জন্মদিনে হঠাৎ করে ঘুরাঘুরি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আমার জন্মদিন উপলক্ষে সেদিন হঠাৎ করেই ঘুরতে বেরিয়েছিলাম সবাই। আসলে তখন আমি কিছুটা অসুস্থ ছিলাম আর সেজন্য কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করছিল না।আমার ছোটবোন কিছু আয়োজন করতে চেয়েছিল কিন্তু আমি নিষেধ করে দিয়েছিলাম।কারণ আমিও অসুস্থ নিভৃতও কান্নাকাটি করেছে সে কয়েকদিন তাই একা একা সে কিভাবে করবে। যাইহোক তখন আমার হাজব্যন্ড বললো কোথাও থেকে ঘুরে আসতে।অনেকদিন আমরা একসাথে কোথাও বেরোতে পারি না।আর জন্মদিন উপলক্ষে ঘুরাঘুরিও হয়ে যাবে।
যাই হোক তখন ভাবছিলাম শরীরটা তেমন ভালো নেই, তবে বাইরে তো অনেক দিনই যাওয়া হয়নি। হয়তো বাইরে গেলে কিছুটা ভালো লাগবে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম দুপুরে খাওয়ার পর আমরা বের হয়ে যাব। যাওয়ার সময় আমার ভাইকে বললাম সে যাবে কিনা সে রাজি হল। কিন্তু ছোট বোনকে যখন বললাম, বলে যে সে যাবে না। কিন্তু নিভৃত মামমাম করতে করতে তাকেও যেতে বলল। তখন সবাই রেডি হয়ে ধীরে ধীরে বের হয়ে গেলাম। দাগনভূঞা গিয়ে সিএনজি করে যখন যেতে লাগলাম তখন নিভৃত খুব দুষ্টুমি করছিল। মোবাইলের ভিডিওতে ধারণ করেছিলাম কিছু মুহূর্ত।
নিভৃত বেশ খুশি অনেকদিন পর সে বাইরে বের হয়েছে। কারণ সে যখন ঘুরাঘুরি করতে যায় তখন সিএনজিতে করে যেতেই বেশি পছন্দ করে। তখন বাইরের প্রকৃতি দেখতে পারে এজন্য মূলত সে খোলামেলাভাবে যেতেই পছন্দ করে। যাইহোক সে দুষ্টুমি করছি তার বাবার সাথে। সে যখন সামনের দিকে তাকিয়ে ছিল তখন, আবার বললে সে তার বাবার দিকে এমন ভাবে তাকায় যা দেখলে খুব হাসি পায়। এভাবে কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ করে সিএনজি খারাপ হয়ে গেল। তখন আমরা স্কুলের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর আরও একটি সিএনজি এলে সেটাতে উঠে মহিপাল পর্যন্ত চলে গেলাম।
মহিপাল যাওয়ার পর সেখান থেকে চলে গেলাম বিজয় সিং দিঘির পাড়ে। আসলে ফেনীতে থাকা শর্তেও আমি সময়ের অভাবে বিজয় সিং দিঘিতে যেতে পারিনি। আসলে আমার পরিচিত অনেকেই অনেকবার গিয়েছে কিন্তু আমি সেখানে থাকাতেও যেতে পারিনি এটাই আফসোস রয়ে গেল। তাই ভাবলাম একটু ঘুরে আসা যাক। সেজন্যই সবাই মিলে বিজয় সিং দিঘিতে চলে গেলাম। হাটাহাটি করলাম কিছুক্ষণ, নিভৃত তো দুজনের হাত ধরে হাঁটতেছিল। সে কোনমতেই বসতে রাজি না। যেখানে কেউ বসে সবার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে তার সাথে হাত ধরে হাঁটার জন্য। যেহেতু দুপুরের পর বেরিয়েছিলাম, একটু রোদ ছিল। সে জন্য আর বেশিক্ষণ হাটাহাটি করিনি।
কিছুক্ষণ হেটে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর আবার সবাই বেরিয়ে গেলাম। রোদ যখন কিছুটা নেমে যাবে প্রায় বিকেলের দিকটায় এই বিজয় সিং দিঘির পাড়ে বসে আড্ডা দেয়া যাবে। কিন্তু যেহেতু খুব গরম ছিল সেজন্য আর আমরা সেখানে বসার সাহস করিনি। যাই হোক আজ এই পর্যন্ত। তার পরবর্তীতে কোথায় কোথায় গিয়েছিলাম সেটা নিয়ে আবারও আপনাদের মাঝে ফিরে আসব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
https://x.com/bristy110/status/1808357980016201778
নিভৃত কে সত্যি বেশ খুশি খুশি দেখাচ্ছে। জন্মদিন উপলক্ষে সবাই ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগে। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের মুহূর্ত গুলো দেখে। খুব সুন্দর একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে ঘুরতে যেতে ভালোই লাগে। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন সবাই মিলে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আসলে জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিল, আর মনোরম ছিল। ঘুরতে বেশ ভালোই লেগেছিল।