আমার কবিতার খাতা থেকে: আজব দুনিয়া।।১৬ মে ২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি একটি কবিতা লিখতে চলেছি।এই কবিতায় ফুটে উঠেছে জীবনের চরম কিছু সত্যি।যে সত্যি সব কিছুর উপরে।একজন কবি তার চিন্তা মননে ফুটিয়ে তোলে কল্পনা কিংবা বাস্তবতাকে অনেক সুন্দর ভাবে।মাঝে মাঝে বাস্তবতা কল্পনার থেকে ও সুন্দর হয়।আসুন আজকের কবিতাটা একটু পড়ে নি।আমি কবি নই।তবু ও কিছু লেখার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সারারাত কেটেছে ভীষণ দুশ্চিন্তায়
কালকে সব ঠিক থাকবে তো?
কালকে আমার জীবনে আসবে না তো প্রলয়?
নিজের বেলায় হয়নি এতো চিন্তা
পড়াশোনা সত্যি বলতে আর পড়াশোনা নেই,
এটা একটা অদৃশ্য জীবন মৃত্যু নিয়ে লড়াই।
ছেলেটা পড়েছে ভীষণ কপাটে লাগিয়ে তালা,
তবুও ভীষণ ভয় পাশের বাড়ির মেয়েটা বলছে
পরীক্ষা হয়েছে তার দারুণ ভালো,
আমার ছেলেটা পাবে তো তার থেকে বেশি নম্বর!
হে ভগবান বেশি কিছু চাইনা না এবার
অনন্ত পাশের বাড়ির মেয়েটার থেকে বেশি পায় যেন নাম্বার।
এই ভাবতে ভাবতে কাটলো রাত,
মনে হলো সারারাত একটা দুঃস্বপ্নের সাগর পেরিয়ে
একটু আলোর মুখোমুখি হলাম কোনো অজানা দ্বীপে।
ছেলেটা কে দেখছি আমার আছে দারুণ মুডে,
ওর নেই এতো চিন্তা ,সত্যি বাবা পারে বটে এরা।
আর তো কয়েক ঘণ্টা বাকি
কি হবে কি হবে?বুক ধুকধুক হৃদয় বুঝি থামলো এবার
হঠাৎ বাজলো ফোন খবর এলো ছেলে আমার
করেছে ওরে বাবা করেছে ৯৫ পার্সেট নিয়ে পাশ।
এই দাঁড়া দাঁড়া আনন্দের লাফাস না
জানিস কি পাশের বাড়ির মেয়েটা পেতো কত নম্বর টা?
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কবিতার লাইনগুলো দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বিশেষ করে প্রতিটা লাইনের সাথে যেন বাস্তবতা জড়িয়ে আছে। দারুন কবিতা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় দাদা।
দারুনএকটি কবিতা লিখেছেন দাদা কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যিই আমরা যেন আজব দুনিয়ায় বাস করছি আমাদের যেন দুশ্চিন্তার অভাব নেই।অন্যের চেয়ে নিজের সেরাটা হতে হবে এ নিয়ে থাকি আমরা ব্যস্ত। অসাধারণ কবিতা লিখেছেন দাদা বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে। ধন্যবাদ দাদা দারুন একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
দাদা আজকে আপনার কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার প্রত্যেকটা কবিতা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকের আজব দুনিয়া এই কবিতাটি সত্যিই অসাধারণ ছিল। মনের অনুভূতিগুলো যেন কবিতার মাধ্যমে শেয়ার করেছেন, আসলে আপনার কবিতাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগে।
দারুণ দাদা। একটাই চাওয়া পাশের বাড়ির মেয়েটার থেকে যেন বেশি নম্বর পাই। কেউ যেন কথা না শোনাতে পারে। এটা এখন বাস্তবতা। এবং এটা প্রমাণ করে কী একটা দুঃসহনীয় অবস্থা পার করছে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা। ছেলে ভালো করেছে এটার থেকেও তাদের গুরুত্ব বেশি পাশের বাসার মেয়ে কত পেয়েছে।
জীবনের সাথে একেবারে ১০০% মিল এমন একটি কবিতা লিখলেন।আমি নিজেও তো এই দুশ্চিন্তায় ছিলাম গত কয়েকদিন আগে।
দাদা আপনি আপনার লেখা কবিতার লাইন গুলোর মাঝে এই সমাজের বাস্তব চিত্র অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। সত্যি দাদা পরীক্ষার নম্বর নিয়ে এতো মাতামাতি দেখতে একদমই ভালো লাগেনা। কে বেশি পেল আর কে কম পেল এই নিয়ে যখন সবাই মাতামাতি করে তখন বেশ খারাপ লাগে। আর তখন মানসিকতা একেবারে ভেঙে যায়।
সবকিছু নিয়েই চারিদিকে শুধু প্রতিযোগিতা আর প্রতিযোগিতা। পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করলেও,সবাই শুধু পাশের বাড়ির ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে উদাহরণ দেয়। পাশের বাড়ির ছেলে মেয়েরা যদি আরও ভালো রেজাল্ট করে,তাহলে তো বিভিন্ন ধরনের কটুকথা শুনিয়ে দেয়। আসলে ভালোর কোনো শেষ নেই। তবে রেজাল্ট যেমনই হোক না কেনো, পরিবার থেকে সাপোর্ট পেলে সামনে আরও ভালো রেজাল্ট করা যায়। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও বেশ অর্থবহ একটি কবিতা শেয়ার করেছেন দাদা। কবিতাটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এতো সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।