গল্প:- শশুরের চালাকি। ( প্রথম পর্ব )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করব। গল্পটি হচ্ছে আমাদের এক আত্মীয়র ফ্যামিলির গল্প। আমাদের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় তার নাম হচ্ছে রেখা। রেখা খুব ভদ্র মেয়ে এবং রেখার মা-বাবা অনেক টাকা আছে। কিন্তু রেখা কালো এই কারণে রেখার বিয়ে হচ্ছে না। কালো বলে রেখাকে বিয়ে করতে কেউ চাচ্ছে না। এই কারণে রাখার বাবা বলতেছে আমার মেয়েকে যে বিয়ে করবে তাকে আমি টাকা দেব কিছু করার জন্য। তখন আমাদের পাশের এলাকার একজন লোক তার বড় ছেলেকে বিয়ে করাবে রেখাকে।
কিন্তু বিনিময়ে তারা রেখার জামাইকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। কারণ ছেলেটি বেকার সে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে। এই কথা শুনে রেখার বাবা ও রাজি হয়ে গেল। তারপর রেখার বাবা সম্পূর্ণ খোঁজ খবর নিয়ে দেখল ছেলেটি ভালো এবং পাশের এলাকা তার বাবা মা ও ভালো। এরপর একটি দিন তারিখ দেখে রেখাকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। বিয়ের পর রেখাকে হাজবেন্ডের ফ্যামিলির সবাই অনেক আদর করে। রেখার হাজবেন্ড চট্টগ্রামে চাকরি করে মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসে। তবে রেখার হাজবেন্ড একদম সাদা সুন্দর।
এক বছর পর লেখার ঘরে খুব সুন্দর একটি ছেলে জন্মগ্রহণ করে। তবে এই ছেলেটি তার দাদার ঘরের প্রথম নাতি সবাই তাকে অনেক আদর করতেছে। এবং নানার দের দিক দিয়েও এটি প্রথম নাতি তাই তারা খুব আদর করতেছে তার নাতিকে। এদিকে রেখার হাজব্যান্ড চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে তেমন আসে না। দীর্ঘ অনেকদিন যাবত সেই তার বাচ্চার খোঁজ নেয় না বাড়িতে আসেও না। এবং রেখার শ্বশুর অত্যন্ত ভালো মানুষ অনেক খোঁজাখুজির পর ছেলেকে পেয়েছেন। রেখার হাজবেন্ড চট্টগ্রামে অন্য একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে তাকে বিয়ে করে ফেলেছে।
এ কথা শুনে রেখার ফ্যামিলির লোক অনেক ক্ষেপে গেছে এবং রেখার শশুরকে তারা অনেক অপমান করেছে। তবে রেখা তার শ্বশুরকে কোন দোষ দেয় নাই। এরপর একটি দিন তারিখ ঠিক করে গ্রাম্য চাল্লিশ বসালেন। ওই চাল্লিশ প্রধান আসামি হচ্ছে রেখার শ্বশুর। রেখার হাজব্যান্ড ওই জায়গায় থেকে পালিয়ে গেলেন। এদিকের সবাই যখন রেখার শ্বশুরের নামে বিচার তখন রেখার শ্বশুর বাড়ির সবাই রেখার শ্বশুরের সাথে বিচারে গেলেন। এবং আমাদের ইউনিয়ন এর ইউপি চেয়ারম্যান ও আসলেন।
তখন রেখার বাবা বলতেছে আমার মেয়ে কালো এই কারণে আমি যৌতুক দিয়ে তার ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমার মেয়েকে রেখে তার ছেলে অন্য জায়গায় বিয়ে করিয়ে ফেলেছে। আমার মেয়ে যখন তাদের পছন্দ না তখন তারা কেন আমার মেয়েকে বিয়ে করালেন। কেন আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিলেন। এখন আমার মেয়ের ঘরে একটি ছেলের সন্তান আছে। এই কথা রেখার বাবা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ করলে বলে। তখন ইউপি চেয়ারম্যান রেখার মুখের কথা শুনলেন। আজকে এই পর্যন্ত আশা করি সবাই ভাল থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আরেক পর্ব নিয়ে। ( চলবে )
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1692885677007056952?t=miJENSkeq56OzCKbYOQYqg&s=19
আপু আমাদের সমাজে এমন ঘটনা অনেক আছে।সত্যি আপু রেখার শশুড় নিরুপয় মনে হচ্ছে। কারণ সে তার ছেলের মধ্যে এমন কিছু হবে সেটা আশা করেনি হয়তো। তারপর সবাইকে রেখার কথার ওপর বিশ্বাস করা উচিত। যাইহোক আপু দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
আসলে আমাদের সমাজে এরকম হাজারো মানুষ বসবাস করে। আপনার মন্তব্য করে আরো উৎসাহিত হলাম।
শশুরের চালাকি গল্পটার প্রথম পর্ব পড়ে এমনিতে ভালো লেগেছে তবে খারাপও লেগেছে। রেখার জীবন ছেলেটা এভাবে নষ্ট করে দিয়েছে, এটা জেনে খারাপ লেগেছে। সবাই যখন রেখাকে জিজ্ঞেস করেছিল, তখন রেখা কি মতামত দিয়েছিল এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি পরবর্তী পর্ব আপনি খুব শীঘ্রই আমাদের সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন। তো তাহলে সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম।
শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব আপনাদের সামনে নিয়ে আসব। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
রেখার বাবা-মা তো রেখার স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের খোঁজখবর নিয়ে বিয়েটা দিয়েছিলেন। আর সেই খোঁজখবরে তারা জানতেও পেরেছিলেন রেখার হাজবেন্ড ও তার শশুর খুব ভালো মানুষ। তবে এই ভালো মানুষের আড়ালে রেখার স্বামী চট্টগ্রামে একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে তাকে আবার বিয়ে করে ফেলেছেন। যেহেতু রেখা দেখতে কালো ছিল, সেহেতু তাকে বিয়ে না করলেও পারতো রেখার স্বামী। রেখার স্বামী টাকাও নিলো আবার অন্যত্র বিয়েও করে ফেলল। বর্তমানে রেখার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রেখার এই পরিণতি দেখে সত্যিই আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। তবে পরবর্তীতে রেখার জীবন পরিস্থিতি কি হলো তা জানার অধীর আগ্রহী রইলাম।
আমারও দেখার জন্য ভীষণ মনটা খারাপ ছিল। আপনার মন্তব্য করে আরো উৎসাহিত পেলাম।
রেখার মতো এরকম অনেক মেয়ে আছে যেগুলো গায়ের রং কালো কিন্তু তাদের আসার ব্যবহার এবং মন অনেক ভালো। যদিও রেখার শ্বশুর ভালো মানুষ কিন্তু দেখে শুনে তা ছেলেকে রেখাকে বিয়ে করিয়েছেন। কিন্তু একটা ছেলে হওয়ার পর রেখার হাজবেন্ড চট্টগ্রামে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে ফেললো। যদিও এই ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে রেখার শ্বশুরের নামে বিচার বসালেন। কিন্তু এখানে রেখার শ্বশুরের কোন দোষ নেই ।দোষ হচ্ছে তার স্বামীর। যাইহোক পরের পরবে কি ঘটে এই অপেক্ষা রইলাম। আশা করি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
ঠিক বলেছেন গায়ের রং কালো হলেন কখনোই মানুষ ছোট হয়ে যায় না। আমাদের মনুষত্ব তাকে সবার আগে সঠিক করা উচিত।
যেসব পরিবার যৌতুক নিয়ে বিয়ে করে তারা খুবই লোভী প্রকৃতির হয়। টাকার লোভে রেখাকে বিয়ে করে ঠিকই, পরবর্তীতে গোপনে আবারো বিয়ে করেছে। রেখার জীবনটা আসলেই এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে বিচারে কি রায় হলো,সেটা জানার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। যাইহোক গল্পটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এটা ঠিক কাজ না কখনোই। যদি আমাদের সমাজটা বদলে যেত তাহলে কতই না ভালো হতো। আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের সমাজের আশেপাশে হাজারো ঘটনা ঘটে চলেছে বাস্তবে এগুলো এক একটি গল্প আকারে থেকে যায় যেন।আপনার দেখা ঘটনাটি পড়ে মনে হলো রেখার হাজবেন্ড প্রথমে বেকার থাকলেও পরে টাকার মাধ্যমে সে একটা চাকরি পেয়েছিল।তারপর রেখার স্বামী পালিয়ে যাওয়াতে দোষী হিসেবে সবাই তার শ্বশুরকে দোষ দিচ্ছেন।কিন্তু যৌতুক দেওয়াটাও অন্যায়,যাইহোক পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আমারও এরকম ঘটনাগুলো পড়তে অথবা শুনতে অনেক খারাপ লাগে। আপনার মন্তব্য করেও অনেক ভালো লাগলো।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে এখনকার সমাজে এগুলো বেশ প্রচলিত। আসলে যেসব সমাজের ছেলে মেয়েরা যৌতুক নিয়ে বিবাহ করে তারা বেশ লোভী প্রকৃতির আমার কাছে মনে হয়। টাকার লোভে যদি একজন মেয়েকে এভাবে রেখে বিয়ে করা যায় তাহলে সত্যি অনেক কষ্ট পায় আপু। আসলে রেখার জীবনটা সবদিক থেকে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য এই গল্পটি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
এভাবেই সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কালো মেয়ে বলে তাকে যৌতুক এর বিনিময়ে বিয়ে দিতে হলো, তাও ছেলেটা বিয়ের পর সন্তান হওয়ার পর পাল্টে গেল আর আবার নতুন একটা বিয়ে করেও ফেললো। খুবই অন্যায় করেছে সে। দেখা যাক বিচারে শেষ পর্যন্ত কী হয়? পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম আপু।
কালো হয়তো আজকে রেখা ছিল অন্য দিন আমরা হতে পারে। তাই মানুষকে কখনো ছোট করে দেখা ঠিক না। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
যৌতুকের বিয়ে গুলোর সাথে বেশির ভাগ এমনই হয়ে থাকে। আর ছেলেটি মেয়েটির জীবনটা আসলেই নষ্ট করে দিল। তবে পরবর্তীতে মেয়েটির সাথে কি ঘটেছিল বা মেয়েটি চেয়ারম্যান কে বিস্তারিতভাবে কি বলেছে সেটি জানার অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন যৌতুক অনেক হাজার হাজার মানুষের জীবন নষ্ট করে। আপনার মন্তব্য পরে আরো উৎসাহিত হলাম।