ইকো পার্কে জাপানি ফরেস্ট পরিদর্শন।।১২ জানুয়ারি ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে প্রায় দু বছর পর ইকো পার্ক ঘুরে এলাম।করোনার আগে প্রায়ই প্রতি রবিবার টিনটিন বাবু কে নিয়ে কলকাতার এই বৃহৎ ও সুন্দর পার্কে যেতাম আমরা।কিন্তু হঠাৎ এই মহামারীর জন্য সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়।আর এরপরের টা যে কি ভয়ংকর ছিলো সেটা আপনারা সবাই জানেন। যাই হোক হঠাৎ ই প্ল্যান করা হলো ইকো পার্কে যাওয়ার।আগে থেকে একদমই কোনো প্ল্যান ছিলো না।আজকে আর ক্লাস যে যাওয়া হয়নি।সারাদিন বাড়িতে ছিলাম।
একা একা সময় কাটছিল এটা ওটা করে।তো দুপুরে স্বাগতা ফোন করে বললো একা একা আছো।আমার টেনশন হচ্ছে চলো কোথাও ঘুরে আসি।আমি বললাম কোথায় যাবো?কলকাতা শহর তো আমার বহুবার এক কথায় চষে ফেলা।নতুন বলতে কিছু নেই।
তখন স্বাগতা বললো শীতকাল চলো ইকো পার্কে যাই সুন্দর সুন্দর ফুল দেখতে পাবো।আর কিছু দারুণ ফটোগ্রাফি ও করা যাবে। তাই ওর কথায় রাজি হয়ে গেলাম।আর বিকেল তিনটার দিকে আমরা বেরিয়ে পড়লাম ইকো পার্কের উদ্দেশ্যে।যেতে মোটামুটি ত্রিশ মিনিট এর মত সময় লাগলো।আজকে রাস্তা বেশ ফাঁকাই ছিলো।রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম না থাকলে কলকাতায় কোথাও যেতে তেমন সময় লাগে না।
ইকো পার্কে ঢুকে আমরা কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম প্রথমেই।তারপর হাঁটতে লাগলাম।বেশ ভালোই লাগছিলো পার্কে লেকের পাশ দিয়ে হেঁটে বেড়াতে।এরপর আমরা আরেকটু এগিয়ে গিয়ে আমাদের নজরে পড়লাম একটা আলাদা ইউনিট।আর হ্যাঁ এটা অবশ্যই ইকো পার্কের মধ্যেই।এর নাম জাপানি ফরেস্ট।আগে যেহেতু এখানে যাওয়া হয়নি আমাদের কারোই তাই আমরা ঢুকে পড়লাম জাপানি ফরেস্ট এ।ঢুকেই দেখলাম গৌতম বুদ্ধের একটি বিশাল মূর্তি।
এরপর আরেকটু ভিতরে গিয়ে দেখলাম ভিতর টা বেশ সুন্দর করে গাছপালা ও আরো কিছু উপকরণ দিয়ে সাজানো।আর সেগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।এখানে ও আমরা কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম।সেই গুলোই আপনাদের সাথে আমরা ভাগ করে নিতে চলেছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
প্রথমতই স্বাগতা আপুকে খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে।আর আসলে বাড়িতে বসে একা একা ভালোও লাগে না।জায়গাটা বেশ সুন্দর ই সত্যি বলতে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভালোই আপু টেনশনে ঘুরতে যায়।এর আগেও ইকো পার্কের অনেক ছবি দেখেছি,কিন্তু ইকো পার্কের আলাদা ইউনিটের ছবি দেখা হয়নি।আসলেই ভিতর এর ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুন্দর
আপুকে বেশ ভালো লাগছে লাল কালারে।ধন্যবাদ।
স্বাগতা দিদি তো খুব কেয়ারিং মনে হচ্ছে। আপনি একা একা আছেন জন্যই টেনশনে আপনাকে নিয়ে ঘুরতে চলে গেল। আসলে ঠিকই বলেছেন করোনা আমাদের জীবনকে অনেক বেশি পাল্টে দিয়েছে। ঘোরাঘুরি অনেকটা কমে গিয়েছে । যদিও এখন সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে । ইকোপার্কটি খুব সুন্দর দেখছি। তাছাড়া গিয়ে আপনাদের ভালই হয়েছে নতুন জাপানি ফাস্ট জায়গাটি দেখতে পেলেন এবং দুজনে মিলে ভালো সময় কাটালেন। দিদির প্রথম ছবিটা খুব সুন্দর লাগছে দেখতে।
আসলে সারাদিন একা থাকতে আর ভালো লাগেনা যাই হোক এই ঘোরাঘুরির পিছনে বড় অবদান কিন্তু স্বাগতা দিদির। ইকোপার্কের সৌন্দর্যগুলো কোন ক্যামেরার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ভিতরের পরিবেশটা আসলে অনেক সুন্দর।
দাদা কেমন আছেন, আশাকরি ভাল আছেন। ইকো পার্কে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, দেখে ভাল লাগলো। দিদিকে অনেক সজীব লাগলো।😍সবুজের পাশে গেলে সজীবতায় ভরে উঠে আসলে।যদিও কলকাতা শহরের সবকিছু দেখা শেষ, তারপরেও প্রকৃতির মাঝে বার বার গেলেও ভাল লাগে।আপনি বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, দারুন লাগলো।বিশেষ করে নীচ থেকে গাছের ছবিটা দারুন ছিল।👌 আপনারা সেখানে গিয়ে নতুন একটি ইউনিট দেখতে পেলেন, যা কিনা জাপানি ফরেস্ট। ঢুকতেই গৌতম বুদ্ধের একটি বিশাল মূর্তি দেখতে পেলেন।আর ভেতরে অনেক গাছপালা ও বিভিন্ন কিছু দিয়ে সাজানো। পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি,ধন্যবাদ দাদা।অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে। আপনাদের দুজনের জন্য শুভকামনা রইল।
ইকো পার্কে এতটাই বড় যে এতবার যাওয়ার পরও সবটা দেখা হয়নি।পরের বার জাপানি ভাগটাই যাওয়ার চেষ্টা করব।
ছোট দাদা , নিঃসন্দেহে আপনি আর দিদি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ইকোপার্কে, যা আপনাদের কাটানো মুহূর্তের ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুভেচ্ছা রইল আপনাদের দুজনের জন্যই।
বাহ দাদা দুজনে হুট করে ঘুরতে বেরিয়ে পড়লেন। সত্যিই চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। ইকোপার্কটি আসলে দেখতে অনেক সুন্দর ।জাপানি ফরেস্ট টাও দেখতে বেশ সুন্দর মনে হচ্ছে। দুজন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। আসলে শীতের দিনে পার্কে এরকম ঘুরতে গেলে বেশ ভালই লাগে। করোনার কারণে তো আমাদের সকলেরই ঘোরাঘুরি মোটামুটি বন্ধই ছিল। এখন যদিও সে ভয় অনেকটা কেটে গিয়েছে। তার পরেও সাবধানে থাকবেন। ভালো থাকবেন।
এর আগে খুব সম্ভবত আমি ইকো পার্কে যে কয়বার গিয়েছি, তার মধ্যে দুই থেকে তিন বার জাপানি ফরেস্টে ঘুরতে গেছি। জায়গাটা সত্যিই খুব সুন্দর এবং শান্তশিষ্ঠ। তবে জাপানি ফরেস্ট এ একটা বুদ্ধ মন্দির আছে ওটা কিন্তু দেখার মত। আর সবথেকে যে ব্যাপারটা এখানে হতাশ করে যেটা হল, এর ভেতরের রেস্টুরেন্ট গুলোতে খাবারের দাম আকাশ ছোঁয়া। তুমি আর স্বাগতা দি ঘুরতে গেছো শুনে বেশ ভালো লাগলো। আর ঘরে একা থাকার থেকে একটু ঘোরাঘুরি করলে মন মানসিকতাও ভালো থাকে।