শূন্য পকেট মানুষকে অনেক কিছু শেখায়। শেষ পর্ব।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
তবে এখানে মূল বিষয় হচ্ছে করিম সাহেব তখন বুঝেনি যে আমি কাকে সহযোগিতা করছি এবং মানবতার প্রতিদান পিরে এভাবে আসবে সেটা আসলে তিনি কখনো কল্পনাও করতে পারেননি। বর্তমান সমাজের মানুষের মনের রূপরেখা তার মাঝে এখন পুরোই পরিষ্কার। তবে তার কিছুই করা ছিল না।
কি ভাবছেন এখন! করিম সাহেব এখানে নিস্তেজ হয়ে গিয়েছেন? আরে না ভাই বিধাতা ভালো ব্যক্তির পরীক্ষা নেন এবং উত্তীর্ণ হলে তখন ঠিকই বিধাতা পুরস্কার দেন। হয়তো ইহকালে নাইলে পরকালে। কিন্তু সৌভাগ্যবশত করিম সাহেবের সেই পুরস্কার পাওয়ার সময়টি ইহকালেই হয়ে গিয়েছে।
বন্ধুরা এবার ভাবছেন কিভাবে সেটি সম্ভব? আসলেই সম্ভব, কারণ তার যে একজন ছেলে ছিল সেটি তো আমি প্রথমে বলিনি। কারণ করিম সাহেবকে আমি চেয়েছি সে যেমন সেভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে। তাই তার যে একজন ছেলে ছিল সে বিষয়ে আপনাদেরকে এখন বলছি।
সত্যি বলতে তার ছেলেটি থেকেও না থাকার মত ছিল। কারন ১০ বছর বয়সে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর সর্বশেষ সেই ছেলে আবার পুনরায় ফিরে এসেছে। তবে খালি হাতে নয় প্রচুর অর্থ সম্পদ কামিয়ে তখনই অসহায় বাবার কাছে বিধাতার সহায় হিসেবে ফিরে এসেছে।
এখন করিম সাহেব আগের তুলনায় অনেক বেশি স্বাবলম্বী। আর তার ছেলেও দেশে একের পর এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি করছে। আর এটা দেখে যেসব লোকজন তাকে দেখে পালিয়ে ছিল তারা এখনো পালাচ্ছে লজ্জায়। আর করিম সাহেবও সেটা উপলব্ধি করতে পারছেন।
অবশেষে যেটা বলতে চাচ্ছি, করিম সাহেব অনেক কিছু পেয়েছিলেন জীবনে, আবার অনেক কিছু হারিয়েও ছিলেন। আবার পুনরায় তার ছেলের মাধ্যমে ফিরে পেয়েছেন। তবে এখানে শিক্ষনীয় বিষয় হলো এ পাওয়া না পাওয়ার মধ্যে শূন্য পকেট থাকা অবস্থায় মানুষকে চেনা। আর করিম সাহেব সেটা ভালো করে চিনে গিয়েছেন কারা কেমন মানুষ। আর আগামীতে করিম সাহেব ঠিকই জেনে বুঝে সমাজে বিচরণ করবেন।
যাই হোক বন্ধুরা এই ছিল করিম সাহেবের ঘটনা। তো বন্ধুরা যারা কষ্ট করে পুরো ব্লগটি পড়েছেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কেমন লেগেছে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।
(চলবে.......)
https://steemit.com/hive-129948/@bristy1/2l3lwk
(গত পর্বের পোস্ট লিঙ্ক)
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | গল্প |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সাপোর্ট করার জন্য।অনেক ভালো লাগে যখন আমার পোস্ট কেউ সাপোর্ট করে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সাপোর্ট করার জন্য। ভালো লাগে যখন আমার পোস্ট কেউ সাপোর্ট করে।
পকেটে যখন টাকা থাকে তখন আশেপাশে অনেক বন্ধু বিচরণ করে। কিন্তু পকেটে যদি টাকা না থাকে তখন কারও খোঁজ পাওয়া যায় না। কারণ যদি অন্যের কাছে টাকা চেয়ে বসে তাই। যাই হোক সর্বোপরি গল্পটার শেষ জেনে ভালো লাগলো। করিম সাহেবের ছেলে এসে তাকে স্বাবলম্বী করে তুললেন এবং মানুষ চিনতেও সহায়তা করেছেন।
জি একদম ঠিক বলেছেন পকেটে যখন টাকা থাকে তখন আশেপাশে অনেক বন্ধু বিচরণ করে। কিন্তু পকেটে যদি টাকা না থাকে তখন কারও খোঁজ পাওয়া যায় না।