হঠাৎ দুশ্চিন্তা।

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। মাঝে মাঝে হঠাৎ করে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়, অনেক সময় এসব বিষয়ের জন্য আমরা একদমই প্রস্তুত থাকি না। হঠাৎ করে এরকম চিন্তা করতে হলে আরো অনেক বেশি মাথায় ইফেক্ট পড়ে। আজকে এরকম একটা বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

বর্তমানে আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে রয়েছি। আমার চাচাতো ভাসুর একজন কয়েক দিন আগেই বাড়ি থেকে প্রবাসে গিয়েছে। উনি মূলত দুই মাসের জন্য ছুটিতে এসেছিল। আমার হাজবেন্ড যখন প্রবাসী ছিলেন তখন উনার কাছেই ছিল। উনারা দুইজন একসাথে থাকতো। বাড়ি থেকে যাওয়ার পরেই প্রায় ৮-১০ দিন পরে উনি প্রবাসে স্ট্রোক করেন। এটা নিয়ে উনার ফ্যামিলি এবং সবাই ভীষণ দুশ্চিন্তা করছে। এমনকি যেহেতু আমার হাজব্যান্ড আগে ওনার সাথে ছিল এই জন্য, উনি সবার সাথে যোগাযোগ করে খোঁজখবর নিচ্ছিল। আজকে কয়েকদিন ধরে এই বিষয়টা নিয়ে খুবই ব্যস্ততা যাচ্ছে।

আসলে যেহেতু আমার হাজব্যান্ড উনার সাথে একসাথে থাকতো এজন্য সকল পরিচিতদেরকে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে সবকিছু উনি করছিল। আজকে সকালে হঠাৎ করে খবর আসে লোকটি মারা যায়। লোকটির শুধুমাত্র একটা মেয়ে ছিল। আর ঘরে স্ত্রী। মেয়ে আর স্ত্রী দুইজন একা বসবাস করে। তাদের জন্য খুবই খারাপ লাগছিল। পুরো বাড়ি যেন কান্নায় ভেঙে পড়েছে। ওদের জন্য খুবই খারাপ লাগছিল। এমনকি লোকটি বিদেশ যাওয়ার দু-একদিন আগে আমাদের ঘরে দাওয়াত করে খাইয়ে ছিলাম। গত কয়েকদিন ধরে আমার শাশুড়ি ভীষণ অসুস্থ।

সকাল থেকে এমনিতে উঠতে পারছিল না। পরে লোকটার কথা শুনে একটু বাহিরে এসে উঠে বসে ছিল। তখন লোকটার কথা চিন্তা করতেই আমার শাশুড়ি খুব কান্নাকাটি করছিল। উনি এমনিতে কান্না করতে পারেনা এটা উনার জন্য বেশ ক্ষতিকর। এই যে একটু কান্নাকাটি করেছে, এজন্য হঠাৎ করে বেহুশ হয়ে পড়ে যাচ্ছিল, ওই অবস্থায় ওনাকে ধরে ঘরে নিয়ে এসে শুইয়ে দিলাম। তখন উনি অনেকক্ষণ পর্যন্ত বেহুশ ছিলেন। আমার হাজবেন্ডের তাড়াতাড়ি ডাক্তার নিয়ে আসার জন্য গেল। একটার থেকে একটা চিন্তা যেন মাথায় চেপে বসলো। ঘরে শুধুমাত্র আমি আর আমার শাশুড়ি মেয়ে মানুষ।

সব চিন্তা যেন মাথায় চেপে বসেছে। আমার শাশুড়ির জন্য ভীষণ চিন্তা হচ্ছিল। এরপর আমার হাজব্যান্ড তাড়াতাড়ি ডাক্তার নিয়ে এসেছে। ডাক্তার উনাকে দেখে বলল প্রেসার একদম হাই হয়ে গিয়েছে। এজন্য পরে ইনজেকশন, এবং একটা স্যালাইন লাগিয়ে দিল। এমনিতে আমার চাচাতো ভাসুরের জন্য ভীষণ খারাপ লাগছে। তার মধ্যে আমার শাশুড়ির এই অবস্থা। সবকিছু নিয়ে অনেক বেশি চিন্তায় আছি। দুর্ঘটনাগুলো যেন পিছু ছাড়ছে না।। এরকম অবস্থায় কোন কাজও হাতে ওঠে না। কোথায় থেকে কি হয়ে গেল বুঝতে পারছিনা। এদিকে আমার চাচাতো বাসুরের মেয়ে এবং স্ত্রীর জন্য খুবই খারাপ লাগছিল।

এখন আমার শাশুড়ি শুয়ে আছে এবং স্যালাইন চলতেছে। এই বিষয় নিয়েও খুব চিন্তা হচ্ছে এমন কি খারাপ লাগছে। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা। এসব বিষয় নিয়ে অনেক বেশি খারাপ লাগছিল। অনেক সময় আমরা যেগুলো চিন্তা করি না সেই সব বিষয়গুলো আমাদের মাথায় এসে হাজির হয়। এখন যেন একটার পর একটা চিন্তা পিছু ছাড়ে না। এরকম পরিস্থিতি সামলানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তারপরেও চেষ্টা করছি নিজের দিক থেকে সবকিছু সামলে ওঠার। আপনারা সবাই আমার শাশুড়ির জন্য দোয়া করবেন, উনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আজকে আর বেশি কিছু লিখব না। এমনিতে মাথা অনেক বড় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সবাই ভাল থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে