মায়াপুর এ আমরা সবাই।।১৮ জুন ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন?সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজ প্রায় ৪ বছর পর নবদ্বীপ এর মায়াপুর এ এলাম ঘুরতে।এই মহাপুর একটি তীর্থ ভূমি।প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার তীর্থ যাত্রী এখানে আসেন এবং নিমাই এর জন্মভূমি দর্শন করেন।সেই সাথে আছে আরো অনেক ছোট বড় মন্দির।তবে এই মায়াপুর এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো শ্রী প্রভুপাদ এর ইসকন মন্দির।ইসকন একটি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস।এই ইসকন মন্দিরটি হলো ইসকন এর সদর দপ্তর।আর আমেরিকায় যেটি অবস্থিত সেটা ও অন্যতম সদর দপ্তর।তবে এই মায়াপুর এর ইসকন মন্দিরটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ মন্দির হতে চলেছে।
আমি প্রথম ২০১১ সালে এই মায়াপুর এ এসেছিলাম।এখন এই ইসকন এর মন্দির নির্মাণাধীন ছিলো।আর আজকে ২০২৩ সালে ও সেটা সম্পূর্ন হয়নি।আসলে এতো বড় মন্দির নির্মাণ সত্যি সময় সাপেক্ষ।তবে এই মন্দিরটি সত্যি অসাধারণ করে তৈরি করা হচ্ছে।মন্দিরের চূড়া দেখলেই মনটা জুড়িয়ে যায়।
এখন খুব গরম।সেই সাথে আছে প্রখর রোদ।তাই আমরা সকাল সকাল বেরোনোর সিদ্ধান্ত নিলাম।যদিও আজকে সকালের দিকে একটু বৃষ্টি বৃষ্টি হচ্ছিলো তবে সেটা খুব একটা জোরালো নয়।তাই আড়াই ঘণ্টা জার্নি করে যখন আমরা মায়াপুর পৌঁছলাম তখন দেখলাম প্রচণ্ড রোদ।আমরা মন্দিরের পাশে একটা হোটেলে তিনটে রুম বুক করে নিলাম।তারপর ইসকন মন্দিরে সাড়ে বারো টার দিকে প্রসাদ নিতে চলে এলাম।মাথাপিছু ৪০ টাকা দিয়ে আমরা মহা প্রসাদের কুপন কেটে নিলাম।
এরপর হোটেলের রুমে এসে সবাই একটু বিশ্রাম করে বিকেল ৫ টায় বেরিয়ে আবার ইসকন মন্দিরে এলাম।কারণ আমাদের মূল উদ্দেশ্য সন্ধ্যা আরতি দেখা।আমরা শ্রী প্রভুপাদ এর মিউজিয়াম টা দেখে নিলাম।বেশ নিরাপত্তা রাখা হয়েছে পুরো মন্দির জুড়ে।এরপর কিছু প্রসাদ খেয়ে সন্ধ্যা আরতি দেখে নিলাম।তারপর ডোম থিয়েটার এ গিয়ে ২০ মিনিটের একটা শো দেখলাম।
বেশ ভালোই কাটলো বিকেল ও সন্ধ্যাটা।এরপর গঙ্গা ঘাটে গিয়ে কিছুটা সময় কাটালাম। অতঃপর খেয়ে রুমে চলে এলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
দাদা চার বছর অনেকটা দিন পরে নবদ্বীপ এবং মায়াপুরে ঘুরতে এসেছেন। জায়গাটা বেশ দেখতে দারুন। যার জন্য এত তীর্থ যাত্রীরা এখানে দর্শন করতে আসেন। দাদা ওখানকার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু সত্যি দারুন ছিল। ৪০ টাকা দিয়ে দেখছি কুপন ও কেটেছেন। প্রচন্ড গরম পরছে তাই বৃষ্টি হচ্ছিল এই সময়টাকে গিয়েছেন বেশ ভালো করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
দাদা,ইসকন মন্দিরের ছবিগুলো দেখছিলাম আর মনে মনে কল্পনা করছিলাম, ২০১১ সালে প্রথমবার গিয়েছিলেন আবার আজ ২০২৩ সালে দ্বিতীয়বার, মানে দীর্ঘ লম্বা সময়ের বিরতির পর। তবে এখনো মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি, না জানি তাহলে মন্দিরটা বাস্তবে আরও কত বড়। মন্দিরটা দেখতে যে আসলেই অনেক সুন্দর, তা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার মায়াপুরের মুহুর্ত পড়ে।
দাদা নামটি শুনেই তো মায়ায় পড়ে গেলাম ৷ মায়াপুর আহা ইসকন কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয় দাদা ৷ ইতে মধ্যে ছোট্ট ছোট্ট মন্দির হয়েছে ৷ তবে আজ জানতে পারলাম এর সদর দপ্তর আমেরিকায় ৷ ভালো লাগলো এমন বড় মন্দির যে এখনো কাজ শেষ হয় নি ৷ আশা করি আপনি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ৷
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
মায়াপুর বেশ সুন্দর মায়া লাগানো একটি নাম। নাম যেমন মায়াপুর তেমনি সেখানকার প্রকৃতিও বেশ মায়ায় ভরা। আপনার করা ফটোগ্রাফি দেখে তো আমি মায়াপুরের প্রেমে পড়ে গেলাম। আপনি প্রায় ৪ বছর পর এত সুন্দর প্রকৃতির কাছে গেলেন। আমার তো মনে হয় আপনার আর আসতেই মনে চাচ্ছে না।
শুনে অবাক হলাম সেই ২০১১ সালে কাজ শুরু হয়েছে এখন ২০০৩ সালের ও কাজ শেষ হয়নি । না জানি কত বড় মন্দির তৈরি হচ্ছে। দাদা আপনারা নিশ্চয়ই সেখানে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। জি দাদা বাহিরে র যে পরিমাণের রোদ এখন খুব গরম তাই ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘুরতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
ভালোই করেছেন দাদা সকাল সকাল বেরিয়ে গিয়েছেন যেহেতু এখন রোদের তাপ অনেক এবং গরম বেশি তাই একটু দেরি করলেই খুব গরম এবং সাথে কষ্ট পোহাতে হবে। দীর্ঘ 12 বছর যাবত এই মন্দিরের কাজ চলছে। নিশ্চয়ই অনেক বড় করে এটি তৈরি করছে। ইসকন মন্দির, শ্রী প্রভুপাদ মিউজিয়াম ,হোম থিয়েটারে ২০ মিনিট সো সবকিছু বেশ ভালই উপভোগ করেছেন।