গল্প :- এই কেমন অপদার্থ ভালোবাসা।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে সুন্দর করে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। গল্পটি হচ্ছে আমার শ্বশুর বাড়ির একটি মেয়ের ঘটনা। মেয়েটি আমার হাজব্যান্ডের বাড়ির মধ্যে চাচাতো বোন হয়। মেয়েটির নাম হচ্ছে রুমকি। বিগত ১০ বছর আগে ফ্যামিলি তাকে দেখে শুনে খুব ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছে। বিয়ে দেওয়ার পর সেই স্বামীর সাথে খুব ভালো দিন কাটাচ্ছে। বলতে গেলে সে অনেক সুখী একজন মানুষ। তার হাজবেন্ড বিদেশ থাকে। প্রতি দুই বছর পর পর সেই দেশে আসে।
আমি নিজেও রুমকির মুখ থেকে শুনলাম তার হাজব্যান্ড তাকে অনেক ভালোবাসে। যদিও বাবার বাড়িতে আসলে মাঝেমধ্যে আমাদের এদিকে আসে। বিয়ের পর ১০ বছরের মধ্যে তার দুটি ছেলে সন্তান হয়েছে। বড় ছেলের বয়স পাই আট বছর। আজ ছোট ছেলের বয়স মাত্র দুই বছর হবে। স্বামী বিদেশ সবার ফ্যামিলি আলাদা আলাদা। বলতে গেলে স্বামীর টাকা-পয়সা সব তার হাতে। এবং রুমকি শ্বশুর শাশুড়ি জীবিত আছে। তারা তিন ছেলের মধ্যে সপ্তাহে ১০ দিন করে খাওয়া দাওয়া করে।
এবং রুমকি শ্বশুর-শাশুড়ি ও অনেক ভালো মানুষ। তার বড় ছেলের জন্য একজন প্রাইভেট মাস্টার রেখেছিল। সন্ধ্যার পর পর এসে সেই মাস্টারটি তার ছেলেকে লেখাপড়া করায়। ছেলেটির বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর হবে। ছেলেটি বর্তমানে লেখাপড়া করে। এবং রুমকি মাস্টার আসলে তাকে নাস্তা দেয় ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করে। আস্তে আস্তে রুমকি তাদের ছেলের মাস্টারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে গেল। তবে এই কথাটি তার শ্বশুর-শাশুড়ি এবং নিজ বাড়ির বাবা-মা কেউ জানতো না।
বিগত তিন মাস আগে হঠাৎ করে তাকে ছোট ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। বড় ছেলে ঘরে কান্নাকাটি করতেছে তার মা ঘরের মধ্যে নেই। পরে ছেলেটি দাদা দাদি কাকা সবাই গিয়ে দেখতেছে রুমকি ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে তারা পেলেন না। এদিকে রুমকি শশুর শাশুড়ি এবং রুমকির বাড়িতে লোক পাঠিয়েছে এই বাড়িতে আসলো নাকি। এবং রুমকিদের বাড়িতেও সেই আসে নাই। এদিকে তাদের প্রাইভেট মাস্টারকে পরের দিন থেকে কেউ দেখতেছে না।
এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর খবর পাওয়া গেল সে তাদের প্রাইভেট মাস্টারের সাথে পালিয়ে গিয়েছে। এবং সে মাস্টারকে সেই বিয়ে করেছে। বর্তমানে ছোট ছেলেকে নিয়ে সে বাইরে কোথায় বাসা ভাড়া করে রয়েছে। কিন্তু কোথায় বাসা ভাড়া করে রয়েছে সেটা কেউ জানে না। অথচ রুমকি একবারও চিন্তা করলো না তার বড় ছেলেকে কোথায় রেখে যাচ্ছে। ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে গেল কিন্তু বড় ছেলের কথা একবারও চিন্তা করলো না। এ কেমন অপদার্থ ভালোবাসা বোঝাই যায় না। আশা করি আমার এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1714288795934491092?t=FdikN01Z8uT23xWv8QunyQ&s=19
বর্তমান সমাজে এই অপদার্থ কর্মকান্ড হর হামেশাই ঘটে চলেছে। আপনি যে গল্পটি শেয়ার করলেন যারা বউকে রেখে বিদেশে থাকে তাদের বউ বেশি এভাবে ফাঁকি দিয়ে চলে যায়। যে চলে যায় তার যদি সেই চিন্তা ভাবনা থাকতো তার বড় ছেলে তার ভবিষ্যতে কি হবে তাহলে যেত না খুবই খারাপ লাগছে বড় ছেলেটির জন্য।
আমার গল্পটি পড়ে খুব সুন্দর করে মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এতো সুন্দর সুখের সংসার ছেড়ে যাওয়ার জন্য রুমকির এরকম অদ্ভুত ভাবে মাথায় ভুত চাপলো কেন জানিনা। তাও আবার ছেলের টিউশন মাস্টারের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালো রুমকি ,সত্যিই বড় অদ্ভুত বিষয় । বড় ছেলেটার কথা একবারও চিন্তাও করলো না সে ছেড়ে যাওয়ার সময়। দুনিয়াটাই এখন কেমন অদ্ভুত হয়ে গেছে আপু।
সত্যি বড় ছেলের জন্য একবারও তার মায়া হলোনা। সেই তার নিজের চিন্তা করেছে। যাহোক অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমানে এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে আপু। একসময় শুনতাম মায়ের কাছে সন্তানদের মূল্য সবচেয়ে বেশি। আর এখন দেখি সন্তানদের রেখে মা পালিয়ে যায় অন্য কারো সাথে। প্রবাসীদের বউয়েরা এগুলো করে সবচেয়ে বেশি। তাই প্রবাসী ভাইদের উচিত নিজের টাকা নিজের কাছে রাখা। শুধুমাত্র মাসিক খরচের টাকা বাসায় পাঠানো। কারণ বেশিরভাগ মানুষ বিবেকহীন হয়ে গিয়েছে। তাই কাউকে অন্ধ বিশ্বাস করা উচিত না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এটি ঠিক বলেছেন এই সময়ে কাউকে অন্ধ বিশ্বাস করতে নেই। পোস্টটি নিয়ে মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে কিছু কিছু ওয়াইফের কারণে স্বামী এবং ফ্যামিলি মানুষের কাছে ছোট হয়ে যায়। নিজের সন্তানের জন্য মাস্টার রেখে লাস্ট পর্যন্ত তার সাথে ভেঙে গেল। তবে এটাকে প্রেম বলা না। কিছু কিছু ভুলের জন্য ছেলে সন্তানও কষ্ট করে। একবার নিজের রেখে যাওয়া ছেলের কথা চিন্তা করলো না। আর রুমকির এই ঘটনার কারণে সবাই অনেক ছোট। যা হোক বাস্তব একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
আসলে কিছু কিছু ওয়াইফের কারণে স্বামী এবং ফ্যামিলি মানুষের কাছে ছোট হয়ে যায়। নিজের সন্তানের জন্য মাস্টার রেখে লাস্ট পর্যন্ত তার সাথে ভেঙে গেল। তবে এটাকে প্রেম বলা না। কিছু কিছু ভুলের জন্য ছেলে সন্তানও কষ্ট করে। একবার নিজের রেখে যাওয়া ছেলের কথা চিন্তা করলো না। আর রুমকির এই ঘটনার কারণে সবাই অনেক ছোট। যা হোক বাস্তব একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।