লাইফ স্টাইল :- হঠাৎ করে রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপুর বিবাহ বার্ষিকীতে গিয়ে কাটানো কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। কারণ এসব বিষয়ে ভিন্ন ধরনের লিখতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে বিভিন্ন রকমের কোন সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব। আর সেটা হচ্ছে ভাইয়া এবং সোনিয়া আপুর বিবাহ বার্ষিকী। তাই আমি আজকে ওদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে চেষ্টা করলাম আপনাদের মাঝে পোস্টটি সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য। আশা করি এই পোস্টটি আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে।
রকি ভাইয়া এমনিতে তাদের বিবাহ বার্ষিকী নিয়ে তেমন কিছু প্ল্যান করল না। কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম ওদের বাড়িতে যাব। কিন্তু আমার মেয়ে মাইসুন অনেকটাই অসুস্থ। তাই আমরা পরে ভাবলাম আর যাব না ওদের বাড়িতে। কারণ মাইসুনের জ্বর সর্দি কাশি সবকিছু একসাথে শুরু হয়েছে। এমনিতে মেয়েটাকে নিয়ে অনেক চিন্তায় আছি। এখনকার সময়ে গরমে ঠান্ডায় সবার কম বেশি জ্বর সর্দি কাশি শুরু হয়েছে। আমাদের ঘরেও আমি নিজেও অসুস্থ। তারপর হঠাৎ করে মাইসুনের কাশি বেড়ে যাওয়ার কারণে মাইসুনকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসলাম।
তারপর ভাবলাম ডাক্তার দেখাতে যখন আসলাম তখন রকি ভাইয়া এদের বাড়িতে যাব। তারপর আমরা মাইসুনকে ডাক্তার দেখিয়ে বিকালের দিকে ওদের বাড়িতে গেলাম। তারপর ওদের বাড়িতে যাওয়ার পরে ভাবলাম একদিন থাকবো। কারণ মাইসুনের তো শরীরটা তেমন ভালো নেই তাই মনটাও অনেক খারাপ আমার। তাই ভাবলাম ওদের বাড়িতে থেকে চাই। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে ওদের বাড়িতে ওদের বিবাহ বার্ষিকীর আগের দিনেই চলে আসলাম আমরা। কিন্তু আমার হাজব্যান্ড আমাদেরকে বিকেলে রেখে বাড়িতে চলে গিয়েছে। কারণ উনার মাদ্রাসা আছে সকালে তাই।
কিন্তু আমরা হঠাৎ করে তাদের বাড়িতে থাকার কারণে তারা কেক এনে বিবাহ বার্ষিকী পালন করার সিদ্ধান্ত নিল। তারপর আমরাও সন্ধ্যার সময় সবাই সেজেগুজে রেডি হয়ে গেলাম। তারপর রকি ভাইয়া সন্ধ্যার সময় গিয়ে বাজার থেকে কেক নিয়ে এসেছিল। বিশেষ করে সবাই প্রথমে সেজেগুজে অনেক ছবি তুলেছিলাম। আসলে সবাই রেডি হওয়ার কারণে বেশ মজা করে ছবি তুলতে লাগলাম। তারপর ছবি তোলা হয়ে গেলে সবাই মিলে কেক কেটে নিলাম। আসলে আমরা প্রায় সময় সবাই মিলে এরকম বেশ মজা করে থাকি। বিশেষ করে সবাই একসাথে থাকলে বেশ মজা হয়। তারপর আমার বড় বোনের মেয়েরাও এসেছিল বিকেলে।
তারপর সবাই মিলে একসাথে বেশ হইচই করেছিলাম। বিশেষ করে সবাই অনেক মজা করে অনেক ধরনের ছবি তুলেছিলাম। তারপর খাওয়া দাওয়া হয়ে যাওয়ার পরে সবাই একসাথে বসে বেশ অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম। আসলে আমার মেয়েটার শরীর একটু বেশি খারাপ থাকার কারণে তেমন ভালোভাবে মজা করতে পারলাম না। কারণ যখন নিজের মেয়ের এরকম শরীর খারাপ দেখি তখন নিজের কাছেও কিছু ভালো লাগে না। কিন্তু তাও চেষ্টা করেছি মেয়েটাকেও হাসি খুশি রাখার জন্য। আসলে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সবাই একসাথে থাকার কারণে বেশ মজা করতে পারলাম। আমার কাছে তো তাদের বিবাহ বার্ষিকীতে হঠাৎ করে গিয়ে বেশ ভালই লাগলো। আশা করি আপনাদের ও আমার করা পোস্টটি দেখে অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
প্রথমত আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করি ৷ সন্তানের অসুস্থ হলে মা বাবা মনে কেমন লাগে সেটা বুঝি ৷ মেয়ে কে ডাক্তার দেখার সুবাদে রকি ভাইয়ের বাসায় সবাই মিলে দারুন একটা সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ তাদের সাত বছরের পথ চলা ৷ তাদের পথচলা সুখের হোক এমনটাই প্রত্যাশা ৷
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্য পড়ে আরো ভালো লাগলো।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1763925486798045366?t=enwsJ456R34uPBv8n3LYBA&s=19
সত্যি আপু সবাই যখন একত্রে হয় না এক জায়গায় অনেক মজা হয়। রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আর আরো দোয়া করি আপনার মেয়ে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে বেশ চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলা দেখে বোঝা যাচ্ছে। এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমারও মনে হয় সবাই একসাথে হলে বেশ মজা করা যায়।
হঠাৎ করে পোস্টে আমিও দেখলাম। আজকে তাদের বিবাহ বার্ষিকী তাদের শুভেচ্ছা জানালাম। আপনারা বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে সময় পার করেছেন। এখন
সৃষ্টিকর্তা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে সবাইকে একসাথে।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমার নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই আমি আপনার মেয়ে মাইসুন এর সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। রকি ভাই এবং আপুর বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পোস্ট দেখেছিলাম। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। তাহলে সবাই মিলে জমিয়ে আনন্দ উপভোগ করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সবার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি আপু। আসলে বাচ্চারা অসুস্থ হলে মায়ের মনে কিছুই ভালো লাগে না।কাকতালীয়ভাবে বোনের বিবাহ বার্ষিকীতে ডাক্তার দেখিয়ে তাদের বাসায় রয়ে গেলেন।এরপর আনন্দ করলেন সবাই মিলে।ভাইয়া কেক আনলো।সবাই খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। আপু আর ভাইয়ার বিবাহ বার্ষিকীর জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সারাজীবন তারা এমন ভাবেই সুখে-দুঃখে পাশাপাশি থাকবেন এমনটাই আশাকরি।
ঠিক বলেছেন মেয়েরা অসুস্থতার কারণে বেশ অনেকটাই খারাপ লাগলো কিন্তু ওখানে গিয়ে মনটা অন্তত ভালো হয়ে গেল
আসলে আপু হঠাৎ করে কোন ভালো বিষয় বা খুবই আনন্দের একটা সময় উপভোগ করতেন সবারই কম বেশি ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনি হঠাৎ করে রকি ভাইয়া আর সুমি আপুর বিবাহ বার্ষিকীতে গিয়ে খুব দারুণ একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। এবং সেখান থেকে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে বিস্তারিত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন তাদের বিবাহ বার্ষিকীতে গিয়ে সবাই মিলে বেশ মজাই করলাম আপনার মন্তব্য করে আরো ভালো লাগলো।
আপনার শেয়ার করা আজকের পোস্ট বিস্তারিত দেখেছি এবং পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপু। কিছুক্ষণ আগেই ভাইয়ার কবিতাও পড়েছি বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে। এমন সুন্দর একটি দিনে আপনি উপস্থিত হয়ে গেলেন। অনেক ভালো লেগেছে তাদের এত সুন্দর একটি মুহূর্ত দেখে। ঠিক বলছেন বাচ্চাদেরকে নিয়ে কোথায় যাওয়া আসা খুবই কষ্টকর। বিশেষ করে বাচ্চাদের অসুস্থতা নিয়ে অনেক বেশি মন খারাপ থাকে। যাক তারপরেও খুব সুন্দর একটা সময় কাটালেন।
উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে সবসময়ের মত পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ
সোনিয়া আপু আর রকি ভাইয়ের বিবাহ বার্ষিকীর খবরটা শুনলাম 😍
প্রথমেই তাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আপনারা বেশ আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন স্পষ্ট বুঝতে পারলাম। তবে আপনার মেয়ে অসুস্থ থাকায় আপনার মন বেশ খারাপ ছিল, এই সমস্যাটি এখন সব ঘরে ঘরে। আমার বাসায় সবাই অসুস্থ। যাইহোক তবুও বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন সবাই মিলে বেশ মজা করলাম। এখন সবাই বেশ অনেক বেশি অসুস্থ
আপনি রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপুর বিবাহ বার্ষিকীতে গিয়েছিলেন জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম। আসলে রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপুর জুটি টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপুর বিবাহ বার্ষিকীতে তাদের বাড়িতে গিয়ে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন।
সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ