ফিরে আসুক দিনগুলি।।১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি একটা বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।আমি দুটো সময়ের তুলনা টেনে কিছু পয়েন্ট আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।আসলে আমরা যারা নব্বই দশকে জন্মগ্রহণ করেছি তাদের কিশোর কাল আর বর্তমান কিশোর কালের একটা মোটামুটি তুলনা করতে চলেছি।আমাদের শৈশবে মোবাইলের কোনো প্রভাব ছিলো না কিন্তু কৈশোরে একটু প্রভাব আসে।তবে সেটা ছিলো সীমিত আর ইন্টারনেট এর কোনো ব্যবহার ছিলো না।ইন্টারনেট কি সেটা জানতাম আর মাঝে মধ্যে ক্যাফেতে গিয়ে একটু ইন্টারনেট সার্ফ করে আসতাম।মোবাইল এর প্রতি তখন আমাদের একটা বিস্ময় ছিলো কিন্তু কোনো আসক্তি ছিলো না।আর তাই আমরা মাঠে ছুটতাম।

image.png

Image taken from pixabay.com

ক্রিকেট পিচ আমাদের দারুণ ভাবে আকর্ষণ করতো।এখনো মনে পড়ে সেই সব দিনের কথা।চৈত্র মাসের মাঝামাঝি হঠাৎ মাথায় এলো যে আইপিএল এর মত আমাদের পাড়ায় একটা ক্রিকেট tournament করবো।আমাদের পাড়ার মোটামুটি সমবয়সীদের নিয়ে তৈরি করলাম চারটে দল।আর প্রত্যেক দলে রইলো আটজন করে প্লেয়ার।

আমি সবাইকে ডেকে আমার পরিকল্পনার কথা বললাম।সবাই খুব উৎসাহ নিয়ে রাজি হয়ে গেলো।আসলে তখন আমাদের মত কিশোরদের মধ্যে মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করার একটু ইচ্ছে ছিলো।কিন্ত আজকে সেই উৎসাহ নেই।কোথায় যেন সবাই বন্ধী হতে গেছে।মহিনের ঘোড়াগুলির গানের মতো,'পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে
স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে
ড্রয়িংরুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দী।"এই বোকা বাক্স টিভিকে বোঝানো হলেও আজকে সত্যি কথা বলতে বোকা বাক্স হয়ে গেছে মোবাইল।আমি বলছি না মোবাইল খুবই খারাপ কিন্তু এটা যে আমাদের ভবিষ্যত্ প্রজন্মের উপর ভীষণ প্রভাব ফেলছে সেটা তো মানতে হবে।সব কিছুরই ভালো এবং মন্দ দুটো দিক রয়েছে।কিন্তু খারাপটা যদি ভালো কে ছাপিয়ে যায় তবে সেটা সবার জন্য ক্ষতিকর।

মোবাইল ও ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার আমাদের মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলছে।আর ফলস্বরূপ আমরা বৃহত্তর দিকে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।কিশোর বয়স বিকাশের বয়স নতুন কিছু ভাবার ও চিন্তার বয়স।কবি সুকান্ত তাই তো বলেছেন,"

আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।"

আমাদের মনে সাহস আর দেহে বল নিয়ে যা কিছু মহান তাই নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আর তাহলেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।একটা সুন্দর সমাজ ও জাতি গঠনের মূল দায়িত্ব এই কিশোর দের।তাই তথ্য ও প্রযুক্তির উপর আমাদের দখল বাড়াতে গিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে পিছিয়ে পড়লে চলবে না।

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

png_20211106_204814_0000.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

Sort:  
 11 months ago 

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সেই দিনগুলো হারিয়ে গিয়েছে এখন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট তো দূরের কথা বিকেল বেলায় মাঠে গেলে ক্রিকেট খেলার লোক পাওয়া যায় না। সবাই সব সময় ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে ব্যস্ত। তবে আমিও অনেক ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ এমনও দিন আছে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে ক্রিকেট খেলেছি তবে এখন আর সেটা সম্ভব হয় না।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

দারুন লিখেছেন দাদা।এটা সত্যি একাল আর সেকাল অনেক তফাৎ। আমাদের সময় ছিল আগ্রহ আর মোবাইল নিয়ে কৌতুহল। আর এই সময়ে হয়ে গেছে মোবাইল আসক্তি।আসলে এই করোনার কারনে এটা আরো বেশী হয়েছে।তখন অনলাইন স্কুল,পড়া এসব কিছু ই বাচ্চাদের আসক্তি করে তুলেছে।ওই য কথায় আছে না, "বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া,কিন্তু খাওয়ার জন্য বেঁচে থাকা নয়।"কিন্তু এখন এই সময়ে এসে ছেলেমেয়েরা খাওয়ার জন্য ই বেঁচে থাকাটাকে বেছে নিয়েছে।যা কখনো উচিত নয়।

 11 months ago 

এইতো ভাই ২০১০ সালের কথা তখনও স্মার্টফোন কেমন সেটা আমি জানতাম না। তখন আমি এসএসসি পরীক্ষা দিবো। আর ইন্টারনেটের কথা নয় আমরা বাদই দিলাম। তবে সময়গুলো না জানতে পারলেও আমরা অনেক ভাল ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে ছোট ছোট বাচ্চারাও এর প্রভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক বাচ্চার আছে মোবাইলে গেম না খেলতে দিলে খাবার খায় না। অবস্থাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সবটুকু চমৎকার লিখেছেন, নিচের অংশটা আরো চমৎকার লিখেছেন ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

দাদা খুব মিস করি সেই সব দিন গুলো কে। সেই নব্বই দশক কি আর ফিরে আসবে? না আসবে না। কি করেই বা আসবে? এখন তো ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল ছেলেমেয়েরা কি আর নব্বই দশকের মজা বুঝতে পারবে? এখন সবাই ইন্টারনেট আর মোবাইলে সময় কাটাতে ব্যস্ত। মাঠে ময়দানে খেলাধুলার মাঝে যে কি স্বাদ সেটা বুঝার মত জ্ঞান আর এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে নেই।

 11 months ago 

নব্বই দশকের সেই শৈশবের অনুভূতি এখনকার জেনারেশন বুঝবে না। এখন তো ক্রিকেট খেলাই বিলুপ্তির পথে। মাঠের পর মাঠ পরে থাকে কিন্তু খেলার কেউ নেই। সবাই সেই বোকা বাক্সে যেন বন্দি। বর্তমান তরুণরা কি দুঃসাহসিক অভিযান করতে পারবে আদৌ! যেভাবে তাদের ব্রেইন ওয়াশ হচ্ছে প্রযুক্তির কল্যাণে।

 11 months ago 

একদম ঠিক বলছেন দাদা আসলে আগের দিন গুলি অনেক ভাল ছিল। এখনকার বাচ্চারা কিন্তু ইন্টারনেটভিত্তিক হয়ে গেছে। আপনি খুব সুন্দর অতীতের স্মৃতির বর্ণানা দিলেন। আমরা যদি আবারো সেই হারানো দিন গুলো ফিরে পেতাম অনেক ভাল হতো। আপনার হারানো দিনের অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

আসলেই দাদা আমরা যারা নব্বই দশকে জন্মগ্রহণ করেছি,তাদের শৈশবটা অনেক আনন্দে কেটেছে। সারাদিন ক্রিকেট, ফুটবল আরো কতো ধরনের খেলা খেলতাম। আমি ২০০৬ সালে প্রথম মোবাইল পাই হাতে। তবে মাঝেমধ্যে সাইবার ক্যাফেতে ঢুকে গেমস খেলতাম এবং ব্রাউজিং করতাম ঘন্টায় ৩০ টাকা দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে কিশোরদের সময় কাটে মোবাইল এবং কম্পিউটার নিয়ে। মোটকথা ইন্টারনেট জগতে তাদের সময় কাটে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 11 months ago 

সত্যিই দাদা ভাই, আমাদের আগের কৈশোর জীবনটা বড্ড ব্যতিক্রম ছিল এখনকার কৈশোরের থেকে। সবাই যেন একটা বক্সের মধ্যেই বন্দি হয়ে যাচ্ছি, আসছে দিনগুলোতে যে আরও কি হবে,তা বলা বড্ড মুশকিল। তবে সবকিছু ভারসাম্য রেখেই সবাই এগিয়ে চলুক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

যথার্থ লিখেছেন 🙏

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59887.64
ETH 2670.13
USDT 1.00
SBD 2.47