গল্প:- ছোট একটি ভাতিজার পাকনা কথা
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মজার একটি গল্প। গল্পটি হচ্ছে আমার আমার হাজবেন্ডের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে কে নিয়ে। ছেলেটির নাম হচ্ছে সাইমুন। সাইমুন আমার হাজব্যান্ড যেই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে ওই মাদ্রাসায় নার্সারিতে পড়ালেখা করে। ছেলেটির বয়স ৭ বছর হবে। ছেলেটি বাড়িতে সব সময় খুব মজার মজার কথা বলে এবং অনেক দুষ্টামি করে। এবং সাইমুনকে নিয়ে আমরা সবসময় খুব মজা করি। কিছুদিন আগে বিকাল বেলা বসে বসে অনেক জোরে জোরে গান গাইতেছে। এমন সময় আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম তুমি তো আগে আরো সুন্দর গান গাইতে পারতে।
এখন আগের মত সুন্দর করে গান গাইতে পারো না। সাইমুন আমাকে বলতেছে তার মন ভালো নেই সেই কারণে গান গাইতেছে। তোমার মন ভালো নয় সেটা বুঝলাম তবে গানগুলো সুন্দর করে গাইতে পারতেছ না। এমন সময় সাইমুন আমাকে বলতে লাগলো বৃষ্টি এবং ঠান্ডার কারণে তার গলা বসে গেছে এই কারণে সেই সুন্দর মতে গান গাইতে পারতেছে না। তার কথা শুনে আমরাও কয়েকজন ছিলাম সবাই হাসাহাসি করতেছি। এবং সবাই তাকে অনেক আদর করে। এরপর সাইমুন বলতেছে আপনি সবাইকে জিজ্ঞেস করেন আমি কত সুন্দর গান গাইতে পারি।
আজকে কয়েক দিন হল মাদ্রাসাতে তাদের বার্ষিক পরীক্ষা চলতেছে। সাইমুনকে দেখলে আমরা এমনিতে কথা বলি কারন তার কথাগুলো শুনতে অনেক ভালো লাগে। আসলে ছোট বাচ্চারা খুব সুন্দর করে কথা বলে এবং তাদের কথাগুলোর মধ্যে মধুরতা আছে। এবং বাড়িতে সবাই তাকে যদি বলে একটু গান শোনো সঙ্গে সঙ্গে সাইমুন গান শোনাই সবাইকে। যখন কালকে দুপুর বেলা সেই মাদ্রাসা থেকে আসতেছে আমাদের ঘরের সামনে দিয়ে তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম তোমাদের আজকে কি পরীক্ষা হল। সাইমুন বলতেছে গণিত পরীক্ষা হয়েছে।
এবং আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম পরীক্ষার মধ্যে তোমাদের গার্ডে কে পরলো কোন শিক্ষক। সাথে সাথে সে বলতেছে জামাল স্যার আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে আজকে। এরপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি পরীক্ষার সবগুলো প্রশ্ন দিয়েছো কেমন পরীক্ষা হয়েছে তোমার। সাইমুন আমাকে বলতে লাগলো সবগুলোর প্রশ্নর উত্তর দিয়েছে সে এবং পরীক্ষা ভালো হয়েছে। তারপর আমি তাকে আবার জিজ্ঞেস করলাম সবগুলোর প্রশ্নর উত্তর ঠিকমতো দিয়েছো। সাইমুন বলতেছে হ্যাঁ সবগুলো প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়েছি।
যদিও সাইমুন এর পড়ালেখা মোটামুটি ভালো আছে। তখন আমি জিজ্ঞাস করলাম একশোর মধ্যে কত নাম্বার পাবে দুষ্টামি করে। সাথে সাথে সাইমুন আমাকে বলতে লাগলো ১০০ও পেতে পারে না হয় ১০০ থেকে আরো বেশিও পেতে পারে। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম হাসতে হাসতে ১০০ নাম্বারের পরীক্ষাতে আবার কিভাবে একশোর উপরে নাম্বার পাবে। সাথে সাথে সাইমুন বলতেছে আমি পড়ালেখা ভালো এই কারণে হয়তো স্যার আমাকে একশোর উপর নাম্বার দিতে পারে। ওই সময় সাইমুন এর মাও সামনে ছিল ও হাসতেছে এবং বলতেছে ১০০ নাম্বারের পরীক্ষায় ১০০র নিচেই নাম্বার পাবে উপরে পাবে না। সে আবারও বলতেছে আমি একশোর উপরে গণিতে নাম্বার পাব। আসলে তার সাথে কথা বললে অনেক ভালো লাগে। এই হচ্ছে সাইমুনের সাথে মজার ঘটনা।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1734194379127160898?t=pAJXP8uQiifijaH7VJa_Gw&s=19
ছোট বাচ্চারা পাকনামি করে মজার মজার কথা বললে,আসলেই খুব ভালো লাগে শুনতে। ছোট বাচ্চাদের গান শুনতে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম সাইমুন বেশ পাকনা পাকনা কথা বলে। সাইমুন কিন্তু ঠিকই বলেছে,বৃষ্টি এবং ঠান্ডায় গলা বসে গেলে সুন্দর করে গান গাইবে কিভাবে। বাসায় বা বাসার আশেপাশে এমন বাচ্চা থাকলে সবাই বেশ আনন্দ পায় কথা বলে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া সাইমুন খুব মজা করে কথা বলে। খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান সময়ের ছোট ছোট বাচ্চার া এত সুন্দর কথা বলে। তাদের কথাগুলো শুনতে মন চায়। আপনি যে ছেলেটির সাথে কথা বলেছেন খুবই ট্যালেন্ট। সেজন্যই এত সুন্দর সুন্দর কথা আপনাদের মাঝে উপহার দিয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে তারা অনেক এগিয়ে ।যেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। তার জন্য দোয়া রইল সে যেন তার ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে পারে সেই প্রত্যাশাই করি।
আমার গল্পটি নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট ছোট বাচ্চাদের পাকনা পাকনা কথাগুলো শুনতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলেই ছোট ছোট বাচ্চাদের কথাগুলো অনেক মিষ্টি। সাইমুন তাহলে অনেক সুন্দর গান গাইতে পারে। আপনাদের বাড়িতে কখনো যদি আবার যাওয়া হয়, তাহলে সাইমুনকে দেখলে আমি অবশ্যই বলব, আমাকেও একটা গান শোনানোর জন্য। তার পরীক্ষা অনেক বেশি ভালো হয়েছিল, তাই তো সে বলেছিল ১০০ র উপরে নাম্বার পাবে। যাই হোক ছোট বাচ্চা যার কারণে ততটাও বোঝেনি। অনেক বেশি মজার ঘটনা ছিল। আমি তো তার কথাগুলো শুনে হাসতে হাসতে শেষ।
হ্যাঁ আমি জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে বলতেছে পরীক্ষায় ১০০ এবং ১০০ থেকে আরো বেশি নাম্বার পেতে পারে। সাইমুম খুব মজার মজার কথা বলেছে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের বাড়িতে অনেকবার যাওয়া হয়েছে, কিন্তু সাইমুন এর সাথে দেখা হয়নি। তবে ভাবছি পরবর্তীতে গেলে তার সাথে দেখা করব এবং তার পাকনা পাকনা কয়েকটা কথা শুনবো। বাচ্চাদের সাথে কথা বলতে আমি খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে তাদের পাকনা কথাগুলো শোনার জন্য। তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রয়েছে, তাই তো সে ১০০ র মধ্যে আরো বেশি নাম্বার পাবে বলেছে। যাইহোক ও এখনো ছোট যার কারণে বিষয়টা ভালোভাবে বুঝে নি। তবে সে অনেক ভালো গান গাইতে পারে, এটা শুনে তার গান শোনার ইচ্ছা করতেছে।
আমাদের বাড়িতে আছে সাইমুনের সাথে কথা বলিয়েন দেখবেন অনেক ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার গল্প নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।