আনচান মনের অনুভূতি 😓 || ১০% লাজুক খ্যাঁক এবং ৫% এবিবি স্কুলের জন্য ||

আশা করি সকলেই সুস্থ আছেন। আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বেশ ভালোই আছি। দেখতে দেখতে ২৭ রোযা শেষ। আর মাত্র ৩ দিন পরেই পবিত্র এই মাস শেষ হয়ে যাবে ভাবলে কিন্তু একটু খারাপ লাগে তাইনা? রহমতের এই মাসে কতটুকু অর্জন করতে পারলাম বা সৃষ্টিকর্তা ঠিক কতটুকু কবুল করেছেন তা শুধুমাত্র তিনিই ভালো জানেন। তবে খুশির বিষয় হচ্ছে- দীর্ঘ ১ মাস পর ঈদের আনন্দ টা কিন্তু সত্যি অন্যরকম। আজকে তা নিয়েই কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।

ইদ মানেই আনন্দ! ঈদ মানেই খুশি! আর তাই তো ঈদের আমেজ শুরু হতে না হতেই মানুষ পারি জমায় নিজেদের প্রিয়জনের কাছে। আগে যদিও এই ব্যাপার গুলো ফিল করতে পারতাম না। তবে এইবার নিজের পরিজন ছেড়ে নতুন মানুষদের সাথে প্রথম ঈদের অনুভূতি টা একটু আলাদা। ঈদটা নিজের বাড়িতে মা বাবার সাথেই করার কথা ছিলো এবারও। কিন্তু আমিই বললাম বিয়ের পর রোযার ঈদ কখনও শশুর শাশুড়ী নিয়ে করা হয়নি, তাই এবার এখানেই থেকে যাই। কিন্তু হঠাৎ করে শরীর এতো ক্লান্ত আর খারাপ হয়ে যায় তখন আর কিচ্ছু ভালো লাগে না। মনে হয় পাশে কেউ থাকলে ভালো হতো। আর এই সময় টা সংসারের কাজ করতেও একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার উপর আবার মামা শশুর অসুস্থ এর আগে একদিন শেয়ার করেছিলাম। ওনাকে হসপিটাল থেকে রিলিজ দিয়েছে কয়দিন হলো। এখন আমাদের বাসাতেই আছেন। অসুস্থ মানুষ বাসায় থাকলে কি হতে পারে তা সবাই জানে যারা এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। লোকজন এর সমাগম একটু বেশিই! আর কাজের চাপটাও একটু বেশি 😓।

আচ্ছা আরেকটা কথা বলে নেই। ঈদ মানেই কিন্তু ভরপুর খাওয়া দাওয়া। আর রোযার ঈদ মানে রকমারি সব মিষ্টান্ন খাবার আর নতুন জামাকাপড় পরে ঈদের সালামি সংগ্রহ 😍। প্রত্যেক ঈদেই মা আমাদের ভাইবোনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সব পছন্দের খাবার তৈরি করে। আমি তো ঈদের দিন সারাদিন শুধু খাই আর খাই হা হা হা। এবার সেই এগুলো মিস করবো খুব। যদিও মা আমাদের জন্য বাজার করে অলরেডি পাঠিয়ে দিয়েছে। মেয়ে বিয়ে দিলে এই নিয়ম গুলো যেন পালন করা খুব জরুরি। তবে আমি এগুলোর ধার ধারি না। যতদিন সামর্থ্য হবে দিবে এরপর আমার সামর্থ্য থাকলে আমিই তাদের জন্য পাঠাবো ইনশাআল্লাহ 😇। কি কি পাঠিয়েছে সেগুলো না হয় আরেকদিন শেয়ার করবো সুযোগ পেলে।

তবে আমরা যে যাই করি না কেন। রোযার যেহেতু আর মাত্র ৩ টা আছে তাই হাতে সময় খুব কম। নিজেদের কতটুকু আত্নশুদ্ধি করতে পারলাম, কতটুকু গুনাহ মাফ করাতে পারলাম এই বিষয়গুলো বেশি জোর দেওয়া উচিত। আল্লাহ তায়ালা পরম ক্ষমাশীল। তার কাছে মন থেকে চাইলে বা তওবা করলে তিনি এই পবিত্র রহমতের মাসে আমাদের ফিরিয়ে দিবেন না ইনশাআল্লাহ। তাই সবার কাছেই একটা চাওয়া মন থেকে তওবা করবেন এবং দোয়ায় সবাইকে রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ অপরের জন্য চাইলে ফেরেশতাগণ সাথে সাথে সেই দোয়া আল্লাহর দরবারে আপনার জন্য করেন। সুবহানাল্লাহ!