আমার কবিতার খাতা থেকে: দুঃখ জয় করুন।।২১ জুন ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।সময় একটু একটু করে পেরিয়ে যাচ্ছে।অনেক কিছু করার আছে অনেক কিছুই বাকি এখনো করা।তাই সময় নষ্ট করার মতো কোনো সময় নেই আমাদের হাতে।নিজের সাধ্য মতো আমাদের নির্দিষ্ট কাজ করে যেতে হবে।
ফল লক্ষ্য মাত্রায় সম্পূর্ণ ফোকাস রেখে কাজ করলে সেই কাজের সফলতা আসার সম্ভাবনা বেশ কমে যায়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি এটা ভেবে কবিতা লিখতেন যে তিনি বিশ্বকবি হবেন তাহলে তিনি কোনোদিন ও বিশ্বকবি হতে পারতেন না।তাই একটা বিষয় একদম পরিস্কার যে আমাদের লক্ষ্যটা থাকবে সঠিক ভাবে কাজটা সম্পূর্ণ করা আর যদি কাজটা সঠিক ভাবে হয়ে থাকে তাহলে তার ফল অবশ্যই আশাব্যঞ্জক হবে।
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQa5pjAjMTQkZz5XrH3TiTc5FAoDtqpRwy7MszhZyEUju/image.png)
Image[source]
বন্ধুরা আজকে আমি জীবনের সাথে খুব প্রাসঙ্গিক ভাবে জড়িয়ে আছে এমনটি বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করবো।আমি সম্পূর্ণ নিজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লিখছি,তাই কোথাও কোনো কিছু ভুল বললে আমাকে ধরিয়ে দেবেন আর তাহলেই আমার লেখার মান উন্নয়ন হবে।
মানুষ কেন দুঃখ পায় ?
সুখ ও দুঃখ জীবনের মূল্যবান দুটি বিষয়।সত্যি কথা বলতে এই দুটি বিষয় একে অন্যের পরিপূরক।দুঃখ আছে বলেই সুখ এতো মূল্যবান তেমনি সুখ আছে বলেই দুঃখের গুরুত্ব প্রবল।কিন্তু সত্যি কথা বলতে এই জগতে আমরা সবাই সুখী হতে চাই।আমরা নিজে কেউই দুঃখ পেতে চাই না কিন্তু দুঃখকে উপভোগ করি।তাই প্রেমের কবিতার থেকে বিরহের কবিতা পাঠককে বেশি প্রভাবিত করে।আমরা স্বভাবজাত ভাবেই
প্রত্যাশা করি।এই প্রত্যাশা বিভিন্ন রকমের হতে পারে,বস্তুগত হতে পারে আবার অবস্তুগত হতে পারে।তবে দুটোরই না পাওয়ার যন্ত্রনা সমান।
কোনো মানুষ যদি জীবনে কোনো কিছুতেই প্রত্যাশা না রাখে তাহলে তার জীবনে দুঃখের কোনো জায়গা নেই।কিন্তু এই প্রত্যাশা না করার ক্ষমতা কেউ জন্ম থেকেই প্রাপ্ত হয় না।তার জন্য প্রয়োজন কঠিন সংযমের।একমাত্র সংযমের মাধ্যমেই এই মহা শক্তিশালী ক্ষমতা অর্জন করা যায়।তখন মানুষ দুঃখ ভোগের উর্দ্ধে চলে যায় কিন্তু সত্যি কি দুঃখ কে আটকানো যায়?দুঃখ তার নিয়মেই আসবে তবে সুখ ও দুঃখকে সমভাবে গ্রহণ করতে পারলেই কেল্লাফতে।
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd1CLNkPm6SLM5DeWaPN9tgG5q8YTuaisT1dYZDMxaBk7/image.png)
Image[source]
কোনো কিছু পাওয়ার জন্য বহু কষ্টের পর যদি সেটা অধরা থাকে তাহলে আসে হতাশা আর এই হতাশা হলো সবচেয়ে বড় দুঃখের উৎসব।নিজেকে কখনোই হতাশায় ডুবে যেতে দিও না।এটা যদি ভেবে নিতে পারো যে সব কিছুই জীবনের অংশ এবং যাই ঘটে যাক কোনো কিছুই আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না তাহলে আপনাকে অভিনন্দন!আপনি দুঃখকে জয় করতে পেরেছেন।
সম্পর্ক ও সম্পর্কের টানাপোড়েন সবচেয়ে বড় দুঃখের কারণ।আমাদের এই দৈনন্দিন জীবনে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আমাদের জীবনকে ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।দুঃখ কে পরিহার করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো এই সম্পর্ক গুলো।আর সম্পর্ক গুলো বেশি বেশি প্রত্যাশার জন্ম দেয়।কিন্তু সব প্রত্যাশা পূরণ হয় না।তার কারণ হলো বিপরীত এ যে আছে তার পক্ষে সব সময় প্রত্যাশা পূরণ করা অসম্ভব।আবার পরিস্থিতি ও অনেক সময় সঙ্গে দেয়না।এই জন্য আমাদের কোনো কিছুতেই প্রত্যাশা রাখা উচিত নয়।
বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি।আবার ফিরবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।সবাই নিরাপদে থাকুন।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
আসলে দাদা ফল লক্ষ্যমাত্রা যদির ফোকাস রেখে কাজ করা যায় তাহলে সেই কাজে সফলতা আসে না। আপনি ঠিকই বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা এই পৃথিবীর মূল্যবান যারা রয়েছে তারা যদি ভাবতো আমি বিজ্ঞানী হব আমি বিশ্বকবি হবো, তাহলে যদি সেই কাজ করে যেত তাহলে তারা কখনোই তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারতো না। প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবে। কাজের ধারাবাহিকতা রাখতে হবে, যে ঠিকভাবে চলছে কিনা, এটা নিয়ম তান্ত্রিক মানতে হবে। তাই যদি প্রতিনিয়ত কাজ করে যায় সময়ের সাথে সাথে তাহলে একদিন সফলতা অর্জন হবে।আর সুখ এবং দুঃখ একে অপরের পরিপূরক, দুঃখ আছে বলেই সুখের এত দাম। আর প্রতিটা মানুষই সুখী হতে চায়। কেউ দুঃখ পেতে চায় না। সেজন্য তাকে সময়ের সাথে কাজ করতে হবে এবং জীবনকে উপলব্ধি করতে হবে। আপনার কথাগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। সত্যিই আমরা যদি আমাদের সময় এবং সততার সাথে কাজ করে যায় তাহলে সফলতা অর্জন করব।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
যার প্রত্যাশা যত বেশি, তার দুঃখ পাবার সম্ভাবনা তত বেশি। আমাদের জীবনে সুখ-দুঃখ দুটিই আছে। সুখ তো আমরা সবাই চাই, কিন্তু দুঃখ কে চায়!!
আসলে আমাদের চাওয়া-পাওয়াটা অনেক বেশি। যার এক্সপেক্টেশন খুবই কম, দিন শেষে সেই সবচেয়ে বেশি সুখী।
জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এমন বাস্তব কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনার লেখা থেকে আজকে অনেক মূল্যবান কিছু কথা জানতে পারলাম। কখনো কখনো কিছু কথা জানলেও সেটা মানতে চাই না। জীবনে আমরা যদি সবসময় সফলতার পেছনে ছুটি তাহলে হোচট খাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আর যদি সব সময় নিজের কাজের প্রতি ডেডিকেটেড হই তাহলে সফলতা এমনিতেই আমাদের হাতে ধরা দিবে। আসলে আমরা সুখের পিছনে বেশি ছুটতে গিয়েই দুঃখ কে বরণ করে নিচ্ছি। আবার এটা মানতে চাই না দুঃখ আছে বলেই আমরা সুখ খুঁজে বেড়াই। আমরা যদি দুঃখকে জয় করতে না পারি তাহলে কখনই সুখ আমাদের ধরা দেবে না। দাদা আপনার লেখার গভীরতা সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জীবনে সব কিছুর প্রয়োজন আছে।দুঃখ ছাড়া সুখ মূল্যহীন।যার দুঃখ যত বেশি,তার কাছে সুখের মূল্য ততই বেশি।যা যদিও দুঃখ কিংবা কষ্ট ক্ষনস্থায়ী।আমাদের সকলের উচিত জীবনে যে অবস্থায় থাকুক না কেন,সবটাই মেনে নেওয়া।ধন্যবাদ।
দুঃখকে জয় করতে হবে দাদা। মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট সব কিছুই রয়েছে। সবাই জীবনের সুখ চায় কিন্তু কেউ জীবনে দুঃখ চায়না। যার জীবনে প্রত্যাশা যত বেশি দুঃখ তার জীবনে অনেক বেশি। কিন্তু ওই দুঃখকে জয় করে মানুষকে সুখের প্রান্তে যেতে হবে। আপনাকে ধন্যবাদ দাদা মূল্যবান পোষ্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
অন্ধকার আছে বলেই আলোর এতো কদর। তেমনি দুঃখ আছে বলেই সুখের এতো দাম। মানুষ স্বভাবতই সুখ খুঁজে। দুঃখ কয়জনই বা চায়! যাদের আকাঙ্ক্ষা যত কম তাদের দুঃখ পাবার সম্ভাবনাটাও কম । এজন্য আমাদের আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে ফেলতে হবে। তবেই হয়তো সুখ খুঁজে পাওয়া যাবে । তবে আমাদের সব পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর। ধন্যবাদ দাদা।
কর্ম ত্যাগ অপেক্ষা কর্ম করাই শ্রেয় ঠিক তেমনি কর্মকেই যদি ধর্ম মনে করি তবে আমাদের জীবনে সফলতা কিংবা ব্যর্থতার কোন স্থান থাকবে না। কর্মের মধ্যে যারা সুখ খুজে পায় তারাই সঠিক পথে আছে। মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক গুলো যদি কোন কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা ছাড়া তৈরী হতো তবে সম্পর্ক কখনই ভাঙ্গতো না। দৃঢ় সম্পর্কের ভিত্তিই হচ্ছে কোন কিছু প্রত্যাশা না করা। যা হোক দাদা দারুন লিখেছেন। আমাদের উচিত ফলের আশা না করে কর্ম করে যাওয়া । শ্রীমদ্ভগবত গীতায় আমি সেই রকমই ব্যাখ্যা পেয়েছি।
প্রসঙ্গক্রমে অনেকগুলো বিষয়ের প্রতি আপনি আজ আলোকপাত করেছেন, হ্যা, সবগুলোর আলোচনাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আসলে জীবনে আমরা সর্বদা একমুখী চিন্তা করি, সফলতা কিংবা সুখী অথবা সবগুলোর প্রত্যাশার পূর্ণতা। ফলশ্রুতিতে আমরা নিজের সামর্থের সেরাটুকু কখনোই ব্যবহার করতে পারি না।
আমার এক শিক্ষক একটা উপদেশ দিয়েছিলেন, সেটা ছিলো এই রকম জীবনের যে অবস্থায়ই থাকো না কেন সেটাকে মেনে নেয়ার চেষ্টা করবে এবং সেই সময়টাকে উপভোগ্য করে রাখার চেস্টা করবে, অপ্রাপ্তিকে কখনো সামনে আসতে দিবে না, তাহলেই জীবন এবং জীবনের সময়গুলো স্বার্থক হবে। আপনার লেখাগুলো পড়ে সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community