ভালো থাকার উপায় নিজের কাছে।।১২ আগস্ট ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো।আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আশা করি সবার ভালোই লাগবে।আজকে আমি নিজের অভিজ্ঞতা ও নিজের কিছু কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলেছি।আসলে আমি কিছুদিন আগে কলকাতার একটি বড় মলে গিয়েছিলাম ঘুরতে।তখন এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে দেখে আমার কিছু কথা মনে হলো।একটা আত্ম উপলব্ধি হলো।আর সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলেছি।আমরা মানুষ।সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব এটা নিঃসন্দেহে।কিন্তু মানুষ এর অন্যান্য প্রাণী থেকে বেশি আবেগ ও কষ্ট দুঃখ ভোগ।আর এটার একটা কারণ মানুষ এর বুদ্ধিমত্তা ও তীব্র অনুভব ক্ষমতা।
The old man
আমরা সব বয়সেই একটা জিনিষ চাই সেটা হলো ভালো থাকা।আমরা সবাই ভালো থাকতে চাই।কেউ খারাপ থাকতেই চায় না।একটু ভালো থাকার জন্য দিন রাত ধরে এতো কষ্ট এতো পরিশ্রম।কিন্তু চাইলেই কি আর ভালো থাকা যায়।আমরা অনেক চেষ্টা করেও ভালো থাকতে পারি না।তখন আমরা বলি আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ।কিন্তু আসলেই কি আমাদের ভাগ্য খারাপ?
না আমাদের ভাগ্য খারাপ হয়।ভালো থাকা আর খারাপ থাকাটা যখন অন্যের উপর বা অন্য কিছু বিষয়ের উপর আমরা ছেড়ে দি তখনই ঘটে বিপত্তি।আসলে অন্যের উপর বা অন্য কিছুর উপর আমাদের কোনো হাত নেই বা নিয়ন্ত্রণ নেই তাই আমাদের ভালো কিংবা মন্দ থাকাতে ও আমাদের কেনো নিয়ন্ত্রণ নেই।তবে আমরা যদি আমাদের ভালো থাকা টা আমাদের মতো করে গুছিয়ে নিই তাহলে কেমন হয়।
The old man
আমরা শেয়ার করা ছবিটা ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবেন যে আমি নিছক খাবার খাওয়ায় রত কোনো বৃদ্ধের ফটো তুলিনি।আমি নিজের মতো ভালো থাকার একটা উদাহরণ করে তুলে ধরেছি আপনাদের সামনে।
এই বৃদ্ধ মানুষটাকে আমি চিনি না।আমার কাছে একদম অপরিচিত।কিন্তু এই জীবনের পড়ন্ত বেলায় দাঁড়ানো মানুষটার জীবন দর্শন আমাকে দারুণ ভাবে আকৃষ্ট করেছে।অবসর জীবন ,এই জীবনে সবারই একটা হতাশা নেমে আসে।কোনো কিছুই ভালো লাগে না।তবে এই মানুষটা শেষ বয়সে ও নিজেকে ভালো রাখার আয়োজন করেছেন।বই পড়ার শখ আর সাথে নিজেকে একটু ঘুরতে নিজে যাওয়াকে দারুণভাবে সমন্বিত করেছেন।যে বয়সে মানুষ আফসোস করে হতাশা করে সেই বয়সে এই মানুষটা একটা দারুণ উদ্যম নিয়ে জীবনে অনুভব ও উপভোগ করছে।এই বৃদ্ধ লোকটার থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে।
এই ডিপ্রেসন ভোগার যুগে আমরা যুবকেরা যখন জীবন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছি তখন এই মানুষটার জীবন দর্শনই আমাদের সঠিক পথ দেখাতে পারে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
আসলেই খুবই সহজেই আমরা আমাদের ভাগ্যকে দোষ দিই।কিন্তু ভাগ্য তো আমরা নিজের কর্ম দ্বারাই নির্ধারন করি।খুব সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছো দাদা।বৃদ্ধ লোকটির এই বয়সেও বই পড়ার নেশা দেখে ভালো লাগলো।এটা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।ধন্যবাদ দাদা।
ঠিক বলেছেন দাদা আপনি আমাদের ভালো থাকার উপায় হচ্ছে আমাদের নিজের কাছে। আসলে সময়ের সাথে ভালো ব্যবহার করে নিজেকে সব সময় সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আসলে আমি মনে করি আমাদের জীবনের ভালো থাকার উপায় যদি অন্যের উপরে নির্ভর করে তাহলে জীবনটা কখনোই ভালোভাবে চলতে পারে না। লোকটি জীবনের শেষ বয়সে বেসে বই পড়ছে দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো দাদা। আসলে এই থেকে বুঝতে পারলাম শিক্ষার কোন বয়স নেই। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একা একা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেতে আমাদের ইয়ং জেনারেশন এর অনেকেই আনইজি ফিল করে। সেক্ষেত্রে এই ভদ্রলোক নিজের কম্পেনিয়ন ভালোই ইঞ্জয় করছেন। সংগী অবশ্য নেই বললে ভুল হবে, পছন্দের বই এর চেয়ে ভালো সংগী আর কীই বা হতে পারে! এমন গাটস ওয়ালা মানুষগুলো ভালো থাকুক। তাদের দেখে আমরা ছোটরা যেন শিখি যে আসলে নিজে নিজেকে খুশি রাখার চেষ্টা না করে অন্যের উপর নির্ভরশীল হলে, দিন শেষে সুখপাখি ধরা নাও দিতে পারে...
আপনাকে ধন্যবাদ দাদা এতসুন্দর করে গুছিয়ে আপনার আত্ন-উপলব্ধি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা ভালো থাকাটা আসলেই আমাদের নিজস্ব একটি ব্যাপার আর সেটা আমরা ইচ্ছা করলেই করতে পারি কিন্তু আমরা তা করি না । আসলেই এই বৃদ্ধ এর কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখা উচিত । এই বয়সেও সে কত সুন্দর বই পড়ে ঘুরে ফিরে নিজের জীবনটা উপভোগ করছে । ভালো লাগলো দাদা আপনার লিখা পড়ে ।
একদমই ঠিক বলেছেন দাদা। বিদ্ধ লোকটি অনেক সুন্দর ভাবে তার নিজের মতো শখ করে জীবন পার করছেন। ভালো থাকাটা আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার। ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলো পড়ে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
দাদা আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম আর সত্যিই অনেক গভীর চিন্তায় ডুবে যাচ্ছিলাম। আমাদের শেষ বয়সটা কেমন হবে? সত্যিই কি ভালো থাকতে পারবো নাকি হতাশার অন্ধকারে হারিয়ে যাবো। যাইহোক আপনার ছবিগুলো নিজের মতো ভালো থাকার নিদর্শন হতে পারে। বয়স্ক লোকটি নিজেকে নিয়ে নিজের মতো করে ভালো রয়েছে। উপর ওয়ালা যেন আমাদের সেই সময়গুলো দুশ্চিন্তামুক্ত এবং আনন্দময় করে তোলে এই কামনা করছি।
সত্যি বলেছেন দাদা ভালো থাকা নিজের উপর।অন্যের উপর ভর করলে বা অন্যকে দেখলে ভালো থাকা যায় না।ভালো থাকতে পারাটা নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়।এই বৃদ্ধ মানুষটিকে দেখে সত্যি ই অনেক কিছু শেখার আছে।এই বয়সে এসেও তিনি খুব ভালো লাগা নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন।খুবই ভালো লাগলো দেখে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি উপমা দিয়ে ভালো থাকার একটি কিছু ধারনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বৃদ্ধ মানুষটিকে দেখে কিন্তু আমার ও কিছুটা প্রাণ ফিরে এসেছে। উনি এ বয়সে এসেও একা একা ভালো থাকার চেষ্টা উজ্জীবিত আছেন। নেই কোন বন্ধু বা নিকট আত্নীয়। তাতে কি উনার ভবনে উনিই রাজা। তাই বলা যায় নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব কিন্তু নিজেকেই নিতে হবে।
একদম ঠিক বলছেন দাদা আমরা মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও তেমন বেশি। তবে সবাই চাই জীবনে সুখী হতে ভালো থাকতে। কিন্তু নিয়তির পরিস্থিতি কারণে মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির মধ্যে পড়ে যায়। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে কি করলে আমরা সুখী থাকতে পারি। কিংবা নিজেকে বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রণা থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। অনেক ভালো লেগেছে আপনার লেখা গুলো পড়ে ধন্যবাদ।
সত্যি দাদা দারুণ একটা মুহুর্ত আপনি শেয়ার করেছেন এবং তার সাথে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপলব্ধি। সব দিক হতে সেরা হয়েও আমরা প্রতিনিয়ত হতাশার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি কারন আমাদের সঠিক উপলব্ধির অভাব এবং জীবনের গতিকে সঠিকভাবে বুঝতে না পারা। আজকের কথাগুলো সত্যি দারুণ ছিলো।