থমাস আলভা এডিসন ও তাঁর মা।।১৯ মার্চ ২০২৪
টমাস আলভা এডিসন ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক।আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে তার ছিলো দারুণ বাস্তব অভিজ্ঞতা।১১ ফেব্রুয়ারী, ১৮৪৭ সালে মিলান এর ওহাইওতে জন্মগ্রহণ করেন এডিসন।তার মা ন্যান্সি এডিসন কে বাড়িতে রেখে নিজে পড়াশোনা করানোর আগে এডিসন কে একটা স্কুলের ভর্তি করিয়েছিলেন।
ক্লাস এ এডিসন একদমই মনোযোগী ছিলেন না।আসলে তিনি যথেষ্ট বিকাশ লাভ করতে পারেন নি একজন শিশু হিসেবে।তাই অন্যান্য ছেলে মেয়েদের তুলনায় সে অনেক পিছিয়ে ছিল।এই রকম বেশ কিছুদিন কেটে গেলো।এডিসন প্রতিদিন স্কুল থেকে বিমর্ষ হয়ে ফিরত।এডিসনের মা বুঝতে পেরেছিলেন যে সে স্কুলে একদমই ভালো সময় পার করছে না।তার মা এডিসনকে নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলেন।এই ভাবে আরো কিছুদিন কেটে গেলো।একদিন এডিসন একটি চিঠি হাতে স্কুল থেকে ফিরলো।এডিসন তার মাকে চিঠি টি হস্তান্তর করলো।
এডিসনের মা ন্যান্সি চিঠি টা বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়লেন।তারপর একটু হেসে ছেলে দিকে তাকিয়ে বললেন কাল থেকে তোমাকে আর স্কুলে যেতে হবে না।এই কথা শুনে বালক এডিসন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো কেন ,মা?এই প্রশ্নের উত্তরে এডিসনের মা বললো যে বাবা স্কুলের শিক্ষকেরা লিখেছেন যে তুমি অনেক অনেক মেধাবী।তোমার মত এতো অসাধারন মেধার ছাত্র কে পড়ানোর মতো যোগ্যতা তাদের নেই।সেই কারণে তোমাকে বাড়িতে রেখে আমাকে তোমায় শিক্ষা দান দিতে বলেছেন।এটা শুনে বালক এডিসন খুব খুশি হলো।
এরপর অনেক সময় কেটে গেলো।১০০০ এর ও বেশী পেটেন্ট ওনার নামে।যার মধ্যে রয়েছে ফোনোগ্রাফ, মোশন পিকচার ক্যামেরা এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী, ব্যবহারিক বৈদ্যুতিক আলোর বাল্ব ইত্যাদি।সারা পৃথিবীতে তিনি সেরা উদ্ভাবক হিসাবে খ্যাত।আজ ওনার মা ও জীবিত নেই।একদিন বাড়ির কিছু পুরনো কাগজ পত্র ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে এডিসন সেই স্কুলের চিঠিটি খুঁজে পেলেন।
চিঠি টায় কি লেখা আছে সেটা তার মা তাকে পড়ে শুনিয়েছিলেন।কিন্তু তবুও তিনি আরেকবার পড়ার আগ্রহ নিয়ে চিঠিটা খুললেন।পড়ে তিনি বিস্মিত হলেন,তার দুচোখ জলে ভরে উঠলো।
চিঠিতে লেখা ছিলো,' ম্যাডাম ন্যান্সি।আমরা খুবই দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আপনার সন্তান কে আমরা আমাদের স্কুলে আর রাখতে পারছি না।কারণ সে জড় বুদ্ধিসম্পন্ন।একপ্রকার প্রতিবন্ধী শিশু।তাই তাকে আমরা ছাত্র হিসেবে স্কুলে জায়গা দিতে পারবো না।'
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
এজন্যেই মানুষ বলে দুনিয়ার সবাই পর হলেও মা কখনো পর হয় না।মা এর আসলে তুলনাই হয় না।অনেক সুন্দর কাহিনি ।এই কাহিনি আমি জানতাম।তবে এটা যে থমাস আলভা এডিসন এর সেটা জানতাম না।
একজন শিশুর সঠিক বিকাশে তার পরিবার কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তার সঠিক উদাহরণ টমাস আলভা এডিসনের মা ন্যান্সি এডিসন। পাশাপাশি সঠিক প্যারেন্টিং এর ও একটি আদর্শ উদাহরণ এটি।
দাদা এডিসনের এই গল্পটি বহুবার পড়েছি। আজ আবার আপনার পোস্টে পড়লাম।সত্যি বলতে আপনার এই পোস্ট থেকে বেশ শিক্ষনীয় একটি বিষয় ফুটে উঠেছে। আর তা হলো মানুষের কথায় মানুষ বড় হয়।সেদিন যদি এডিসনের মা তাকে চিঠির কথা সত্য করে বলতো তাহলে তো আর আজকের এডিমন হয় না।
আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাএ হওয়ার দরুন এডিশন এর সঙ্গে পরিচয় অনেক আগে থেকে। তার এই গল্পটা আমি আগেও শুনেছিলাম। আপনার পোস্টে পড়ে আজ আবার ভালো লাগল। ঐদিন তার মায়ের ঐরকম একটা কথায় হয়তো তার জীবন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। সে এখন পুরো বিশ্বের কাছে পরিচিত। কতশত আবিষ্কার তার। সত্যি বেশ চমৎকার।
আসলেই মায়ের কোনো তুলনা হয় না। সেটা আবারও প্রমাণিত হলো। তাইতো চিঠিতে লেখা কথা গুলো ন্যান্সি এডিসন না বলে,থমাস এডিসনের মেধার প্রশংসা করেছে। সত্যি কথা বললে তো থমাস আলভা এডিসন অনেক কষ্ট পেতেন। আমাদের সমাজের মানুষগুলো এমনই। তারা প্রতিবন্ধীদেরকে আপন করে নিতে পারে না। থমাস আলভা এডিসনের জীবনী পড়েছিলাম অনেক আগে। আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
থমাস আলভা এডিসন এবং তাঁর মা এর এই গল্পটা আমি পড়েছিলাম দাদা। তবে আমি মনে করি, থমাস আলভা এডিসন এর মা যদি ঐদিন ওই কথাটা তার ছেলেকে না বলত তাহলে আজকে সে এই জায়গা আসতে পারতো না। একটা মানুষের মনোবলই তাকে তার উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে পারে দাদা। যাই হোক, অনেকদিন পর আবার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগছে দাদা। তোমার প্রত্যেকটা পোষ্টের ভিতর কোনো না কোনো শিক্ষা অবশ্যই থাকে।
থমাস আলভা এডিসন এর এই গল্পটি দাদা যদিও বা আমি এর আগে পড়েছি, কিন্তু আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে এই গল্পটির সারমর্ম খুব স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পেরেছি আমি। আসলে থমাস আলভা এডিসনকে তার মা ঐ চিঠিটির বিপরীতমুখী কথা এজন্যই শুনিয়েছিলেন আমার মতে যাতে করে তার ছেলে ভেঙ্গে না পড়ে এবং তিনি তার ছেলেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারেন। আর তিনি সেটি করেও দেখিয়েছেন। আজ থমাস আলভা এডিসন বিশ্বখ্যাত একজন বিজ্ঞানী। একজন মা সন্তানের জন্য সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা এটাই তার সব থেকে বড় দৃষ্টান্ত।
কার ভিতরে কি লুকিয়ে আছে ভাই, তা যেন বাহির থেকে কেউ বুঝতে পারে না। প্রথম যেবার স্কুল থেকে চিঠি পেয়েছিল এডিসন, সেদিন মানসিকভাবে যেভাবে সব কিছু সামলে নিয়েছিল তার মা, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে চিঠিটা যখন এডিসন নিজে পড়েছিল, সেই ব্যাপারটা জেনে বেশ ব্যথিত হলাম ভাই। তবে তার মা, বেঁচে থাকতে যদি তার উদ্ভবনা গুলো দেখে যেতে পারতেন, তাহলে হয়তো আরো প্রশান্তি মিলতো। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করলাম ব্লগটা ভাই।