গল্প :-এ কেমন বাটপারি।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কিছুদিন আগে আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে বাজারে গিয়েছিলাম। মূলত গিয়েছিলাম কেনাকাটা করতে। যখন আমরা একটি দোকানে কেনাকাটা করতেছি। তখন বাইরে আওয়াজ শুনতে লাগলাম। প্রথমে মনে করলাম কোন ঝগড়াঝাঁটি হবে এই কারণে কোন আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর দেখতেছি একটি মহিলা বড় জোরে জোরে আওয়াজ করে কান্নাকাটি করতেছে।
তখন আমার হাজব্যান্ড একটু বাইর হল সাথে আমিও বাইর হলাম। দেখতেছি একটি মহিলা কান্নাকাটি করতে করতে কথা বলতেছে এবং অনেক লোক জড়ো হয়ে গেছে। এমন সময় মহিলাকে জিজ্ঞেস করতেছে কি সমস্যা আপনার কেন কান্নাকাটি করতেছেন। মহিলাটি বলতেছে আমি একটি অটো রিক্সার মধ্যে মাসিক বাজার করে তুললাম এখন এই ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিতেছে। দুই মিনিটের মধ্যে রিক্সাটি এখানে নেই এই কথা বলে মহিলাটি হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো।
এরপর অনেকজন রিকশাটি দেখার জন্য চেষ্টা করতেছে কোন দিকে গেল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও রিক্সাটি পাওয়া হয়নি। এরপর মহিলাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো আপনার বাড়ি কোথায়। মহিলাটি বাজারের দুই কিলোমিটার দূরে বাড়ি। মূলত মহিলার হাজবেন্ড বিদেশ থাকে ছেলেমেয়েগুলো এখনো ছোট এই কারণে মহিলাটি মাসিক বাজার করতে বাজারে আসে। মহিলাটি বলতেছে রিক্সার মধ্যে চাউল মাছ এবং মুরগি ও অন্যান্য বাজার করেছে।
তখন মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করতেছে আপনি অটো রিক্সার ড্রাইভার কে চিনেন নাকি। মহিলাটি বলতেছে অটো রিক্সার ড্রাইভার কে চিনে না। মূলত যে দোকান থেকে সেই বাজার করেছিল সেই দোকানের সামনে গাড়িটি দাঁড় করা ছিল এই কারণে মহিলাটি ওই গাড়িটি ঠিক করেছে তার বাজার নেওয়ার জন্য। এখন রিক্সা ড্রাইভার সব বাজার নিয়ে চলে গেল এখন বাজার করার আর কোন টাকা ও নেই। এখন মহিলাটি কান্নাকাটি করে বলতেছে বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলে-মেয়েকে কি খাওয়াবো।
অটো রিক্সার ড্রাইভার না চিনে বাজার তুলেছে এখন আমার সব বাজার নিয়ে পালিয়ে গেল। তখন অনেক লোক তাকে বলতেছে অচিন ড্রাইভারের গাড়িতে না উঠাই ভালো। সত্যি মহিলাটি যেভাবে কান্নাকাটি করতে লাগলো আমার নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগলো। অটো রিক্সার ড্রাইভার এর কেমন কেমন বিবেক মহিলাটির সব বাজার নিয়ে গেল। সত্যিই এই ড্রাইভার কেমন বাটপারি করলো মহিলাটির সাথে। আমার মতে কোন ওসিন ড্রাইভার এর গাড়িতে না ওঠাই ভালো। আশা করি আমার এই বাস্তব গল্প পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1729122564369527094?t=2n3vZ3lIu1rNlCLf9xwyVA&s=19
গল্পটি পড়ে যেমন খারাপ লেগেছে তেমনই করে কিছু শিখতেও পারলাম। আসলে এখন মানুষ ঠেকানো একটি রীতিতে পরিণত হয়ে গেছে। কে কত ভাবে মানুষ ঠকাতে পারে এটা এখন প্রধান বিষয়। আজ আপনার মাধ্যমে দারুন একটি পোস্ট দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সচেতনতা মূলক পোস্ট টি আপু খুব ভালো লাগলো পড়ে।আসলে দেশটা চোর,বাটপার ও প্রতারনায় ছেয়ে গেছে। মহিলাটির জন্য খুব খারাপ লাগলো। আসলে মানুষের বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়ে গেছে আপু। মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ আর নেই। কাকে কে ঠকিয়ে বড়ো হতে পারে।একদম ঠিক কথা অপরিচিত যানবাহনে না ওঠাই ভালো। বিশেষ করে যদি মালামাল থাকে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর সচেতনতা মূলক পোস্ট টি করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অচেনা যানবাহন না উঠাই ভালো। মহিলাটির জন্য আমার নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি গল্পটির মাঝে খুব সুন্দর একটি মেসেজ দিয়েছেন যে, মহিলা মানুষদের অচেনা অটোরিকশায় না ওঠাই উচিত। আপনি আর আপনার হাজবেন্ডের বিষয়টি দেখলেন এবং বুঝতে পারলেন যে, মেয়েটি কান্না করতেছে। এরকম শহর অঞ্চলে অনেক ঘটতে থাকে কিন্তু আবার অনেক সময় সাজানো থাকে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছিলাম। মেয়েটির জন্য খুবই খারাপ লাগতেছে যে, তার বাড়িতে ছেলে মেয়ে আছে খাবে কি? এবং সকল কিছু নিয়ে গেল। আমাদের সকলেরই উচিত না চিনে কোন রিক্সায় না ওঠা। সন্ধ্যা বেলায় তো একা ওঠায় যাবে না সিএনজিতে। যারা এমন কাজ করে আসলে তাদের বিবেক বলতে কিছু নেই। খুবই খারাপ লাগলো পোস্টটি পড়ে।
আসলে মহিলাটির এভাবে সব জিনিস একসাথে অটো রিক্সা ড্রাইভার নিয়ে যাবে কল্পনাই করা যায়নি। গল্পটি পড়ে অস্বাভাবিক মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এই ধরনের বাটপারি এখন অহরহ হচ্ছে। এই ধরনের একটি ঘটনা আমার আব্বুর সাথে হয়েছিল। পরে এক সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যাইহোক আসলে মহিলাটির জন্য আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছে। আমাদের উচিত এরকম বাজার নিয়ে অপরিচিত রিক্সায় না উঠা ভালো।
আপনার আব্বুর সাথে ঘটে যাওয়া কাহিনীটি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন আপু। অচিন লোকের গাড়িতে ওঠা ভালো না। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার বাস্তব গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে পরে এই কাহিনি পড়তে হবে ভাবিনি।রিক্সা ওয়ালা কেমন করে তার সব জিনিস নিয়ে চলে যেতে পারে।তবে অচেনা রিক্সায় না উঠায় ভালো।কিন্তু হয়তো ওই মহিলা এগুলো কোনো সময় ভাবেনি যে এমনটা তার সাথে হবে।তবে যার রিজিকে যেটা আছে সেটাই হবে।মহিলাটার জিনিস গুলো নিয়ে যাওয়াতে আমারো একটু খারাপ লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে যেগুলোর মন ও মানসিকতা অনেক খারাপ তারা এ ধরনের কাজগুলো করে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বিষয়টি শুনে খুবই খারাপ লাগলো। হয়তোবা উনি অটোওয়ালা কে ভরসা করেই তার বাজারগুলো অটোতে রেখে ওষুধ কিনতে গিয়েছিল কিন্তু অটোওয়ালা যে এভাবে তার বাজারগুলো নিয়ে পালিয়ে যাবে এটা কে জানতো। যাই হোক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এই সচেতন মূলক একটি পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন মহিলাটি হয়তোবা রিক্সাওয়ালাকে বিশ্বাস করে তার বাজার গুলো গাড়িতে তুলেছেন। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এখানে মহিলার কোনো দোষ নেই, কারণ এতো বাজার নিয়ে মহিলার তো ফার্মেসীতে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই রিকশার মধ্যে বাজার গুলো রেখে গিয়েছে। আসলেই সেই রিকশাওয়ালা বাটপার টাইপের। নয়তো আরেকজনের বাজার নিয়ে দুই মিনিটের মধ্যেই রিকশা নিয়ে গায়েব হয়ে যেতো না। সাধারণত রিকশাওয়ালারা এমন কাজ করে না। কারণ তারা খেটে খাওয়া মানুষ। তবে সব মানুষ এক নয় এটাও ঠিক। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই বাজারে মহিলার অনেকগুলো টাকা লস হয়ে গেল। সবার উচিত এই ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ অভাব অনটন যখন দেখা দেয়, তখন অনেক মানুষ বাটপারি করা শুরু করে। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন এখানে মহিলার কোন দোষ নেই। এখানে রিক্সাওয়ালার মনটি ভালো নেই এই কারণে চুরি করে তার বাজারগুলো নিয়ে গেল। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।