রথেরমেলায় এই বছর একটু সময় কাটানো।।০৫ জুলাই ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আষাঢ় মাস চলে।অর্থাৎ পুরোপুরি বর্ষাকাল।এই মাসেই জগন্নাথ দেব রথে করে তাঁর মাসির বাড়ি যান।
তাঁর সঙ্গে যায় তার ভ্রাতা বলরাম ও বোন সুভদ্রা।এই রথ কে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় রথযাত্রা পালন করা হয়।আর এই রথযাত্রা কে কেন্দ্র করেই বহুকাল আগের থেকেই মেলা হয়ে আসছে।ছোটবেলায় রথের মেলায় যাওয়ার একটা প্রবল আকর্ষণ ছিলো।সময়ের সাথে সাথে বয়স বাড়ার কারণে সেই আকর্ষণ টা নেই কিন্তু একটা বিশেষ ভালো লাগা আজ ও রয়ে গেছে।তাই প্রতি বছর রথ এলেই অন্তত একবার রথের মেলায় ঘুরে আসি।
আমাদের বাড়ির খুবই কাছে একটা মন্দির সংলগ্ন মাঠ রয়েছে এবং এই জায়গার নাম ও রথতলা।আর এখানেই প্রতি বছর খুব জমজমাট মেলা বসে।কোভিডের কারণে গত দুই বছর মেলা হতে পারে নি।তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই বছর মেলা হওয়াতে সবার মধ্যে একটা উৎসাহ কাজ করছে।তার প্রমাণ পাওয়া গেল প্রথম দিন মেলা গিয়ে।সত্যি এতো ভিড় যে হতে পারে সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিলো।কোথাও একটু দাঁড়ানোর ও জায়গা নেই।চারিদিকে শুধু লোক আর লোক।আর এই জন্যই কবি যথার্থ বলেছিলেন-
"রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম,
ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।
পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি,
মূর্তি ভাবে আমি দেব--হাসে অন্তর্যামী।"
ছোটবেলায় রথের মেলায় যেতাম মাটির খেলনা কিনতে।মাটির খেলনার প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ ছিলো আমার মতো গ্রামের ছেলেদের।খেলনা গুলোর দাম ও কম ছিলো কিন্তু তখন আমাদের মতো ছোট ছেলেদের কাছে এই দাম ও অনেক মনে হতো।কারণ মা বাবা মেলায় যাওয়ার জন্য যে টাকা দিতো যা সত্যি সব শখ পূরণের জন্য যথেষ্ট ছিলো না।যাই হোক আমরা সবাই মিলে বেশ আনন্দের সাথেই মেলায় ঘুরতাম।সেই সব দিনগুলির কথা আজ বড় মনে পড়ে।জানি সেই সব দিন কখনোই ফিরে আসবে না।কিন্তু যদি কোনো অজানা জাদুবলে ফিরে আসতো কতই না ভালো হতো।
মেলায় গিয়েই আমরা পাঁপড় কিনে খেতে শুরু করলাম।এরপর একটু ঘুরে ঘুগনি খেলাম।আমরা শরীর টা বিশেষ ভালো ছিলো না তাই মেলার ভিতরে আর বেশি ঢুকিনি।৩০ মিনিটের মতো সময় কাটিয়ে কিছুটা চীনা বাদাম কিনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
এতবেশি ভিড় না হলে , এখন ও মেলায় যাওয়ার আকর্ষণ বোধ করি । আর সত্যি কথা বলতে মাটির খেলনার প্রতি আমারও অনেক দুর্বলতা কাজ করে। আমি এখন ও মাটির ব্যাংক কিনি খুব সত্যি কথা এটা । আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আমার ছোট বেলায় মেলায় যাওয়ার কথা মনে পরে গেল । ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ।
রথ মেলার প্রতি আপনার অনেক ভালো লাগা এবং পিছুটান আজ বলেই অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও মেলায় বেড়াতে গিয়েছেন। আর এটাই হলো সেই রথমেলার প্রতি ভালোবাসা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ।
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
এই বছর রথের মেলা যাওয়া হয় নি দাদা। অনেক বছর পর মিস করেছি এই দিনটা । তবে আপনার ছবিতে মেলার জিলিপি দেখে নিজেকে যেন সামলানো যাচ্ছিলো না। মেলায় গিয়ে জিলিপি আর নটকল্ ফল কেনা অত্যাবশ্যকীয় ছিল প্রতি বছর। আমাদের এখানে মাসির বাড়ি সাত দিন ধরে ভোগ হয়। পুরো পাড়ার মানুষ দুপুর বেলা ওখানে গিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করে। আজ আমিও গিয়েছিলাম। অন্যরকম এক অনুভূতি। প্রভু জগন্নাথ আমাদের সকলের মঙ্গল করুন এই প্রার্থনা করি 🙏
দাদা আমাদের এখানেও প্রতিবছরই একমাস ব্যাপী রথ মেলা হত। আর আমরাও সে মেলায় যেতাম কিন্তু করোনা আসার পর থেকে এখন আর রথ মেলা হয় না। আপনার মেলার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে মেলায় অনেক ভিড় জমেছে। আর জিলাপির ফটোগ্রাফি দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি কারণ জিলাপি আমার অনেক পছন্দের দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ছোটবেলায় মেলায় যেতে যেরকম মজা লাগতো এখন আর সেরকম মজা লাগেনা । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রথের মেলায় খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন দাদা দেখে বোঝা যাচ্ছে। সেইসাথে ছোটবেলার স্মৃতি গুলো আপনি যখন করেছেন এই মেলার মাধ্যমে। আসলেই গ্রামে এরকম মেয়ে লাগলো বেশ ভালো লাগে। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকি মেলা। সেই সাথে খুব সুন্দর করে কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। যা দেখে ভালো লাগলো অনেক ভালো লাগলো দাদা। আরে সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
স্কুলে পড়াকালীন রথযাত্রার ছুটি পেতাম লাফাতে ঝাপাতে বাড়ি ফিরতাম কিন্তু এই দিনের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। আজ আপনার পোস্টের ভুমিকায় মুল থিমটা বুঝতে পারলাম।
আমাদের অঞ্চলে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস কম থাকায় রথের মেলা কখনো অনুষ্ঠিত হতে দেখিনি। তাই এর সম্পর্কে ধারণা প্রায় শুন্যের কোটায়।
তবে অন্য কোন মেলা হলে কিন্তু যাওয়া মিস হয়না। প্রচুর দোকান এবং চেনা অচেনা মালামাল এ ভরপুর এ দৃশ্য যেন শুধু দেখতেই মন চাই।
ধন্যবাদ দাদা এমন আনন্দময় মুহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দাদা যদিও এই রথ মেলার সম্পর্কে বা পূজা সম্পর্কে কিছু জানতাম না। তবে এবার আপনাদের রথ মেলার উৎসবে ঘুরতে যাওয়ার অনেক কিছুই জানলাম। মেলা সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে খেলনা, ঠিক বলেছেন ছোটবেলার যে আকর্ষণ আনন্দ সেটা বড় হওয়ার সাথে সাথে কমে যায়। কিন্তু আগের সেই অনুভূতিটা রয়ে যায়। মেলা আদ ঘন্টা ঘুরাঘুরি করে পাপন খেলেন ঘুগনি খেলেন শেষ পর্যন্ত চিনা বাদাম কিনে বাড়ি ফিরে এলেন। দারুন ছিল আপনার এই আনন্দঘন মুহূর্তটি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ছবি দেখেই তো মনে হচ্ছে, অনেক ভীড়।আসলেই ছোট বেলাকে যদি ফিরে পাওয়া যেতো তাহলে কতই না ভালো হত।আমার কাছেও মাটির জিনিসপএ বেশ ভালো লাগে।দাদা আপনার সুস্থতা কামনা করছি।ধন্যবাদ
দাদা রথেরমেলায় এই বছর একটু সময় কাটানোরর দারুণ অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।আসলেই করোনার কারণে দুই বছর কোন মেলা হয়নি।আর আপনার বাড়ির পাশেই রথ মেলা।ছবিতে দেখলাম মেলায় মানুষের ঢল।তবে ছোটবেলায় রথখোলায় যে যে মাটির খেলনার প্রতি আপনার আকর্ষণ ছিল এবং কিনতেন আমার মনে আছে আমার ছোটবেলায় আমি মাটির খেলোয়াড় পূর্তির খুবই দুর্বল ছিলাম।সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্য♥♥