আমি বৈশাখী ফেঁসে গেলাম কালবৈশাখীতে | ১০% লাজুখ খ্যাকের জন্য |
সবার জন্য দোয়া রইল
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমি সত্যি বলতে গেলে একটু অসুস্থ তার পরেও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। হঠাৎ গত পরশু ঝড় হয়েছিল সকালে খুব আরামে ঘুমালাম। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার শরীরে জ্বর চলে এসেছে। সাথে ঠান্ডা লেগেছে। যাইহোক এমন একটু হতেই পারে তার পরেও আপনারা দোয়া করবেন।
মামাশ্বশুর হাসপাতাল ভর্তি। তার অবস্থা খুবই খারাপ গত তিনদিন তার কোনো ভাবেই জ্ঞান ছিল না। কাউকে চিনতে পারছে না এমন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল কিন্তু কোনোভাবেই ভর্তি করতে পারছিলো না কারন কোন সরকারি হাসপাতালে সিট নেই। এরপর বাসায় একদিন রাখার পর অনেক চেষ্টা করে মহাখালী শেখ রাসেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আজকে তাকে একটু দেখতে গিয়েছিলাম সত্যি বলতে মামাশ্বশুর খুব ভালো একজন মানুষ তার জন্য সত্যিই খুব মায়া লাগছিল নিজের কাছেই।
হাসপাতালে কিছু সময় থাকার পরে রওনা হয়ে গেলাম বাসায় আসার জন্য। এমন অবস্থায় যখন মহাখালী বাস টার্মিনাল এর সামনে আসি তখন বিশাল ঝড় শুরু হয়ে যায়। এমন অবস্থা শুরু হয় বাতাসের জন্য কিছুই দেখতে পারছিলাম না সাথে সাথে আমার স্বামী বাইক থামিয়ে আমরা পাশেই দাড়াই। সত্যি বলতে ছবি তে যে গাড়িগুলো দেখছেন গাড়িগুলো থামিয়ে দিল এত বেশি বাতাস ছিল। ঢাকার যখন ঝড় হয় তখন বাতাস অসহ্য লাগে একটি কারণে কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় ধুলা উড়ে বাতাসের সাথে। তবে এমন বাতাস গ্রামের বাড়িতে খুব ভালো লাগে। ঢাকায় বাতাস আসলে যেন ঘরের মধ্যে যা কিছু থাকে সব নোংরা হয়ে যায়।
আপনারা যদি একটু লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন গাছের পাতাগুলো কিভাবে এক সাইডে হেলে গিয়েছে। হঠাৎ করে একটা সময় আমরা সেখানে সবাই একটু ভয় পেয়ে যাই কারণ আশেপাশে মনে হচ্ছিলো বাতাসে অনেক কিছু উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তখন আপনাদের পছন্দের সাইফুল ভাই বলল আজকে পাশে বৈশাখী কে নিয়ে এসেছি এ দেখছি আরেক কালবৈশাখী ঝড় হচ্ছে। সেই থেকেই আমি চিন্তা করলাম ক্যাপশনটা তাহলে এই ভাবেই দিয়ে দেই হা হা হা হা। বেশ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল কারণ ঝড় অনেকক্ষণ হয়েছিল প্রায় এক ঘন্টার মতো বৃষ্টি ছিল।
যখন এই ছবিগুলো তুলছিলাম সে আমাকে একটু বকা দিয়েছিল বলতেছিলো এমন অবস্থায় তুমি ছবি তোলার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছ। কিন্তু আমি জানতাম আমি ছবি গুলো কেন তুলেছি। যাই হোক আল্লাহ আমাদের হেফাযত করে নিন আমিন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি বৈশাখী আক্তার।
ঢাকা মোহাম্মাদপুর থেকে কাজ করি ।
মুন্সিগঞ্জ এর বউ ।
আমার স্বামী @saifulraju
বাংলাদেশের একটি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন ই-কমার্সে কাজ করি।
ঢাকা মোহাম্মাদপুর থেকে কাজ করি ।
মুন্সিগঞ্জ এর বউ ।
আমার স্বামী @saifulraju
বাংলাদেশের একটি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন ই-কমার্সে কাজ করি।
জি আপু প্রথমত আপনার মামার শশুর এর জন্য দোয়া রইল আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করুক। এরপরে বলতে চাই আপনার হেডিংটা আসলেই চমৎকার হয়েছে। আমি তো হেডিংটা পরে প্রথমে কিছুক্ষণ হাসলাম কিভাবে মিলে গেল বৈশাখী সাথে কালবৈশাখী। আসলে কালবোশাখী টা খুবই ভয়ঙ্কর। আজ কয়েকদিন ধরেই এরকম একটা আবহাওয়া বিরাজ করছে সব জায়গায়। আপনার কিছু মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের সাইফুল ভাইয়ের মাথায় যতসব উদ্ভট চিন্তা ভাবনা ঘুরপাক খায় হাহাহা। তবে ঝড় মোটামুটি ইনজয় করেছি বলা চলে। ধন্যবাদ পুরো পোস্ট পড়ে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য ভাইয়া।
প্রথমেই আপনার মামা শ্বশুর এর সুস্থতা কামনা করি । এই রকম পথ রাস্তায় ঝড়ের কবলে আমিও অনেকবার পড়েছি আপু। শহরে অনেক ধুলাবালি থাকায় এরকম কালবৈশাখী ঝড় উঠলে ধুলাবালিতে চারিদিকে অন্ধকার হয়ে যায় ।অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়েছিলেন সেটা আপনার ছবি শেয়ারের মাধ্যমে বুঝতে পারলাম।
জি ভাই তা তো একটু ঝামেলায় পড়েছিলামই। কিন্তু কি করার মামা অসুস্থ সব মিলিয়ে ওকটু খারাপ অবস্থাই বলা চলে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ভাইয়া।
আপনার পোস্টের টাইটেল টা খুব সুন্দর হয়েছে। টাইটেলটা পড়ে মজা পেলাম। ঝড়ের ভেতর আমরা সবাই ভয় পেয়ে যাই। আপনি দেখছি বেশ উপভোগ করেছেন ঝড়টা। আপনার মামা শ্বশুর এর বিষয়টা পড়ে খারাপ লাগলো। তার জন্য দোয়া রইলো। সুন্দর করে পুরো বিষয়টা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও যদিও ভয় পেয়েছিলাম হাহাহা। তবে ইনজয় করেছি মোটামুটি। আসলে বৃষ্টি উপভোগ করার মজাই আলাদা!
কিন্তু মামার অসুস্থতার জন্য বিপাকে পড়তে হয়েছে আর কি। দোয়া করবেন ভাইয়া।
খুব দারুণ একটি টাইটেল দিয়েছেন টাইটেল দেখেই পড়ার প্রতি আগ্রহ আসলো, ঐদিন আমারও সকালে ঘুমটা ভালো হয়েছিল কিন্তু বিকেলের মধ্যেই একটা জ্বর জ্বর ভাব চলে আসে, মামার জন্য খারাপ লাগছে দোয়া করি তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক।
সাইফুল ভাই ঠিক বলেছে। ভাবি আপনাকে নিয়ে বের হয়েছে বলেই ঝড় এর কবলে পড়েছিলেন। হাহাহা। আপনার মামা শশুর এর জন্য দোয়া করি যাতে সুস্থ হয়ে যান তাড়াতাড়ি
এখন দেখছি এই মৌসুমে সবারই জ্বর হচ্ছে। আমারও দুদিন থেকে জ্বর। জ্বর থেকে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। আর আপনার মামাশ্বশুরের অসুস্থতার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ছিল।"আমি বৈশাখী ফেঁসে গেলাম কালবৈশাখীতে"একদম যুক্তিযুক্ত ছিল আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টের টাইটেল দেখি তো আমিও ফেঁসে গিয়েছিলাম 😁
প্রথমেই দোয়া করি আপনার মামা শ্বশুর অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক। আপনি ঝরের সময় বাইরে ছিলেন আর তার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। হ্যাঁ ছবি দেখলেই বোঝা যাচ্ছে গাছের পাতাগুলো কিভাবে ঝরে উড়ছে।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু 🥰
আপনার মামা শ্বশুর এর জন্য দোয়া রইল যেন তিনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। আর শুক্রবার বিকেলে যে পরিমাণে ঝড় হয়েছে তাতে আমাদের প্রত্যেকেরই সাধারণ জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। অনেকেই আমরা বিভিন্ন কাজের মধ্যে ফেঁসে গিয়েছি।