বহুদিন পর গ্রামের মেলায় আমি।।১৯ শে অক্টোবর ২০২২
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আজ আপনাদের সাথে আমি একটা গ্রাম্য মেলায় কাটানো কয়েকটি মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।কিছুদিন আগে আমি বাংলাদেশ গিয়েছিলাম কয়েকদিনের জন্য।ওখানে একটি গ্রামে দুদিন ছিলাম।যেহেতু তখন পুজোর মেলা চলছিলো তাই আমার ও মেলা দেখা হয়ে গেলো।বহু বছর পর গ্রামের মেলা দেখলাম।তবে আমরা মেলায় ফাঁকা সময়ে অর্থাৎ যখন লোক খুব একটা আসা শুরু হয় না তখন গিয়েছিলাম।
কারণ এমনিতে বৃষ্টি হয়েছিল আর মেলার মাঠ কাদায় ভরে গেছিলো।তাই প্রচুর লোক জড়ো হলে যে কি খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে সেটা কিছুটা অনুমান করতে পড়েছিলাম।তাই আমরা আর ঝামেলায় যাই নি।মেলায় দুদিন গিয়েছিলাম।একদিন পাশ দিয়ে অন্য জায়গায় যাচ্ছিলাম তখন মেলায় সামনে দাঁড়িয়ে একটু ঢুকেছিলাম তাও বিকেলবেলা।আর একদিন আমার এক ভাইপো কে নিয়ে সন্ধ্যার দিকে গেছিলাম।তখন অল্প অল্প করে লোক আসা শুরু করছিলো।
গ্রামের মেলায় আমার ভালো লাগে বিভিন্ন খাবার।বিভিন্ন রকমের তেলেভাজা,মিষ্টি,জিলাপি এই গুলো আমার খুবই পাসন্দের।যদিও এখন দিনদিন খাবারের প্রতি আমার আগ্রহ কমে যাচ্ছে।তবুও ভালো লাগে এখনো বেশ।যাই হোক এবার মেলায় ঢুকেই ঘষা বরফ খেয়ে নিলাম এক গ্লাস।এটি একটি দারুন জিনিস।ভারতে অনেকটা এই ভাবেই গোলা তৈরি হয়।
কিন্তু পার্থক্য ঘষা বরফ তৈরি করতে বরফের কুচি গুলো একটা গ্লাস এ রেখে তাতে দুধ চিনি সিরাফ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় আর গোলা তৈরি করতে এই বরফের কুচি গুলোকে একটা ছোট গ্লাস এ রেখে চাপ দিয়ে লম্বা আকারের আইসক্রিম সদৃশ গোলা তৈরি করা হয়।তারপর এর গায়ে বিভিন্ন সিরাপ দেওয়া হয়।গোলা আমার খুব খেতে ভালো লাগে কিন্তু খুব একটা পাওয়া যায় না আমাদের কোলকাতায়।তবে উৎসবের সময় পাওয়া যায়।আর এই ঘষা বরফটা ও আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।আমার খাওয়ার ইচ্ছে রইলো।
এরপর মেলায় কিছুটা সময় থেকে আমরা আমাদের কাজের উদ্দেশ্যে আবার বেরিয়ে পড়লাম।এর পরের দিন আমার এক ভাইপোকে নিয়ে সন্ধ্যায় ঘুরতে ঘুরতে মেলায় গেলাম।সত্যি বলতে মেলা দেখার চেয়ে একটু হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম আমরা।মেলায় গিয়ে দেখলাম আস্তে আস্তে মেলায় লোক হতে শুরু করেছে।আমরা একটা ফুচকা-চটপটির দোকানে ঢুকে পড়লাম।
দুজনে দু-প্লেট ফুচকা নিলাম কিন্তু সত্যি বলতে তেমন একটা ভালো লাগলো না।এরপর আমরা কয়েকটি মিষ্টি খেয়ে নিলাম এবং মিষ্টি গুলো সত্যি অনেক ভালো ছিলো।মেলাটা একবার ভালো করে ঘুরে নিলাম।কি কি জিনিসের দোকান বসেছে সেগুলো দেখে নিলাম।খেলনার দোকানের পাশ দিয়ে যেতেই একটু নস্টালজিক হয়ে গেলাম।ছোটবেলায় কত বায়না করতাম এইসব খেলনা কিনতে।আর বয়সের সাথে সাথে এই সব খেলনার প্রতি আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।সত্য বড় অদ্ভূত আমাদের এই মানব জীবন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
দাদা আপনার মত আমিও কেমন যেন দিন দিন খাওয়া দাওয়ার ওপর চাহিদা হারিয়ে ফেলছি। আর মেলার এই ফুচকা গুলো ভালো না লাগারই কথা। আমার তো কখনোই ভালো লাগে না এই জিনিসটা। যাই হোক বেশ মজা করে যে ঘুরেছেন সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আর সত্যিই দাদা একটা সময় এই মেলা গুলো নিয়ে ভেতরে কত উত্তেজনা কাজ করতো!! কোথায় যে হারিয়ে গেল সেই দিনগুলো! আর একটাবার খুব ইচ্ছে করে ফিরে পেতে পুরোনো সেই শৈশবকে 🥰
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
আশা করি দাদা ভালো আছেন? গ্রামের মেলায় ঘুরে দেখেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ফুচকা মিষ্টি খাওয়া দাওয়া করেছেন সবমিলিয়ে ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। প্রচন্ড রোদে দুপুরবেলায় এই সব দোকান থেকে শরবত খেতে খুব ভালো লাগে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ দাদা, ভালো থাকবেন।
দাদা গ্রামের মেলার আলাদা এক সৌন্দর্য আছে। আমি কোথাও এ ধরনের মেলা দেখলে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা, একবার হলেও ঢু মারতে হবেই। ঘষা বরফ আর গোলা দুটোই আমাদের দেশে নতুন চালু হয়েছে। আপনার মত আমার কাছেও দারুন লাগে এর স্বাদ। তবে বাংলাদেশের কোন এলাকায় এসেছিলেন, কোথায় মেলা দেখলেন কিছুই লিখলেন না। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
সত্যি বলতে গ্রাম্য মেলা গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে কারণ সেখানে গ্রামীন দেশ ওটাই বেশি ফুটে ওঠে। আপনি কয়েকদিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো দাদা। আসলে গ্রামীণ মেলার সৌন্দর্য অন্যরকম কিন্তু এই সৌন্দর্যটা তখনই নষ্ট হয়ে যায় যখন বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে পুরো মেলায় একদম কাঁদায় ভরে ওঠে তখন আর গ্রাম্য মেলা দেখতে মন চায় না নিজের কাছে অস্বস্তি কর মনে হয়। গ্রাম্য মেলায় আপনি অনেক চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সত্যি বলতে গ্রাম্য মেলার জিলেপি সহ অন্যান্য খাবার গুলো অনেক বেশি লোভনীয় হয়ে থাকে।
জি দাদা আপনি এর আগেও বাংলাদেশে এসে প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলেন ৷ আর আজকে আপনি পুজোর মেলা থেকে মেলার কিছু বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন ৷ আসলেই গ্রামের মেলা গুলোতে বেশ ভালোই লাগে ৷ আর গ্রামের মেলার একটা সমস্যা যেটা হলো বৃষ্টি এলে অবস্তা খারাপ কাদা দিয়ে শেষ ৷
যা হোক আপনার মেলাতে কাটানো মুহূর্তে তোলা ফটোগ্রাফি অনেক ভালো ছিল৷
দাদা আপনি বাংলাদেশে এসেছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। গ্রাম অঞ্চলের মেলাগুলো অনেক জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও ঘুরতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। আশা করি আপনারও ভালো লেগেছে দাদা। মেলায় ভির কম ছিল সেটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মেলার অস্থায়ী ফুসকার দোকানগুলোতে ফুসকার মান খুব একটা ভালো হয়না দাদা তাই আপনার খেতে ভালো লাগেনি। মিষ্টি খেতে ভালো লেগেছে এটা ভালো লাগলো। মেলার মিষ্টি জিলাপি খোরমা এগুলো খেতে সত্যিই অনেক মজা লাগে। ছোটবেলায় যে জিনিস গুলোর প্রতি বেশি আগ্রহ থাকে বড় হওয়ার পর আর তা থাকে না এটা ঠিক বলেছেন দাদা সত্যি আমাদের মানব জীবন বড়ই অদ্ভুত। বাংলাদেশের মেলায় ঘোরার সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা।
করোনার পর থেকে মেলার আর আগের জৌলুস নেই আগে যেখানে ১০০ দোকান আসত এখন সেখানে ২০-২৫ টি।এধরনের ফুচকার দোকান মেলায় সাম্প্রতিক কালে দেখছি।এদের টেস্ট খুব একটা ভাল হয়না।আর পেট খারাপ হবার সম্ভাবনা থাকে ১৬আনা।আপনার মেলায় ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা অনেক ভাল লাগল।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
এই ঘষা বরফ কে আমাদের এদিকে বলে গোলা।আমার তো ভীষণ পছন্দ,তবে কম পাওয়া যায় এটাই মূল সমস্যা।আপনি বাংলাদেশে এসেছেন এটা দেখলেই রাগ হয় আমার!!
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community