ভূত আছে নাকি নেই।।২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে ভূত বিষয়ে লিখতে চলেছি।আশা করি ভালো লাগবে।
ভূত বা আত্মা বিষয়ে মতামত দুই ধরনের হতে পারে: বৈজ্ঞানিক এবং দার্শনিক।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি:
বৈজ্ঞানিকভাবে ভূত বলে কিছু নেই বলে ধরা হয়। কারণ:
বিশ্লেষণযোগ্য প্রমাণের অভাব:ভূত বা আত্মার অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।যদি কোনো ঘটনা ঘটে যা 'ভূত' বলে দাবী করা হয় তার ব্যাখ্যা সাধারণত যুক্তি এবং বিজ্ঞান দিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
মানসিক ব্যাখ্যা:অনেক সময় মানুষ ভয়, উদ্বেগ, দুঃস্বপ্ন বা ইন্দ্রিয় বিভ্রমের ফলে ভূতের অস্তিত্ব অনুভব করে।এটি সাইকোলজিক্যাল ইলিউশন বা মানসিক বিভ্রম হিসেবেও পরিচিত।
পরীক্ষণযোগ্যতা ও পুনরাবৃত্তি:বিজ্ঞান এমন জ্ঞানকে সত্যি বলে মেনে নেয় যা পরীক্ষা করা যায় এবং পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে একই ফলাফল পাওয়া যায়।ভূতের অস্তিত্ব এমনভাবে প্রমাণ করা যায়নি যা বিজ্ঞান মেনে নেবে।
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি:
দার্শনিকভাবে এই প্রশ্নটির ব্যাখ্যা আরও গভীর এবং বহুমাত্রিক হতে পারে:
মেটাফিজিক্যাল প্রশ্ন:ভূত বা আত্মা কি শুধুমাত্র শারীরিক অস্তিত্বের বাইরের কোনো কিছু?এটি মেটাফিজিক্সের একটি বিষয়।অনেক দার্শনিক এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করেছেন কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসেননি।
আত্মার ধারণা:অনেক সংস্কৃতি এবং দর্শনশাস্ত্র আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে।তারা মনে করে,আত্মা দেহের বাইরে একটি সত্তা হিসেবে থাকে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের অস্তিত্বের সম্ভাবনা রয়েছে।এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত না হলেও একটি দার্শনিক বিশ্বাসের স্থান দখল করে আছে।
মানুষের কল্পনাশক্তি এবং বিশ্বাস: দার্শনিকভাবে, ভূত একটি কল্পনা বা সামাজিক নির্মাণ হতে পারে যা মানুষের ভয়ের, অপরিচিতির প্রতি আকর্ষণের বা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের রহস্যের প্রতিফলন।এটি মানুষের চেতনায়, সংস্কৃতিতে এবং কল্পনায় বিদ্যমান।
বৈজ্ঞানিকভাবে ভূতের অস্তিত্বকে কোনোভাবে প্রমাণ করা যায়নি তাই বিজ্ঞান এটি মেনে নেয় না।তবে দার্শনিকভাবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং গভীর আলোচনার বিষয়।এটি মানুষের কল্পনা, সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত।বিজ্ঞান এবং দর্শন উভয়ই বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়ে আলোকপাত করে কিন্তু নিশ্চিত উত্তর দিতে পারে না।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বৈজ্ঞানিক এবং দার্শনিক দুইটা মতবাদই জানা আছে। তবে এটা সম্ভবত খুবই জটিল একটা ব্যাপার। সাধারণ মানুষ যারা মানার দরকার মানে এবং যাদের বিশ্বাস নেই তারা মানে না। তবে ভৌতিক কোন কিছু আমরা সবাই অস্বীকার করেও স্বীকার করি।
আমার একজন পরিচিত মানুষ ছিলেন, উনি ভুত ধরতেন। ছোটবেলায় বেশ মজা লাগত। বহুবার ভেবেছি ভুত হল মনের ভুল। কিন্তু আত্মা বলে সত্যিই কিছু আছে বা নেই সেই বিষয়ে অনেক বিতর্ক। কলকাতাতেই একজন আছেন PLR জার্নি করান তবে তা বিশেষ প্রয়োজনে। সেখানে মানুষ তার আত্মার ওয়েভ ধরে পূর্বজন্মে যায়৷ এই ভাবে মানুষের বর্তমান জীবনের অনেক সমস্যার সমাধানও ঘটেছে৷ কিন্তু এর পেছনে যে সবটাই ভুয়ো তা আমিও জানি না। কারণ আমার কাছে এটা মানা বা না মানার যথাযোগ্য বিজ্ঞান নেই।
ভাগ্য ভালো এই পোস্টটি রাতে পড়িনি,পড়লে আর ঘুমাতে হতোনা। তবে আমার মনে হয় এ নিয়ে আরো বেশি বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম চালানো উচিত।
আমার কাছেও মনে হয় ভূত বলতে কিছুই নেই। অনেকে অযথাই ভূতের কথা ভেবে ভয় পায়। যাইহোক ভূতের অস্তিত্ব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক এবং দার্শনিক ব্যাখ্যা পড়ে খুব ভালো লাগলো। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জীবনের ত্রিশের অধিক বসন্ত কাটিয়ে দিলাম, আজও ভুতের দেখা পেলাম না, ভাই। আমার মতে ভূত বলে কিছুই নাই, বেশ ভালো লাগলো দাদা লেখাটি।