জেনারেল রাইটিং :- আমার শৈশবের স্মৃতি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মজার এবং কষ্টদায়ক স্মৃতি। আমি ছোট বেলা যখন পড়ালেখা করতাম তখন আমাদের বাড়িতে আরো ৩-৪ জন মেয়ে ছিল সবাই একসাথে পড়ালেখা করতাম একই ক্লাসে। তবে স্কুলটি আমাদের বাড়ির সামনে মূলত আমাদের ঘরের পাশে। যদিও আমাদের ঘর থেকে স্কুলটিতে যেতে ২ মিনিট টাইম লাগে। আমরা যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তাম। তখন আমরা চার-পাঁচজন মিলে কুতকুত খেলা খেলতেছি। মূলত কুতকুত খেলা হচ্ছে ঘর বানিয়ে মাটির মধ্যে খেলা করে এবং ঝিগ বা পাথর দিয়ে খেলে।

20230821_202600_0000.jpg

যখন আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের খেলা নিয়েছি এমন সময় ক্লাসের ঘন্টা বেজে গেল। মূলত ওই সময় ক্লাস বসে গেল। এমন সময় আমি আর আমার বান্ধবী তুলি বলতে লাগলাম আমাদের খেলা নিতে হবে। এবং প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় বলতেছে এখন ক্লাস বসে গেল খেলা নিতে পারবোনা। এই নিয়ে আমরা তাদের সাথে কথা বলতে বলতে একসময় ঝগড়া লেগে গেল। তবে আমারদের ক্লাসমেট গুলো বলতেছে স্কুলের হাপানার টাইমে খেলা নেবে। তারপরও আমি আর আমার বান্ধবী তুলি মানতে রাজি নই। যদিও ও সময় আমাদের মেজাজ গরম হয়ে গেল।

এমন সময় আমার হাতের মধ্যে মাটির পাতিলের ঝিগ ছিল তা আমি একটি মেয়েকে মেরে দিলাম। কিন্তু এই মাটির পাতিলের ঝিগ মেয়েটির কপালে লাগলো। সাথে সাথে মেয়েটির কপাল দিয়ে রক্ত পড়তেছে। এই দেখে আমি ভয়ে এক দৌড় দিয়ে আমাদের ঘরে চলে আসলাম। সাথে সাথে মেয়েটি অনেক জোরে কান্নাকাটি করতেছে। তার কান্নাকাটি দেখে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক এসে দেখলো। এবং মেয়ের কপালের রক্ত দেখে শিক্ষকও হতবাক হয়ে গেল। এমন সময় মেয়েকে জিজ্ঞেস করল তার কপাল কে পাঠিয়েছে।

মেয়েটি আমার নাম বলে দিলেন। যদিও মেয়েটি আমাদের পাশের বাড়ির। এবং মেয়েটিকে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। এবং আমাকে খোঁজাখুঁজি করতে লাগলো ও শিক্ষক এসে বিচার দিয়েছে বাড়িতে। তবে আমি খুব তাড়াতাড়ি ঘরের ভিতরে আলমারির পিছে লুকিয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর ওই মেয়েটির মা-বাবা এসে আমাদের বাড়িতে আমার মা-বাবার সাথে ঝগড়া লেগে গেল। এবং বলতেছে আমি নাকি ডাকাত তাদের মেয়ের কোপাল ফাটিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমি ভয়ে আলমারির পিছন থেকে বাইর হয় নাই।

তবে সবাই আমাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করল কেউ খুঁজে ফেলে না আমাকে। মেয়েটির মা-বাবা এমনভাবে আমাদের বাড়িতে এসে আমার মা-বাবার সাথে ঝগড়া করতে লাগলো। এবং আমার মা-বাবা বলতে লাগলো মেয়েটির ডাক্তারি চিকিৎসা পয়সা দেবে। তারপরও তারা ঝগড়া করতে লাগলো। এরপর আমি আলমারির পিছন থেকে বাইর হয়ে বলতে লাগলাম আমি তাদের খেলা নিয়েছি। এবং আমাদের খেলার না নেয়ার কারণে আমি তাকে মাটির ঝিগ মারলাম। কিন্তু তার মাথা ফাটিয়ে যাবে আমি কল্পনাই করিনি।

এমতাবস্থায় আমার মা আমাকে অনেক মারধর করলো। তোর কারনে তারা আমাদের এখানে এসে আমাদের সাথে ঝগড়া করতেছে। পাশের লোক গুলো বলতেছে ছোট বাচ্চা বোঝে নাই এ বলে আমার মাকে সান্ত্বনা দিতে লাগলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমার ওই ক্লাসমেটের কপালে দাগটি এখনো আছে। এই হচ্ছে আমার স্কুল জীবনের ঘটনা। আশা করে আমার স্কুল জীবনের স্মৃতি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আশা করি এই ছোট্টবেলার পোস্টটি পড়ে আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰

Sort:  
 last year 

আসলে আপু ছোটবেলার গল্প পড়ে এখন অনেক হাসি পায়। তবে আপনি দেখছি অনেক চালাক ছিলেন। আপনি আলমারির নিচে এসে লুকিয়ে ছিলেন।এদিকে বিশ্ব যুদ্ধ লেগে গেছে হা হা। যাইহোক এগুলো ভুলবশত হয়েগেছে কিন্তু বাবা মারা মানতে চায় না।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ঠিক বলেছেন আমার ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়লে আমার নিজেরও খুবই হাসি পায়।

 last year 

বাহ আপু ছোটবেলায় তো ভালই ডাকাত ছিলেন একদম মেয়েটির মাথা ফাটিয়ে দিলেন হাহাহা। পড়ে বেশ মজা পেলাম ।তবে আলমারির পেছনে লুকিয়ে থাকাই তো ভালো ছিল শুধু শুধু বের হয়ে মার খেতে হল ।আসলে ছোটবেলায় কতই না স্মৃতি থাকে যেগুলো মনে করলে এখনো হাসি পায় ।বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

 last year 

কখনো না কখনো সময় তো আলমারি পিছন থেকে বের হতে হতো। তাই বেরিয়ে পড়লাম। আপনার মন্তব্য পড়ে আরো উৎসাহিত হলাম।

 last year 

আপনার শৈশবের গল্প শুনে তো খুব ভালো লাগলো, আপনি বেশ চঞ্জন ছিলেন মনে হচ্ছে ছোটবেলা। আপনার গল্পের সাথে আমার কিছু গল্প মনে পড়ে গেল লিখব হয়তো কোন একদিন।

 last year 

আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

আপু আপনি আপনার শৈশব নিয়ে দারুন একটি পোষ্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা গল্পটি পড়তে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে যে কোন মানুষের শৈশবের স্মৃতি যদি এখন মনে পড়ে বেশ হাসি পায়। ছোটবেলায় আপনি তো বেশ দুষ্টু ছিলেন দেখছি আপু মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন মানুষের। তবে আপু আমি বলব আলমারির পিছনে আরো কিছুক্ষণ লুকিয়ে থাকতে হতো তাহলে আপনাকে আর মারতে পারত না। ধন্যবাদ ছোটবেলার এত মজার একটি স্মৃতি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

যত দেরিতেই বের হতাম না কেন আমার একটু খেতেই হতো। তাই না দেরি করে বের হয়ে গেলাম। আপনার মন্তব্য জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

সবারই ছোটবেলার অনেক হাসি ও কান্নার মুহূর্তের গল্প রয়েছে। আপনার গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সত্যি বলতে ছোটবেলায় সবাই দুষ্ট থাকে। আমরাও কম দুষ্ট ছিলাম না। আর আলমারির পিছনে যদি এখনো লুকিয়ে থাকতেন তাহলে জামাল ভাইকে হয়তো আর পেতেন না 🤣🤣।যাইহোক ভালো লাগলো গল্পটি ধন্যবাদ।

 last year 

আরে ভাইয়া ওটা তো ছোটবেলার ছিল। এখন তো আমি অনেক ভালো হয়ে গেয়েছি। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58729.26
ETH 2640.67
USDT 1.00
SBD 2.47