গল্প:- জুয়ারী।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করতেছি। গল্পটি হচ্ছে আমার এক নিয়ারেস্ট বান্ধবীর সংসার জীবনের কাহিনী। বান্ধবী নাম হচ্ছে রুমকি। ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত আমার সাথে একসাথে লেখাপড়া করেছে। আমার বান্ধবী রুমকি খুব হাসিখুশি এবং অনেক ভালো মানুষ। তার ফ্যামিলি টি ছিল মধ্য ফ্যামিলি। তিন ভাইয়ের মধ্যে রুমকি একমাত্র বোন। ভাই বোন খুব মিল ছিল। তার বাবা-মা ও একমাত্র মেয়ে হিসেবে তাকে অনেক আদর করতেন। যখন এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করলেন। যখন সেই কলেজে ভর্তি হলেন।
তখন একটি ছেলে তাকে পছন্দ করে। মোটামুটি রুমকি ও সে ছেলেকে একটু পছন্দ করতেন তবে মুখ দিয়ে বলতেন না। ছেলেটির ফ্যামিলি মোটামুটি ভালো। এরপর ওই ছেলেটি রুমকি কে প্রেমের অফার দিয়েছে। কিন্তু রুমকি ছেলেটির প্রেমের অফার রাজি হয়নি। সেই বলল যদি আমাকে বিয়ে করতে চাও তাহলে আমার ফ্যামিলিতে জানাও। ফ্যামিলি যা বলবে আমি তাই মেনে নেব। এরপর ওই ছেলেটি তার মা-বাবার সাথে অনেক বায়না ধরেছে রুমকি কে বিয়ে করার জন্য। তারপর ছেলের মা বাবা ও রুমকির ফ্যামিলির খবর নিলেন। এবং রুমকির ফ্যামিলি ও খবর নিলেন।
এরপর ছেলের মা বাবা বলতে লাগলো রুমকিরা মধ্য ফ্যামিলির সংসার তাকে এখানে বিয়ে করাবে না। এবং কি ছেলেটির মা বাবা বলতে লাগল তুমি এখনো বেকার আগে তুমি কোন কাজ কর তারপর দেখা যাবে। ছেলেটির নাম হচ্ছে সাজু। এরপর ছেলেটি বায়না ধরেছে সেই রুমকিকে এক মাসের মধ্যে বিয়ে করবে। তারপর দুই ফ্যামিলি মিলে তাদের বিয়ে দিলেন। বিয়ের পর মোটামুটি রুমকি অনেক সুখী ছিল। দিন যত যাচ্ছে রুমকির জীবনে অন্ধকার নেমে আসতেছে। কারণ রুমকির হাসবেন্ড বেকার এই কারণে ফ্যামিলিতে তার কোন দাম নেই।
এদিকে রুমকির হাসবেন্ড সাজু সব সময় জুয়া খেলে। বলতে গেলে নাম্বার ওয়ান জুয়াড়ি। সেই জুয়া খেলার জন্য সব সময় রুমকির কাছে টাকা চাই। এবং রুমকি টাকা না দিতে পারলে তাকে মারধর করে। এমনকি রুমকির মা-বাবা থেকে টাকা নিয়ে তাকে দেওয়ার জন্য বলে। যখন রুমকি বলে আমার মা-বাবা কোথায় থেকে টাকা দেবে। তখন রুমকির উপর আরো অত্যাচার বেড়ে যায়। বলতে গেলে রুমকি সংসারে কোন সুখ নেই। অথচ সাজু তাকে বিয়ে করার জন্য পাগলের মত ছিল।
সেই রুমকি কে না ফেলে মারা যাবে। বিগত এক বছরের মধ্যে রুমকির চাহিদা তার কাছে শেষ হয়ে গেল। কারণ সে জুয়া কে ভালোবাসে রুমকিকে নয়। এদিকে রুমকি কথাগুলো প্রথমে তার মা-বাবাকে বলে নাই। যখন অত্যাচার এতই বেশি হচ্ছে তখন তার মা-বাবাকে জানালো। রুমকির মা-বাবা শুনে অনেক কষ্ট পেলে তাদের একটাই মাত্র মেয়ে। এবং রুমকির মা বাবা সাজুর মা-বাবার কাছে বিচার দিলেন। কিন্তু তারা উল্টা কথা বলতেছে। এই কারণে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার আগে ভালো করে ছেলের সম্পর্কে যাচাই করতে হয়। আর অতিরিক্ত আবেগ দেখেও কখনো প্রেম করা দরকার নেই।
যেমন রুমকির পিছনে সাজু অনেক আগে দেখিয়েছে। কিন্তু এই আবেগের কোন দাম নেই। কারণ এখন সাজু সবসময় রুমকিকে মারধর করে। তাদের সংসার এখন শেষপর্যায়ে যেকোনো সময় সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। এই হচ্ছে জুয়াড়ি সাজু এবং রুমকির কাহিনী। আশা করি এই কাহিনী আপনাদের সবার অনেক অনেক ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1676551461294202881?t=YMNYt14-VH9kXRcJ_dH72Q&s=19
আমি মনে করি যে রুমকির ভাগ্য খারাপ, তানা হলে এমনটি হতো না। সাজু রুমকি কে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু সাজু বেকার থাকায় পরবর্তীতে রুমকির প্রতিকার ভালোবাসা আর আগের মত থাকে না। হয়তো বা সংসারের অভাবের কারণেই সে জুয়ার পথ বেছে নেয, আর এই জুয়াই তার জীবনকে শেষ করে দেয়। আসলে বিধাতা কার জীবনে কি লিখে রেখেছেন তা বলাই দায়। জানিনা এখন রুমকির কি অবস্থা, তবে আশা করি এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু রুমকির জীবনে এখন সুখ বলতে কিছু নেই। আমি নিজেও আশা করি তার সংসারে সুখ যেন ফিরে আসে। সুন্দর মন্তব্য করার ধন্যবাদ আপনাকে।