স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু।।১৮ মার্চ ২০২৪
জগদীশ চন্দ্র বসু ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং পলিম্যাথ যিনি পদার্থবিদ্যা, জীববিজ্ঞান এবং উদ্ভিদবিদ্যার ক্ষেত্রে অগ্রণী অবদান রেখে গিয়েছেন।৩০ শে নভেম্বর, ১৮৫৮ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন এই মহান বিজ্ঞানী।বোসের কাজ বিশেষ করে রেডিও এবং মাইক্রোওয়েভ অপটিক্স বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।এটা উল্লেখযোগ্যভাবে বেতার যোগাযোগ কে আরো উন্নত করে।
জাতিগত বৈষম্য এবং তহবিলের ঘাটতির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও বোস তার বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়ে গেছেন।তিনি রেডিও এবং মাইক্রোওয়েভ অপটিক্স অনুসন্ধানকারী প্রথম ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন যা পরে বেতার টেলিযোগাযোগের বিকাশে ব্যাপক সাহায্য করেছিল।১৮৯৫ সালে বোস সবার সামনে যোগাযোগের জন্য রেডিও তরঙ্গের ব্যবহার প্রদর্শন করেছিলেন।মার্কোনি প্রায় দুবছর আগে তিনি এটা করে দেখিয়েছিলেন।কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা আজকে বেতার এর আবিষ্কারক হিসেবে মার্কোনি কে জানি।তার উদ্ভাবনের মধ্যে ক্রেস্কোগ্রাফ ছিলো যেটা এমন একটি যন্ত্র যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি পরিমাপ করতে পারে এবং জীবিত এবং অজীব মধ্যে পার্থক্য তৈরি করতে সাহায্য করে।
এই মহান বিজ্ঞানীর বৈজ্ঞানিক সাধনা ছাড়াও তিনি অসাধারণ জ্ঞানের আধার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।যেখানে বিজ্ঞানীরা কিছু আবিস্কার করলেই নিজের নামে পেটেন্ট করিয়ে রাখতেন সেখানে স্যার জগদীশ চন্দ্র বোস এগুলো করতেন না।তিনি বিশ্বাস করতেন এই আবিষ্কার গুলো সর্বজনীন কাজে লাগবে।তিনি জ্ঞান আরোহণ ও বিতরণের জন্য আগ্রহী ছিলেন।
সারা জীবন ধরে এই মহান বিজ্ঞানী নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন।তার উপর গবেষণার কঠোরতা এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অর্জন করেছেন সাথে ও ব্যাপক ভ্রমণ।এসব বাধা সত্ত্বেও তিনি প্রবল দৃঢ়তার সাথে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি যে তীব্র চাপ এবং কাজের চাপের মুখোমুখি হয়েছিলেন তার স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলি আরও বেড়ে গিয়েছিল। তবুও তিনি কখনোই বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে থেমে থাকেন নি।
জগদীশচন্দ্র বোস এর অবদান তার আবিষ্কারের বাইরেও প্রসারিত।ভারতীয় উপমহাদেশে পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপনের জন্য তার কৃতিত্ব অপরিসীম এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।১৯১৭ সালে তিনি কলকাতায় বোস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন যা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নিবেদিত ছিল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু কে নিয়ে বলতে গেলে দিনে রাত সব ফুরিযে যাবে। তার সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয়গুলোই কিন্তু আজ আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। বেশ সুন্দর করে আপনি উনার সম্পর্কে অজানা তথ্য গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বিজ্ঞানের উন্নতি সাধনে স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আমারা সবাই কম বেশি জানি। বিশেষ করে জাতিগত বৈষম্য এবং তহবিলের ঘাটতির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও কখনো তিনি তার গবেষণা থামিয়ে রাখেন নি। তবে সবথেকে খারাপ লাগার ব্যাপার হল যে, বেতার এর আবিষ্কারক হিসেবে এখন আমরা মার্কোনি কে জানি, যেখানে স্যার জগদীশ চন্দ্রের নাম আসা উচিত ছিল। যেহেতু তিনি আগে এটা সবার সামনে তুলে ধরেন। যাইহোক, দাদা তোমার এই পোস্টে অনেক শিক্ষনীয় ব্যাপার ছিল আজ।তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এত সুন্দর শিক্ষামূলক একটা পোস্ট আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
দাদা আজকে আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট করেছেন। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম। এটা একটা শিক্ষা নিয়ও পোস্ট। আসলে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে অপরিসীম। তিনি কঠোরভাবে এই বৈজ্ঞানিক সবসময় গবেষণা করে যেতেন। আসলে তিনি শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ থাকতেন, তারপরেও তার গবেষণা থেমে থাকেনি। আসলে মনের শক্তি নিয়ে তিনি ভালবেসে এই গবেষণা করে যেতেন। তার গবেষণার কারণে আজ অনেক উন্নত হয়েছে বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে। যাই হোক আজকের পোস্টটি ছিল অসাধারণ।
এটা সত্যি প্রকৃত মানুষগুলো কখনোই কোন কিছু নিজের মাঝে সীমাবদ্ধ করে রাখে না। শত প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও, নিজের জীবনকে বিপন্ন করে হলেও তারা মানুষের সেবায় কিছু করে যেতে চান। জগদীশ চন্দ্র বসু ছিলেন ঠিক তেমনই একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। উনার অবদান আমরা কোনদিনও ভুলতে পারবো না। অনেক ধন্যবাদ দাদা ।
হয়তো বাঙালি বলেই উনার ক্ষেএে এই অবিচার টা হয়েছে। উনার রেডিও তরঙ্গ আবিষ্কার এর প্যাটেন্ট টা এখন মার্কনীর নামে পরিচিত। তবে উনি যে নিজের জীবন অনেক গুলো দিন অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেছেন এটা জানা ছিল না। সবকিছুর মধ্যেও গবেষণা কখনো বাঁধা হয়ে থাকেনি। সত্যি কী অসাধারণ একজন ব্যক্তি ছিলেন।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা সেই ছোট থেকে জগদীশচন্দ্র বসুর কথা শুনেছি ৷বইয়েও পড়েছি এবং কি রচনা পড়েছি ৷সবমিলে তার উদ্ভাবক তার বিষয়ে অনেক পড়েছি ৷ এই মানুষটা নিঃসন্দেহে একজন মহান পুরুষ ৷ তবে এটা ঠিক বলেছেন দাদা একমাত্র জগদীশচন্দ্র বসু যিনি তার বিহীন বেতার কেন্দ্রে আবিষ্কার করেছে ৷ এথচ সেই নামের পাশে মার্কিনের নাম ৷
নিঃসন্দেহে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। এই মহান বিজ্ঞানী শত প্রতিকূলতার মাঝেও বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়ে গিয়েছেন,বাঙ্গালী জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বেতার আবিষ্কারক হিসেবে মার্কোনি কে সকলে চিনে। বাঙ্গালী জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্যও দুর্ভাগ্য। যাইহোক ভীষণ ভালো লাগলো এই পোস্টটি পড়ে। এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনার পোস্ট পড়ে আজ অজানা কিছু জানা হলো। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বিজ্ঞানে অপরিসীম অবদান রয়েছে । সেই অবদানের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজ আপনি তুলে ধরেছেন। খুব ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে ।ধন্যবাদ দাদা তথ্য সমৃদ্ধ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।