বাল্যকাল ও যুবক বয়সের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা।।১৯ জুলাই ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি শৈশবের সাথে কর্মজীবনের একটা তুলনা করতে গিয়ে কিছু বিষয় লক্ষ্য করলাম।সময় চলে সময়ের নিয়মে।আমরা হাজারো চেষ্টা করেও সময়কে ধরে রাখতে পারি না।কালের নিয়মে আমাদের শৈশব আসে,যৌবনকাল আসে তারপর আসে বার্ধক্য।এই অবস্থা থেকে কোনো ভাবেই পরিবর্তন সম্ভব নয়।তাই যতই কষ্ট হোক না কেন আমাদের এই পরিবর্তন কে মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হয়।
আমরা সমবয়সীরা বাল্যকাল পেরিয়ে এসেছি।ঢুকে পড়েছি জীবনের সবচেয়ে অদ্ভুত বৈচিত্র্যময় পর্যায়ে।যৌবনকাল কে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় বলা হয়।তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে পারি আমার কাছে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় বাল্যকাল।জীবনকে হালকা ভাবে নিয়ে আনন্দ টাকে মুখ্য করা যায় কেবলমাত্র এই পর্যায়ে।তাই আমরা সবাই কমবেশি জীবনের যেকোনো পর্যায়ে এসে বাল্যকাল কেই বেশি মিস করি।একটা সাধারণ বৃষ্টি আমাদের নস্টালজিক করে তোলে,মনে করিয়ে দেয় ছেলেবেলার কত মধুর স্মৃতিকে।
আমি বাল্যকাল ও যুবক বয়সের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে যেটা সর্ব প্রথম লক্ষ্য করলাম সেটা হলো উৎসাহের নদীতে ভাটা।ছেলেবয়সে সব কিছুই ভালো লাগে আর একটা অদম্য কৌতূহল কাজ করে সব কিছু নিয়ে।শারীরিক কিংবা মানসিক কোনো কষ্টই তখন মুখ্য হয়ে ওঠে না।শুধু আনন্দে থাকাই একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে ওঠে।একথা অনস্বীকার্য নয় যে সবার ছেলেবেলা আনন্দময় নয়।শিশু শ্রম একটা বড় অভিশাপ আমাদের সমাজে। যাই হোক ,বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমার এই উৎসাহ কমতে থাকে। এ কথা বলা যায় যে উৎসাহ বয়সের সাথে ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক রাখে চলে।
আর একটা পয়েন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো মানসিক চিন্তা,অবসাদ ইত্যাদি।যুবক বয়সে এসে মানুষ সমাজের কাজে একটা বিচার্য বস্তু হয়ে যায়।সবাই নানান দিক দিয়ে তাদেরকে বিচার করে। একদিনে কেউ সফল হয় না।নানা উত্থান পতন এর মধ্য দিয়ে আসে সফলতা।কিন্তু তুমি যতক্ষণ না সফল হবে পুরো সমাজ তোমাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করবে।বাল্যকাল এ এই চিন্তা টা থাকে না।
আরেকটা বিষয় হলো খাবারের প্রতি আকর্ষণ।বয়স বাড়ার সাথে সাথে খাবারের প্রতি একটা যে টান থাকে সেটা কমতে থাকে।কম বয়সে বাড়িতে একটু মাংস হলেই সারাদিন একটা ভালোলাগা একটা উৎসাহ কাজ করে।সেটা যৌবন কালে লোপ পায়।
আজ এই পর্যন্ত ,হাজির হবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
শৈশব সব সময় সুন্দর। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই হয়তো শৈশবের সোনালী স্মৃতিগুলো সারা জীবন মনে থাকবে। সময়ের সাথে সাথে আমরা যেমন এগিয়ে যাচ্ছি তেমনি হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সুন্দর মুহূর্তগুলো। আর হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের ভালোলাগাগুলো। যেখানে অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতাম সেখানে সন্তুষ্টি নামক শব্দটি দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। দাদা আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
বাহ্ দাদা বেশ সুন্দর কিছু তফাৎ খুঁজে বের করেছেন তো দেখছি। এটা কিন্তু সঠিক যে বাল্যকাল আর যুবককাল এ দু সময়ের মধ্যে অনেক অনেক পার্থক্য। আপনার প্রতিটিই যুক্তি বেশ ভালো লেগেছে। তবে বেশী ভালো লেগেছে মাংস না খেতে পারার বিষয়টি।
এটা সত্য যে, বাল্যকালেই মনেহয় আমাদের জীবনের সবথেকে সুন্দর ও সুখকর সময় গুলো ছিল। আর এখন যতোদিন যাচ্ছে ততই যেন সবকিছু জটিলতা সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে।
যথার্থ লিখেছেন ভাই 🙏
দাদা বেশ সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো।বয়সের ব্যবধান হলে মনেরও ব্যবধান হয়। একটা সময় যেটা ভালো লাগে এবং আকর্ষণ থাকে বয়স হয়ে গেলে সে জিনিসের প্রতি আকর্ষণ কমতে থাকে। তবে দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন শৈশবের মতো সুন্দর সময় আর নেই। আরেকটি কথা অনেক ভালো লাগলো মানুষের জীবনে একদিনে সফলতা আসে না। অনেক উথানপতনের মধ্য দিয়ে সফলতার সেই সোনালী দিনটি আসে। বেশ সুন্দর ও বাস্তব কথা লিখেছেন দাদা। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
খুব সুন্দর কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন দাদা আজকের পোষ্টে। সত্যি বয়স বাড়ার সাথে সাথে জাগতিক বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের চিন্তাশক্তি একটু বেশী কাজ করতে শুরু করে দেয়। যার কারনে বাল্যকালে যে কোন বিষয় নিয়ে যেমনটা আনন্দে মেতে উঠতে পারতাম বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেটাও যেন কোথায় হারিয়ে যায়। বাল্যকালটা জীবনের সেরা সময়, এটাই আমি বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ
আমারও মনে হয় বাল্যবয়স নিঃসন্দেহে সবচাইতে ভালো। জীবন নিয়ে কোনো প্রকারের চিন্তা নেই। সারাদিন শুধুই বন্ধুদের সাথে দৌড়াদৌড়ি আর খেলা ধুলা। বয়স বাড়লে জীবনের যাঁতাকলে সবই হারিয়ে যায়।