সেন্টার মল সংলগ্ন সুন্দর একটি জায়গায় কিছুক্ষন সময় কাটানো।।১৭ অগাস্ট ২০২২।।
এখন যেহেতু বর্ষাকাল চলছে তাই বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক।বৃষ্টি কার না ভালো লাগে!তবে এই যে যখন তখন সময়ে অসময়ে বৃষ্টি নেমে যায় এটা আমাদের একদমই ভালো লাগে না।আপনাদের আগেই বলেছি যে আমি একটি ভ্রমণ পিপাসু মানুষ।তাই স্বাভাবিক ভাবেই ঘুরতে আমি ভীষণ ভালোবাসি।তাই যখনই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে হঠাৎ করে বৃষ্টি এসে আমার মন খারাপ করে দিয়ে চলে যায়।কিছু দিন পর আমার CA পরীক্ষা।তবে এই পড়াশোনার চাপে মাঝে মধ্যে মনটাকে একটু ফ্রেশ করতে ঘুরতে যেতে খুব ইচ্ছে করে।
গতকাল বিকেল অবধি ঘুরতে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনাই ছিলো না।তবে বোন হোস্টেল থেকে অনেক দিন পর বাড়ি এসেছে।তারপর আজকে ওর জন্মদিন।বোন হঠাৎ করেই বললো ঘুরতে যাবে।আমার অনেক পড়া ছিলো কিন্তু বোনের আবদার তো রাখতেই হবে।কি আর করা।আমি রাজি হয়ে গেলাম।
কিন্তু কোথায় যাবো।প্রতিবার ঘুরতে যাওয়ার আগে আমার এই একটা প্রবলেম হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোথায় যাবো?কারণ যেহেতু কলকাতায় এমন আর কোনো ঘুরতে যাওয়ার জায়গা নেই যে আমি যাইনি।তাই নতুন কোনো জায়গা আর খুঁজে পাইনা মনের মতো।তাই বারবার প্রিয় পুরোনো জায়গা গুলোতেই যাই।
আজ ঠিক করলাম সেন্ট্রাল মল ও তার সংলগ্ন সুন্দর যে পরিবেশ সেখানে ঘুরতে যাবো।এই মল টা নিউটাউন এ অবস্থিত।আমার বাড়ি থেকে এই জায়গায় পৌঁছতে মোটামুটি ৩০ মিনিট এর মতো লাগলো।গতকাল যেহেতু ১৫ অগাস্ট ছিলো, ভারতের স্বাধীনতা দিবস সেহেতু এই জায়গাটা আরো বেশি সুন্দর ও লোক সমাগম হয়েছিলো।
দেখলাম একটা জায়গায় দেশাত্মবোধক গানের কনসার্ট হচ্ছে।যিনি গান গাইছিলেন খুব সুন্দর কণ্ঠ ওনার।আমরা কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে ওনার গান শুনতে লাগলাম।
এই জায়গাটিতে একটা flyover এর নিচটা ভীষণ সুন্দরভাবে রং করে ডেকোরেশন করা হয়েছে।আর নীচে রয়েছে নানা রকম খাবারের স্টল।একেপাশে দেখলাম বিখ্যাত বিখ্যাত কিছু মানুষ বাণী ও পোস্টার।এটা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।আমি আগেও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছি।
তবে বোনের এই প্রথম আসা এই জায়গাটিতে।তাই বোনের ভীষণ ভালো লেগেছে।আমরা প্রথমে কিছু সেলফি ও ফোটো তুলে নিলাম।এরপর চিকেন ফিঙ্গার ও চিকেন মোমো অর্ডার করলাম।সত্যি বলতে দুটো খাবারই খুব সুন্দর ছিলো।এরপর একটু স্পেশাল চা খেয়ে নিলাম।চা টা এরা খুবই ভালো করে।
এরপর ওখান থেকে বেরিয়ে আমরা একটা সুন্দর থিমের রেস্টুরেন্টে এ ঢুকে গেলাম।রাতের ডিনার করার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
এবার বাংলাদেশে চলে আসুন দাদা ঘুরতে। খুব একটা খারাপ লাগবে না। রাতের কলকাতা বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে। পুরনো সেই রাস্তাঘাট আজকে আবার দেখতে পেলাম আপনার ছবির মাধ্যমে। চমৎকার লাগলো এক কথায়।
দাদা এবার তাহলে কলকাতার বাইরে ঘোরা শুরু করেন যেহেতু কলকাতায় ঘোরা আপনার শেষ।আসলেই আমিও দেখেছি যখন আমি বের হতে যায় আকাশ থেকে বৃষ্টি নেমে পড়ে বেশ অস্বস্তিকর।বোনের আবদারে তাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন এটা দেখে ভালো লাগল। আপনার জন্য শুভকামনা।।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আপনাদের যে বোন আছে তা আমি জানতাম না দাদা। যাইহোক বোনের আবদার পূরণ করাইতে ভাইয়ের কাজ 😍। এটা কলকাতা যেতে সবগুলো স্থান পরিদর্শন করে ফেলেছেন তাহলে আপনি বাংলাদেশে চলে আসেন। কক্সবাজার ,বান্দরবান, সিলেট ও চট্টগ্রামে আরো সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে।
এমন জায়গায় বেড়াতে গেলে সবারই অনেক ভালো লাগবে ঠিক আপনার বোনেরও তেমন অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। জায়গাটা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি সত্য অসাধারন একটি জায়গা ছিল মন চাচ্ছে এক্ষুনি ঘুরে আসি। সেন্টার মল সংলগ্ন সুন্দর একটি জায়গায় কিছুক্ষন সময় অনেক আনন্দের সাথে আপনি অতিবাহিত করেছেন এবং চিকেন ফ্রাই ও চিকেন মোমো অর্ডার করেছেন ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
দাদা নমস্কার
দাদা আপনি আপনার বোন কে নিয়ে সেন্টার মল সংলগ্ন বেশ সুন্দর একটি অতিবাহিত করেছেন ৷রাতের বেলার দৃশ্য গুলো বেশ চমৎকার ছিল ৷
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন তা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
দাদা আপনার মত আমিও ঘোরাঘুরিকে বেশি ভালোবাসি কিন্তু বর্তমানে ট্রাফিক ব্যবস্থা তেমন ভালো নয়। যার জন্য দূরে কোথাও যেতে খুবই ভয় লাগে। যাইহোক খুব সুন্দর বর্ণনার সাথে দারুন মুহূর্তের অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার।
দাদা আপনি বোনকে নিয়ে খুবই সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করেছেন এবং বোনের সাথে খুবই আনন্দময় মুহূর্ত পার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
এই বছর বৃষ্টির পরিমাণ কম । তবে বৃষ্টি ব্যাঘাতটা বেশী । সারাদিন মেঘের দেখা নেই । অথচ হুট করে এক পশলা বৃষ্টি এসে পথ ঘাট ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে । এই সময় বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে বিরক্তির সীমা থাকে না ।
পড়া শোনার ফাঁকে একটু বাইরে ঘুরে বেড়ানো অনেক ভাল একটা উদ্যোগ ছিল । মনটা একটু ফ্রেশ হয়ে যায় । বোনকে একতু সময় দিয়েছিলেন তাই তিনিও হয়েছিলেন আনন্দিত এটাও ছিল ভাল একটা মুহুর্ত । বাইরে যেয়ে পছন্দের খাবার খেলে বেশ ভালই লাগে ।
ধন্যবাদ দাদা । কিছু আনন্দময় সময়ের চিত্র এবং অনুভুতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।