বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে কয়েকটি ফোটোগ্রাফি।।০২ জুন ২০২২।।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
DSC_0357.JPG

কাগজী ফুল

হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আমি কয়েকটি ফোটোগ্রাফি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলেছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আর এই ফটো গুলোর বিশেষত্ব হলো এগুলো আমি শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে তুলেছি।বিশ্বভারতী শিল্প ও সাহিত্যের জন্য সবথেকে আদর্শ জায়গা।অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত মানুষ এই শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করে গিয়েছেন।ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ট প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কিছু বছর হিন্দি ভাষা নিয়ে শান্তিনিকেতনে থেকে পড়াশোনা করেছেন।



আমি আগেই বলেছি যে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস অনেক অনেক বড়।তাই এই বিশাল ক্যাম্পাস একদিনে ঘুরে দেখা প্রায় অসম্ভব।আর এগুলো শুধু তাকালেই দেখা হয়ে যায় না।দেখার মতো দেখতে হয়।যে দেখায় অনুভূতি আছে উপলব্ধির সুযোগ আছে।টোটো করে প্রখর রোদ কে স্বাক্ষী করে আমরা রবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জায়গায়টি দেখতে লাগলাম।


একটা জায়গায় এসে আমাদের টোটো থামলো।আমাদের টোটোর ড্রাইভার একজন গাইড ও বটে।তিনি একটি ঘেরা জায়গা দেখিয়ে বললেন যে এটা হাতি পুকুর নামে পরিচিত।দেখলাম ভিতরে একটা বেশ বড়সড় পুকুর এবং সাইড এ একটি বিশাল হাতির মূর্তি বানানো আছে।টোটো ড্রাইভার জানালেন যে এই হাতি কে নিয়ে একটা গল্প পরিচিত আছে।গল্পটি অনেকটা এই রকম যে এই হাতিটি তৎকালীন জমিদারের ছিলো।এই পুকরের সন্নিকটে একটা মাঠে লোহার শিকল দিয়ে হাতিটি বাধা থাকতো।একদিন একটি বাচ্চা খেলা করতে করতে কোনো কারণে এই পুকুরে পড়ে যায় এবং ডুবতে বসে।হাতিটি ব্যাপারটা লক্ষ্য করে এবং লোহার শিকড় ভেঙে ঐ বাচ্চাটিকে রক্ষা করে।


DSC_0358.JPG

DSC_0361.JPG

একটি কাগজী ফুলের ফটোগ্রাফি ও আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছি।এই ফুল আমাকে অনেকটা নস্টালজিক করে দেয়।কারণ ছোটবেলায় যখন গ্রামে থাকতাম তখন এই ফুলের সাথে খুব পরিচয় ছিল।আমাদের গ্রামের বাড়ির ঢুকার মুখে একটি বেশ বড় গাছ ছিল।সেটা অবশ্য লাল কাগজী ফুল ছিল।


এরপর একটি আদিবাসীর ভাস্কর্য দেখলাম।আর এই ভাস্কর্যটি তৈরী করেছেন এই বিশ্বভারতীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছাত্র বিখ্যাত শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজ।এক অসাধারণ শিল্পকর্ম এটি।সত্যি কি অসাধারন প্রতিভাধর ছিলেন রামকিঙ্কর বেইজ।

DSC_0366.JPG

বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই।আবার দেখা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।অনেক অনেক ধন্যবাদ।।




|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

png_20211106_204814_0000.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

Sort:  
 2 years ago 

একদম যথার্থ বলেছেন দাদা, তাকালেই কিন্তু সব কিছু দেখা হয় না, বরং মনের চোখ দিয়ে তা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে হয়, অনুভূতি দিয়ে তা অনুভব করতে হয়, না হলে কোন কিছু দেখার পুরো স্বাদটা পাওয়া যায় না। আসলে দারুণ একটা প্রকৃতি এবং সজীবতা ফুটে উঠেছে আপনার ফটোগ্রাফিতে, দৃশ্যগুলো চমৎকার ছিলো। ধন্যবাদ

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 2 years ago 

দাদা আপনার হাতের ছবি গুলো সব সময় ভিন্ন একটা মাত্রা পায়। এটা নতুন না । শুরু থেকে দেখে আসছি। কাগজী ফুলটা মনে হয় প্রথম দেখলাম। এক কথায় অপূর্ব লেগেছে। আর হাতি পুকুরের কাহিনী সত্যিই রোমাঞ্চকর ছিল। ভাবতেই অন্যরকম লাগছে।

 2 years ago 

হাতির গল্পটা পড়ে বেশ অবাক লাগলো।শিকল ভেঙে বাচ্চাটা বাচিয়েছে।আমাদের দেশে কাগজী ফুলকে বাগানবিলাস বলা হয়।আসলেই সুন্দর ফুলগুলো।ধন্যবাদ

 2 years ago 

দাদা প্রত্যেকটা ছবি যেন এক একটি গল্প। ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আমি ছোটবেলায় অনেক লাল কালারের কাগজি ফুল দেখেছি। আজকের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে লাল কাগজি ফুলের চেয়ে এটাই দেখতে বেশি সুন্দর। আদিবাসীর ভাস্কর্যটি দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ক্যাম্পাসে খুবই আনন্দময় মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। সত্যি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ক্যাম্পাসের কিছু সৌন্দর্য দেখতে পেলাম। খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া আমি তো প্রথম দেখায় হাতিটিকে জীবিত হাতি ভেবে ছিলাম,পরে লেখা পড়ে বুঝলাম এটা হাতির মূর্তি। ভাস্কর্যটি দেখে বুঝলাম অনেক দক্ষ হাতের কাজ। আর কাগজী ফুল আমি আগে দেখেছিলাম বাট নাম জানতাম না , এখন জানলাম ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

আর এই ভাস্কর্যটি তৈরী করেছেন এই বিশ্বভারতীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছাত্র বিখ্যাত শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজ।এক অসাধারণ শিল্পকর্ম এটি।সত্যি কি অসাধারন প্রতিভাধর ছিলেন রামকিঙ্কর বেইজ।

সত্যি দাদা ভাস্কর্যটি অসাধারণ। আসলে যিনি এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন তিনি অনেক প্রতিভার অধিকারী। দাদা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভালো লেগেছে। ফুলের ফটোগ্রাফিটিও অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️

Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 years ago 

প্রত্যকটি ফটোগ্রাফি যেন এক একটা গল্প নিয়ে।বেশ সুন্দর হয়েছে।আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি চমৎকার লাগছে দেখতে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 60209.45
ETH 3212.30
USDT 1.00
SBD 2.43