালো লাগে এমন ফুলগুলো দেখতে।সাদা আর হলুদ গোলাপ আমার খুব পছন্দের।
জিনিয়া ফুল,গ্যালারীর এককোণে জায়গা দখল করে আছে।আসলে মাঝে মাঝে অনেক ছবি তোলা হয়।ফুলের বাগান দেখলেই ফুলের ছবিতে ভরে যায় গ্যালারী। আর সেখান থেকেই আপনাদের মাঝে এগুলো শেয়ার করি।রানী গোলাপী রঙের জিনিয়া ফুল, এর মাঝে একটি পোকাও দেখা যাচ্ছে।
ড্রাগন ফলের গাছ।আমার ছোট আন্টির শখের গাছ এটি।ছোট চারাগাছ থেকে এতবড় হয়েছে।অবশ্য চারাগাছটাও সে ড্রাগন ফল থেকে নিয়ে তারপর করেছে।আসলে সে যেকোনো গাছের যত্ন করলে সেটা ভালোই হয়,ফুল ফল ধরে।তবে এই ড্রাগন ফল গাছটা এখনো ছোট আর তাই ফল ধরেনি।শখের বশে ড্রাগন ফল গাছ লাগিয়েছিল ছাদের টবে।
নার্সারিতে প্রথম দিকে বিভিন্ন রকম জবা ফুলের গাছ দেখেছি।সেখানে সাদা,হলুদ,লাল আর গোলাপি জবা ছিল।এগুলো দেখতেই মনকাড়া,আমার তো খুব পছন্দ হয়েছিল ফুলগুলো।আমি সব রঙের ফুলের ছবি তুলেছিলাম আর আজ গোলাপি জবার ছবি শেয়ার করলাম।
আরেকটা হলুদ গোলাপ,যদিও এটি আমাদের বাড়ির সামনের বাগানের।সেখানে তো অনেক জাতের ফুল গাছ আছে।লোকজন বেশি থাকার কারণে সচরাচর যাওয়া হয় না। তবে যখন কেউ থাকে না তখন গিয়েছিলাম আর আমার হাজব্যন্ড সহ এই গোলাপ ফুলগুলোর ছবি তুলেছি।কারণ সেখানে একা গেলে আবার অন্য কেউ এলে সমস্যা। ফুলগুলোর সুগন্ধ খুবই ভালো লাগে,বাড়ির সামনের দিকটা এই ফুলগুলোর কারণে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
আমার জেঠাতো ননদের বিয়ের সময়ে করা এটা।সেদিন হঠাৎ করেই আরেক ননদ আমায় বলতেছে ভাবী শর্টকাটে কিছু একটা করেন। তখন আমি অল্প সময়ের মধ্যে কি করব বুঝতেছিলাম না।আর সাজানোর জন্য কিছু ছিলোও না।পরে কিচেনে দেখলাম ১টা আনার,মাল্টা আর শসা ছিল।তাই একদম অল্প সময়ে এই প্লেটটাকে সাজিয়ে নিয়েছিলাম।
কি মনে হচ্ছে এগুলো দেখে?হয়ত অনেকেই ভাববেন গাছের ছালের অংশ।আমি প্রথমে তাই ভেবেছিলাম।পরে দেখলাম এগুলো ভিন্ন রকম মাশরুম।এটা খাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই,তবে আমার মনে হয় এগুলো বিষাক্ত হতে পারে।নারিকেল গাছের নিচেই দেখলাম এগুলো,দেখতে দারুণ তাই ছবি তুলে নিলাম।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছেন সেগুলো দেখেই যেন মন ভরে যাচ্ছে। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্য থেকে আমার কাছে জিনিয়া ফুলের ফটোগ্রাফি এবং হলুদ রঙের গোলাপের ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে।
হলুদ আর সাদা গোলাপ আমার অনেক পছন্দের,আর এগুলো দেখতেও দারুণ।ধন্যবাদ ভাইয়া,ভালো থাকবেন সবসময়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলা অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। হলুদ গোলাপ ফুল তিনটি দেখতে বেশ ভালই লাগছে। বৃষ্টির পরেই প্রকৃতি যেন এক নতুন রূপ দেখায়। বৃষ্টির পরে রোদ হলে সব কিছু যেন ঝকমক করে। আপনার ননদের বিয়ে প্লেটটি সাজানো অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।
আপনার সুগঠিত মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগছে আপু।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজ ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফিতে পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।খুব সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফিগুলো।ফুল সব সময়ই সুন্দর। তবে ফুলের পাশাপাশি ননদের বিয়েতে সালাদ ডেকোরেশন ও খুব ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হঠাৎ মুহূর্তের মধ্যেই সালাদ দিয়ে ডেকোরেশন করেছিলাম তাই স্টেপসর্ট তোলা হয়নি।ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন আপু ফুলের বাগানে গেলে গ্যালারি একদম ভরে যায়। এত সুন্দর সুন্দর ফুল দেখে ফটোগ্রাফি না করে থাকা যায় না। আপনার আজকের ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। তাছাড়া আপনার ননদের বিয়েতে সাজানো প্লেটটাও খুব ভালো লাগছে দেখতে। সবগুলো ফটোগ্রাফিই চমৎকার হয়েছে।
ভালো লাগলো আপু,আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য দেখে।অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভিন্ন ভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন প্রতিটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। খুব গুছিয়ে লিখেছেন।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য দেয়ার জন্য।
অনেকদিন আগে ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলেন এবং সেই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে বিশেষ করে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রতিটি মেম্বার অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করছে প্রতিনিয়ত। আপনার আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে এক এবং ছয় নম্বর ফটোগ্রাফিতে অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালো লাগে আমার।তবে আপনার ফটোগ্রাফিও খুব সুন্দর হয় ভাইয়া।
https://twitter.com/bristy110/status/1692393567610908856?s=20
একই রকম ফটোগ্রাফি না করে যদি ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি করা যায় তাহলে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। আপনি আজকে ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে আজকের এই ব্লগ তৈরি করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফির মধ্যে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনার ননদ আসায় আপনার অল্প সময়ের মধ্যে আনার মালটা শসা দিয়ে সুন্দর করে প্লেট সাজিয়েছেন এটা দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছে। নিচের ফটোগ্রাফিটা যদিও দেখতে মাশরুমের মত কিন্তু এগুলো হচ্ছে ব্যাঙের এক ধরনের ছাতা যেগুলো বিষাক্ত। এগুলো ভেজা স্যাতসেতে জায়গাতে দেখা যায়।
আসলে ভিন্ন ভিন্ন ছবিগুলো খুঁজে খুঁজে শেয়ার করা হয়,কারণ গ্যালারীতে অনেক ছবিই আছে।তবে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
অনেকদিন আগের তোলা হলেও ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যেটা সবার কাছেই ভালো লাগবে কারণ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সবাই পছন্দ করে। তার পাশাপাশি মাশরুমের ফটোগ্রাফিটি দারুন ছিল। ছোটবেলায় মাসরুম নিয়ে অনেক খেলাধুলা করেছি তখন জানতাম না কোনটা বিষাক্ত যাই হোক ভালো লাগলো।
এই মাশরুম গুলো দেখতে ভিন্ন রকম,মনে হয় খাওয়া যায় না।তবে ফটোগ্রাফি করতে ভালো লেগেছিল।