আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।এই অসময়েও সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আজকে আমি আপনাদের সাথে রসুনের আচারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য এসেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে৷ রসুন কিন্তু সবার জন্যই বেশ উপকারী।এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আর রসুনের আচার যেমন মুখরোচক তেমনি উপকারী। তেতুল দেয়ার কারণে এর মধ্যে টক ভাব আসে,আর খেতেও ভালো লাগে।সাধারণত রসুনের আচার খিচুড়ি, বিরিয়ানী,বা গরম ভাতের সাথে খেতে ভালো লাগে।আমাদের বাসায় তো প্রায়ই তৈরি করি এই আচার,কারণ আমার খুব পছন্দের আচার এটি।যাইহোক গত কয়েকদিন আগেই এটি তৈরি করেছিলাম কিন্তু শেয়ার করা হয়ে উঠেনি।তাই আজকে চলে এলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে।
রসুনের আচার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ |
উপকরণ | পরিমাণ |
বড় রসুন | ৫/৬টি |
তেতুল | আধা কাপ |
রসুন বাটা | ১চা চামচ |
আদা বাটা | আধা চা চামচ |
লবণ | সামান্য পরিমাণ |
চিনি | ৩ টেবিল চামচ |
হলুদ গুড়ো | আধা চা চামচ |
মরিচ গুড়ো | ১ চা চামচ |
শুকনো মরিচ | ৩টি |
কালোজিরা | আধা চা চামচ |
সাদা সরিষা | ১ চা চামচ |
জিরা | ২ চা চামচ |
মৌরি | ১ চা চামচ |
পাঁচপোড়ন | ১ চা চামচ |
সরিষার তেল | দেড় টেবিল চামচ |
আমি রসুনগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিলাম। এগুলোকে পানি দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রেখে দিলাম।
বাটিতে পরিমাণ মত পানি দিয়ে তেতুল দিয়ে দিলাম।তারপর ৫-১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রেখে দিলাম। নরম হলে হাত দিয়ে কচলে তেতুলের কাথ বের করে অবশিষ্ট বিচি ফেলে দিলাম।
গোটা যে মসলাগুলো ছিল সেগুলো শুকনোভাবে ভেজে নিয়ে গুড়ো করে নিলাম।আধা চা চামচ গোটা রেখে দিলাম।
একটি কড়াই নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এরপরে আমি কড়াইতে এক কাপ পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে দিলাম। তেল হালকা গরম হয়ে এলে এরমধ্যে পাঁচপোড়ন আর শুকনো মরিচ দিয়ে সাথে সাথে নাড়তে থাকলাম।
এখন রসুনের কোয়াগুলো দিয়ে দিলাম।কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে এরমধ্যে দিলাম আদা বাটা আর রসুন বাটা। সবকিছু নেড়ে ভাজতে থাকলাম,সরিষার তেল হওয়ার কারণে ফেনা হয়ে গেল ভাজার সময়।
এই ধাপে হলুদ গুড়ো, মরিচ গুড়ো দিয়ে দিলাম। তারপর দিলাম বিচি ছাড়ানো তেতুলের কাথ।সবকিছু আবার নেড়ে নেড়ে ভেজে নিতে থাকলাম।
এখন পরিমাণ মত লবণ আর চিনি দিয়ে আবারও নাড়তে থাকলাম।সবগুলো উপকরণ একসাথে নাড়তে থাকলাম। বারবার নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে।
এইভাবে আচার ভাজতে ভাজতে যখন রসুন কিছুটা নরম হয়ে আসে তখন গুড়ো করে রাখা পাঁচপোড়ন দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চুলা বন্ধ করে দিলাম।
এইভাবে খুব সহজে তৈরি করে নিলাম রসুনের আচার। আচার তৈরি করার পর আমি এগুলো চুলা থেকে নামিয়ে একটি স্টিলের বাটিতে নিয়ে নিলাম। কারণ যে কড়াইতে আচার করা হয় সেটাতে রাখলে আচার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া স্টিলের কোনো পাত্রে নামিয়ে রাখলে আর রোদে শুকাতে দিলে আচারের টেস্ট অনেক বেড়ে যায়।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
ধরণ | রসুনের আচার |
ক্যামেরা.মডেল | এম ১২ |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
রসুনের আচারের রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। এমনিতে ই রসুন তো স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। তেতুল দিয়ে যে রসুন এর এইভাবে আচার তৈরি করা যায় এর আগে আমি দেখিনি। তবে আচারটি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে খুব চমৎকার ও সাবলীল মন্তব্যের জন্য।💗💗
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ। ্
https://twitter.com/bristy110/status/1692064088124448829?s=20
কিছুদিন আগে কক্সবাজার থেকে রসুনের আচার নিয়ে এসেছিলাম। খেতে খুবই মজা লেগেছিল। কিন্তু কখনো বাসায় এভাবে রসুনের আচার তৈরি করে দেখা হয়নি। আজকেই প্রথম আপনার মাধ্যমে রসুনের আচার তৈরি করার পদ্ধতি দেখতে পেলাম। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রসুনের আচার তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।।্
তেতুল দিয়ে রসুনের আচার তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। মনে হচ্ছে খেতে অনেক ভালো হয়েছিল। খিচুড়ির সাথে রসুনের আচার খেতে বেশ ভালো লাগে। আপু আপনার তৈরি করা এই রেসিপি খুবই লোভনীয় লাগছে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মন্তব্য করে উৎসাহ জাগানোর জন্য ধন্যবাদ,।✅
🌱🌱🌱💗💗💗
আপু স্বাভাবিকভাবে যে আচার গুলো রয়েছে সে আচার গুলো খেয়েছি কিন্তু কখনো রসুনে আচার খাওয়া হয়নি। রসুনের আচার খেতে কতটা সুস্বাদু লাগে সেটা আমি জানি না, কিন্তু আপনারা তৈরি করা রসুনের আচার দেখে বুঝতে পারছি এটি খেতে কতটা ভালো হবে। আচার তৈরি প্রতিটা ধাপ আপনি খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ্।।
যেকোনো ধরনের আচার আমার কাছে খেতে ভালো লাগে। তবে রসুনের আচার এভাবে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি করা আচার আমার কাছে খুবই লোভনীয় লাগছে। তেতুলের টক ব্যবহার করায় খেতে নিশ্চয় আরও বেশি মজা হবে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য করে উৎসাহ জাগানোর জন্য ধন্যবাদ,🌱
আপু তেতুলের সাথে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে রসুনের সুন্দর আচার তৈরি করেছেন যেটা দেখেই তো জীভেতে জল চলে আসতেছে। না জানি গরম গরম ভাতের সাথেই আচারটা খেতে কতই না টেস্ট লাগবে। খুবই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব চমৎকার ও সাবলীল মন্তব্যের জন্য।💗💗
আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক প্রদানের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একটা সময় রসুনের আচার ছাড়া ভাত খেতে পারতাম না। মুখে রুচি কম থাকলে ভাতের সাথে আচার নিলে খেতে খুব ভালো লাগে। তাই বাজার থেকে রসুনের আচার প্রায়ই কিনে নিয়ে আসতাম। এককথায় দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপির উপস্থাপনাও চমৎকার হয়েছে। রেসিপিটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য 🌱💗