আপনজন করা? ।।২০ সেপ্টেম্বর ২০২২।।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

image.png

Picture taken from pixabay

হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার লেখা শুরু করছি।আজকে ও আমি জীবন ও জীবন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কথা বলবো।আজকে আমার বিষয়বস্তু -আপনজন করা?আসুন তাহলে আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আপনজন কারা?তাদের গতি প্রকৃতি কি?এটা আলোচনা করবো।সব কিছুই আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও বিচারের সারমর্ম।তাই মতবিরোধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। প্রত্যেকটি গঠনমূলক সমালোচনা ও মন্তব্য কে সাধুবাদ।

আপনজন কারা?

বন্ধুরা,আপেক্ষিক জিনিসের কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয় না কিন্তু সুস্পষ্ট ধারণা তো অবশ্যই থাকে।কাল স্থান ও পাত্র ভেদে সেই ধারণার কিছুটা পরিবর্তন আসে,আর সেটাই স্বাভাবিক।তো আমার অভিজ্ঞতা থেকে মোটামুটি আপনজন কারা সেটার একটা ধারণা তৈরি করেছি।সেটাই আমি আপনাদের মাঝে ভাগ করে নিতে চলেছি।"আপন" একটি বাংলা বিশেষণ শব্দ যার অর্থ নিজের।তাই "আপনজন" বলতেই সাধারণ ভাবেই নিজের মানুষ কেই বোঝায়।যে মানুষ টার সাথে একটা আত্মিক বন্ধন তৈরি হয় সেই মানুষই আপন।

শুধু রক্তের সম্পর্কেই আপনজন হয় না মনের মিল আর ভালোবাসার বন্ধন আপন জন তৈরি করে।সত্যি কথা বলতে আপন ও পর একে অন্যের পরিপূরক।পর আপনজনের গুরুত্ব ও তার প্রভাবকে প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করতে শেখায়।তাই আমার অভিমত যে মানুষ গুলো একে অন্যের মানসিক অবস্থা অনুভব করে তাকে কাছে ধরে রাখতে পারে তারাই একে অন্যের আপনজন।

image.png

Picture taken from pixabay

থিওরিটিক্যাল আপন জন ও তাদের বৈশিষ্ট্য

এই আপনজন গুলো রক্তের সম্পর্ক ও বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে তৈরি হয়।এদের সাথে আত্মার কোনো যোগাযোগ আছে কিনা সেটা সঠিক জানা যায় না।তবে সমাজ এদের কে আপনজনের সিলমোহর দিয়ে থাকে।বাস্তবিক পক্ষে এরা একে অন্যের শত্রুতে পরিণত হলেও লোকে এদের আপনজন বলেই জানে।সত্যি এই বিষয়টা বড়ই অদ্ভুত।

প্র্যাকটিক্যাল আপনজন ও তাদের বৈশিষ্ট্য

এদের সাথে কোনো রক্তের সম্পর্ক ও পারিবারিক সম্পর্ক থাকতেই হবে এমন কোনো ব্যাপার নেই।এরা একে অন্যের সুখে দুঃখে পাশে থাকে ,সহানুভূতি ও সহমর্মিতা নিয়ে পরস্পরকে মূল্যায়ন করে।এটা সত্যিকারের আপনজন।দুর্দিনেই এদের সঠিক প্রয়োজন পড়ে।একটা গভীর বন্ধুত্ব গড়ার পরই এরা একে অন্যের আপনজন হয়ে থাকে।এই আপনজন গুলো স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নেই।সমাজ এদেরকে আপনজন হিসেবে মান্যতা দেয় না কিন্তু এরাই সত্যিকারের আপনজন।

আমাদের এই মানব জীবনে একটা সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়।জীবন নানা ঘটনা ও চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে যায়।ভালো সময় আসে আবার খারাপ সময় আসে।এই খারাপ সময়ে এই আপনজন এর একটু পাশে থাকা খুবই জরুরী।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

png_20211106_204814_0000.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

Sort:  
 2 years ago 

বিপদের সময় একমাত্র মা বাবা আর ভাই কে দেখেছি নিজের সবটা উজার করে আমায় বাঁচিয়েছে। বাকি সবাইই তো মুখে দুঃখ প্রকাশ করে পেছনে খুশি হয়েছে। ১৮.০২.২০২২ থেকে আজকের দিন পর্যন্ত আমার জীবনে আমি মা বাবা ভাই ছাড়া আর কাউকেই আপন রাখি নি।ভবিষ্যতে আবার যদি বৈবাহিকসূত্রে আবদ্ধ হই তখন বিচার করে দেখব। আপনি বেশ ভালো বিশ্লেষণ করেছেন।

 2 years ago 

সত্যিকারের আপনজন যে আসলে কে হতে পারে এই বিশ্বাসে অনেকটাই চির ধরা। তাই এটা নিয়ে মন্তব্য করতে খুব ভয় লাগে আমার। তবে হ্যাঁ বিপদে পাশে পাওয়া প্র্যাক্টিকাল মানুষই প্রকৃত আপনজন, সেটা রক্তেরও হতে পারে আবার নাও হতে পারে। এই কথাটা খুব মানি এখন।

Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 years ago 

প্রাকটিকাল জিনিসে আমি বিশ্বাস করি কিন্তু এই ব্যাপারে থিওরিটিক্যাল মতবাদটি সঠিক মনে হয়।রক্তের সম্পর্কের মানুষ আর যাই করুক রক্তের সাথে বেইমানি করে না।কিন্তু এমনিতে যাদের সাথে ঘনিষ্টতা হয় এদের স্বার্থে একটু ব্যাঘাত ঘটলে আপনাকে দূরে ঠেলে দিতে দ্বিধাবোধ করে না।তবে আপনার কথায় অনেক যুক্তি আছে।🙏

 2 years ago 

আসলে আমরা মানুষেরা ছোটবেলা থেকেই শিখে আসছি,আপনজন বলতে যাদের সাথে আত্নীয়তার সম্পক আছে।এতে তারা ক্ষতি করুক আর যাই করুক।আর যদি একটা বন্ধুর সাথে মতের মিলও থাকে কিংবা বিপদে আপদে সব সময়ই পাশে থাকেও তাকে আপনজন বলা হয় না ঐ বন্ধুই বলা হয় থিওরিটিক্যালি।যাই হোক প্র্যাকটিক্যালি তো সেই আপন যার সাথে রক্তের কোন সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও সর্বদা বিপদে পাশে থাকবে,যার সাথে মত খুলে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়, স্বার্থ ছাড়া পাশেই থাকবে এরাই আসলে সত্যিকারী আপনজন।আমি আপনার সংজ্ঞার সাথে একমত।ধন্যবাদ

 2 years ago 

পড়াশোনার থিওরির মত থিওরিটিক্যাল আপন জন অধিকাংশ সময় কোন কাজের হয় না।

ল্যাবের প্র্যাকটিকাল এর মত প্র্যাকটিক্যাল আপনজন গুলো বাস্তব জীবনে কাজে আসে তারা সুখ-দুঃখের সাথী হয়। এই আপনজনগুলোর সাথে রক্তের কোন সম্পর্ক না থাকলেও এদের সাথে আত্মার সম্পর্ক এমন ভাবে গড়ে ওঠে যা রক্তের সম্পর্কের থেকেও অনেক বড় হয়।

 2 years ago 

অনেক সুন্দর ভাবে একটি জটিল ব্যপার ব্যাখ্যা দিয়েছেন দাদা।আমি প্র‍্যাক্টিক্যাল মানুষ,তাই থিওরির যারা প্র‍্যাকটিক্যালে কাজে লাগে না তাদের ধরে ধরে এলিমিনেট করি।তাদের সাথে ওই থিউরির সম্পর্কই রাখি। অন্যদিকে যারা প্র‍্যাক্টিক্যাল আপনজন অর্থাৎ যারা বিপদে পাশে থাকে তাদের জন্য সব করতে পারি।

 2 years ago 

আপনজনের সংজ্ঞাটা তো এভাবে কখনো চিন্তা করিনি। আপন মানে নিজের। আপনি খুব সুন্দরভাবে বিষয়টি বুঝিয়ে দিলেন। ঠিকই বলেছেন আমার কাছেও মনে হয় প্রাকটিক্যাল আপনজনই আসল আপনজন। রক্তের সম্পর্কের আপনজনতো নামের হয়ে থাকে। আসলে যারা প্রকৃত আপনজন তাদের সঙ্গে রক্তের কোন সম্পর্ক না থাকলেও চলে।

 2 years ago 

দাদা আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আপনজন কারা এই বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন। আসলে রক্তের সম্পর্ক থাকলে আপন হয় না। আর আপন জন হতে হলে আত্মার সম্পর্ক থাকতে হয়। আসলে রক্তের সম্পর্ক আমাদের সমাজে আপনজনের সিলমোহর হয়ে থাকে। যে এরা আমাদের আপনজন। বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে রক্তের সম্পর্ক থাকার কারণে তার আপনজন হয়। কিন্তু এই আপনজন মাঝে মাঝে অনেক শত্রুতে পরিণত হয়। আর বাইরে যাদের সাথে রক্তের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু তারা এমন ভাবে আত্মার সাথে মিলে যায়। যে তারা আপনজন হয়ে যায়। খুবই ভালো লাগলো আজকের পোস্টটি।

 2 years ago 

আমার মনে হয়

প্র্যাকটিক্যাল আপনজন

এরাই বেশি দিন আমাদের জীবনে থাকে যদি তেমন পাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.31
TRX 0.11
JST 0.034
BTC 66772.03
ETH 3237.54
USDT 1.00
SBD 4.25