আজকের আলোচনা:প্রশ্ন:মানুষ যাকে ভালোবাসে তার স্বাধীনতায় কতটা হস্তক্ষেপ করতে পারে?।।পর্ব০১
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।অনেক দিন পর আমি আবার জীবন সম্পর্কে লিখতে চলেছি।জীবনকে গভীরভাবে অনুভব করার মধ্যে একটা আলাদা উত্তেজনা , অভিজ্ঞতা ও ভালোলাগা আছে।
এই অনুভব নিঃসন্দেহে আপেক্ষিক।কারণ স্থান কাল ও ব্যক্তি বিশেষে এর ভিন্নতা রয়েছে। যাই হোক বন্ধুরা আমি আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু কথা আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি।মতবিরোধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক।যেকোনো গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনা স্বাগত।
আজকের বিষয়: কারণে অকারণে অনেক বেশি পসেসিভ হওয়া আসলেই কি উচিত?
আমরা মানুষ।সামাজিক জীব।আমাদের বেচেঁ থাকার জন্য একে অন্যের সঙ্গ সহযোগিতা প্রয়োজন।আর এগুলোর যদি প্রয়োজন না থাকতো তাহলে মানুষ অবশ্যই জঙ্গলে গিয়ে বসবাস করতো।কিন্তু মানুষ সেটা করে না।তাই এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় মানুষের দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করা এদের নিজেদের স্বার্থেই।এই আমরা এক সাথে বসবাস করতে গিয়ে সব সময় শুরু নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক রাখি সেটা তো একদমই নয়।মারপিট ঝগড়া রাগ অভিমান ভালোবাসা সবই থাকে এই মানুষের একসাথে থাকার মধ্যে।এর এর মধ্যে সবচেয়ে জটিল ও মনস্তাত্বিক বিষয় হলো একে অন্যের প্রতি একটা বিশেষ বিশেষ সম্পর্ক।
সেটা হতে পারে স্বামী স্ত্রী ভাই বোন প্রেমিক প্রেমিকা ইত্যাদি সম্পর্কে।এই সম্পর্ক গুলো কখনোই একটা সমীকরণ মেনে চলে না।হয়তো নাম একই সবার ক্ষেত্রে তবে তার ধরন ও বৈশিষ্ট্য আলাদা।আর তাদের গভীরতা ও জটিলতা ও ভিন্ন ভিন্ন।
প্রশ্ন:মানুষ যাকে ভালোবাসে তার স্বাধীনতায় কতটা হস্তক্ষেপ করতে পারে?
মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। স্বয়ং ঈশ্বর এই পৃথিবীর প্রাণীকে স্বাধীনভাবে জীবন ধারণের অধিকার দিয়েছেন।কিন্তু মানব সমাজে মানুষ সত্যিকারের স্বাধীনতা কতটা পায়?আর তার অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম করে যেতে হয়।এটা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে আর হয়তো সময়ের শেষ অবধি চলতে থাকবে।
কেউ কাউকে ভালোবাসলে অধিকার জন্মায়।আর এই অধিকার থেকে মানুষ তার প্রিয় মানুষটাকে সব সময় আগলে রাখতে চায়।সে চায় তার মানুষটা সব সময় তাকে নিয়েই চিন্তা করুক তাকে নিয়েই তার জগত টা চলুক।কিন্তু এই ভাবনা যুক্তিহীন ও অবাস্তব।কারণ প্রত্যেক মানুষের ভালো লাগা খারাপ লাগা স্বাতন্ত্র্য।তাই ভালোবাসার মানুষ এর জন্য সে সব কিছু উৎসর্গ করতে পারে কিন্তু সেটা অবশ্যই তার স্বাভাবিক স্বভাব বিরুদ্ধ।কিন্তু এই ব্যস্ততা ও বিশ্বায়নের যুগে কাউকে নিজের মতো করে রাখা অনুচিত ও সময়কে উপেক্ষা করার সামিল।কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা ব্যতিক্রম পয়েন্ট নিয়ে আসে।কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম ও সূত্রে তাকে ঠিক বাঁধা যায় না।
যে কাজ টা প্রিয় মানুষের কষ্টের কারণ হয়,হোক না সেই কারণ অমূলক তবুও সেটা সে করতে চায় না।আর স্বাভাবিক ভাবে করে না।এই ভাবেই সম্পর্ক গুলো বয়ে যায় আরো অটুট বন্ধন নিয়ে।কিন্তু এই সম্পর্কের মধ্যে ও যদি কোনো কঠিন পরিস্থিতি আসে তাহলে এই কার্যক্রমের কিছুটা তারতম্য ঘটে।situation demands, কিছুই করার থাকে না।কিন্তু তাতে বিপরীত দিকের মানুষটা সাধারণভাবে কষ্ট ভাবে,তার খারাপ লাগবে।কিন্তু সে বুঝতে পারে এটা একটা সাধারণ বিষয় তবুও তার মন খারাপ হয়।সম্পর্কে উত্তাপ বাড়ে।আর এই জন্যই সম্পর্ক গুলো অনেক জটিল ও ধারাবাহিক।
চলতে থাকবে........................
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
দাদা আপনি দারুন একটি টপিক তুলে ধরেছেন ৷ আসলে আপনার চিন্তা ধারা বেশ বড় মনের ৷ যা হোক দাদা ভালোবাসার মানুষকে স্বাধীনতা দেয়া বা নেয়া ৷একেক জনের একেক রকম ৷ তবে একটা কথা বলতে চাই ৷ ভালোবাসার তার মতো স্বাধীনতা দেওয়াই উচিত ৷ তাহলে ভালোবাসাটা হয়তো পাকাপক্ত হবে ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ৷
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
একেকজনের ভালোবাসার এক এক ধরনের বহিঃপ্রকাশ থাকে, কেউ স্বাধীনতা দিয়ে তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে চায়, কেউবা আপন মানুষের এটেনশন সব সময় তার দিকেই চায়। তবে আমার ভালোবাসাটা কিছুটা স্বার্থপর এর মতই, সে আমাকে ভালোবাসবে আমাকে নিয়ে ভাববে যেমনটা সৃষ্টি হবে আমার জগত তাকে নিয়ে, এ জগতে ভালোবাসা পরিমাপ করার সূত্র এখনও আবিষ্কার হয়নি।
আশা করি শ্রদ্ধেয় ছোট দাদা ভালো আছেন? আমি মনে করি ভালবাসার মানুষের স্বাধীনতা উপর ততটুকু হস্তক্ষেপ করা উচিত যতটুকু হস্তক্ষেপ করলে সেই বিরক্তবোধ হয় না। আমাদের সমাজ দেখা যায় ভালবাসার নামে স্বাধীনতার উপর নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়। প্রত্যেক মানুষেরই নিজে স্বাধীনভাবে মতামত এবং আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে । তাই বলে ভালবাসার নাম দিয়ে অন্যের অধিকার আবেগ অনুভূতি হস্তক্ষেপ করা কোনভাবে উচিত নয়। ভালোবাসা হয় হৃদয়ের আবেগ দিয়ে হৃদয় উজার করে দিয়ে অন্যকে ভালোবাসা উচিত। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন দাদা।
দাদা ভালো আছেন আশাকরি। আসলে ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলার ভয় থেকে মানুষটাকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রাখতে চায়।কিন্তু এটা ঠিক নয়। ভালবাসা হচ্ছে প্রজাপতির মত, আলতো ভাবে ধরতে হয়।প্রজাপতিকে আপন ইচ্ছে মত উড়তে দিলে একটা সময় এসে ঠিক আপনার গায়ে এসে বসবে।ধরতে যাবেন উড়ে যাবে।
আমার মনে হয় ভালোবাসা হতে হবে মুক্ত! ঠিক যেন আকাশে উড়া পাখির মতো! দিনশেষ আমার খাঁচায় এসে ধরা দিবে! তবে স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করলে একটা সময় দেখা যাবে বিরক্ত হয়ে যাবে! হয়ে যাবে সম্পর্কটা জটিল!
প্রতিটা মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে যেহেতু মানুষ সামাজিক জীব একে অপরকে সম্পৃক্ততার সাথে থাকতে পছন্দ করে।আর সেই সম্পর্কগুলো বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে কিন্তু ভালোবাসার মধ্যে অধিকারের হস্তক্ষেপটা অনেক সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সবারই উচিত নিজের থেকে চিন্তা ভাবনা করে হস্তক্ষেপ করা এবং তার জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করায় সহায়তা করা। তাহলে এই সম্পৃক্তবন্ধন অটুট থাকবে ভালোবাসায় কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হবে না। অনেক ভালো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন দাদা পড়ে ভালো লাগলো।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Хуета полная