গল্প:-বর্তমানে মোবাইল গেম এর কারণে বড়ই সমস্যা।(প্রথম পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। বর্তমানে মোবাইলে গেমের কারণে অনেক ইয়াং ছেলে মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমার শ্বশুরবাড়ির একটি বাস্তব ঘটনা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ঘটনাটি হচ্ছে কিছুদিন আগের ঘটনা। আমার শ্বশুর বাড়িতে ৫-৬ জন ছেলে আছে যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। সবার হাতে অনেক দামী দামি মোবাইল। এবং তাদের বাবা গুলো সব বিদেশ থাকে। যদিও সবাই রানিং ছাত্র পড়ালেখা করতেছে।
এবং এই ছেলেগুলো বিকেলবেলা ও রাত্রে বেলা একসাথে বসে যৌথভাবে মোবাইলে গেম খেলে। এমনভাবে গেম খেলে তাদের আশেপাশে কিছু হয়ে গেলেও তারা বলতে পারে না। এবং মোবাইলের গেমের দিকে তাদের এত বড় নেশা হয়ে গেছে। যদিও এই ছেলে গুলোকে কেউ কিছু বলে তারা অনেক মনে কষ্ট নেই। তারা পড়ালেখার সময় পড়ালেখা করে এরপরে সারাক্ষণ মোবাইলে গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এই ছেলেগুলো খেলাধুলা অন্য কোন কিছুই করে না শুধু সারাক্ষণ মোবাইলে গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
তাদের মধ্যে একজন লিমন। কিছুদিন আগে সন্ধ্যার সময় বসে বসে সবাই গেম খেলতেছে। হঠাৎ করে তার পায়ে কি যেন কামড় দিয়েছে। এবং সাথে সাথে সবাইকে বলতেছে আমার পায়ে কি যেন কামড় দিয়েছে। সাথে ছেলেগুলো বলতেছে পায়ে মনে হয় কিছুর আঘাত লেগেছে এই কারণে। এরপরে তারা খেলা খেলতেছে এবং মোবাইলের দিকে তাদের খেয়াল। ছেলেটিও মোবাইলের মধ্যে গেম খেলতেছে। যদিও ছেলেটিকে কি কামড় দিয়েছে সে মোবাইল দিয়ে দেখে নাই।
কিছুক্ষণ পরে ছেলেটি বলতেছে আমার এখানে প্রচুর ব্যথা করতেছে এবং আমার কাছে খারাপ লাগতেছে। এরপর বাকি ছেলেগুলো বলতেছে তাহলে তুমি বাড়িতে যাও। তারপরও ছেলেগুলো তার পায় কি কামড় দিয়েছে সেটা দেখতেছে না শুধু মোবাইলে গেম খেলতেছে। এমন সময় বাড়ির একজন লোক ওখান দিয়ে যাওয়ার সময় কথাগুলো শুনে সেই লাইট দিয়ে দেখতেছে কি কামড় দিয়েছে। বাড়ির বয়স্ক লোকটি সাথে সাথে দেখে বলতেছে তোমাকে সাপে কামড় দিয়েছে।
যদিও ছেলেগুলো স্কুলের নিচে শুকনো ঘাসের উপর বসে বসে গেম খেলতেছে। যখন সাপের কথা বলল সবাই লাভ দিয়ে ওখান থেকে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিল। এরপর যে ছেলেটির পায়ে সাপে কামড় দিয়েছে লিমন অনেক জোরে জোরে কান্নাকাটি করতে লাগলো। সাথে সাথে বাড়ির লোক গুলো তার মা ঘর থেকে বাইর হয়ে ওখানে চলে গেল। তারপর দেখতেছে সত্যি তার পায়ে ছোট ছোট দাঁতের কামড় আছে। তাড়াতাড়ি করে তার পা বেঁধে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। যদিও আমাদের এলাকার গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিলেন। আজ এ পর্যন্তই পরবর্তীতে পরের পর্ব নিয়ে হাজির হব সবাই ভালো থাকবেন। ( চলবে )
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1752936940843028924?t=3gdSg2PQ5XZP8gWp4QWtCg&s=19
মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার দিয়েছেন আপু। মোবাইল গেম আসক্তিতে দিন দিন আক্রান্ত হচ্ছে তরুণরা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে মেতে উঠছে মোবাইল গেমে। আপনার শ্বশুর বাড়ীর ঘটনাটা পড়ে খারাপেই লাগলো। একসঙ্গে বসে গেম খেলছে। একজনকে কি কামড় দিয়েছে জানার বা দেখার সময় নেই তাদে্র! খেলায় এত মগ্ন তারা। কেমন যেন অনুভূতিহীন হয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। ধন্যবাদ আপু, পোস্টটি শেয়ার দেওয়ার জন্য।
আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
গেইম বর্তমান বাচ্চা থেকে তরুণ প্রজন্ম সবাইকেই মানসিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তৈরি করে দিচ্ছে।এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো একজন বিপদে পড়েছে অথচ তাদের দেখার সুযোগ নেই।এটাই আসলে আসক্তি।অনলাইন গেইম বর্তমান সমাজকে এক সময় ভয়াবহ অবস্থায় দাড় করাবে।ভালো লাগলো আপনার লেখাটি অনেক আপু।বাস্তবিক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মোবাইলে গেম খেলার কারণে এখন বর্তমানে যুবক অনেক ভয়াবহ অবস্থায় আছে। সুন্দর করে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু মোবাইল অনেক ভালো জিনিস আমরা দূর দুরান্ত থেকে খবরা-খবর আর অনেক কিছু জানতে পারি মোবাইলের মাধ্যমে। তবে বর্তমান সমাজের ছেলেমেয়েরা মোবাইলে গেম খেলে ধ্বংস হয়ে গেল। তারা একবার খেলা খেলতে শুরু করলে পৃথিবী অন্যদিকে চলে গেলেও তারা টের পায় না। দেখা যাক ছেলেটার সাপে কামড় দিয়েছে পরবর্তীতে কি অবস্থা হয়। পরবর্তী পরের জন্য অপেক্ষায় রইলা।
এটি ঠিক বলেছেন একবার খেলা খেলতে শুরু করলে পৃথিবী অন্যদিকে চলে গেল তারা টের পায় না। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে মোবাইল গেমস খেলতে খেলতে মোবাইল গেমস এর প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ খুবই বেড়ে গেছে। এবং মোবাইলের প্রতিও তাদের খুব আসক্ত। যেমন এই বাচ্চাটি গেমস খেলতে খেলতে তার পায়ে কি কামড় দিল তা দেখার প্রয়োজন মনে করেনি। তারা গেমসের প্রতি এত মগ্ন হয়ে গিয়েছে। যাইহোক পরবর্তীতে ছেলেটির কি হল তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
বর্তমানে মোবাইলের গেমস এর কারণে ছেলে গুলো অন্যরকম হয়ে গেল। তারা ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করে না। আশা করি পরের পর্বে সবকিছু জানতে পারবেন।
একদমই ঠিক বলেছেন। এখনকার সময় বাচ্চারা অনেক বেশি পরিমাণে মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে গিয়েছে। সবসময় তারা মোবাইল আসক্তিতে মগ্ন থাকে৷ যেকোন গেম দেখলে তারা সেটি ডাউনলোড করে নেয় এবং তারা এমনভাবে খেলতে থাকে যাতে বুঝা যায় যে তারা এই গেম ছাড়া কোনমতে চলতে পারেনা৷ এখানে এই ছেলেটির পায়ে কি কামড় দিয়েছে তা এই ছেলেটি দেখার প্রয়োজন মনে করেনি৷ পরবর্তীতে এই ছেলেটার কি হয়েছিল তা দেখার আশায় রইলাম৷
বর্তমানে মোবাইলের গেম খেলা মানুষের শরীরের মধ্যে মিশে গেছে। এই কারণে কোন বিপদ হলেও শেষ দিকে খেয়াল থাকে না। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫-১৬ বছরের ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল দেওয়াটাই তো ঠিক কাজ না। আর এখনকার ছেলে মেয়ে আসলে গেম খেলাতে এতটাই অ্যাডিক্টেড যে, তারা অন্য কিছু চিন্তাও করতে পারে না। এখানে ছেলেটার বন্ধুরা যখন শুনল তার পায়ে কিসে যেন কামড় দিয়েছে এবং তার অনেক খারাপ লাগছে, তখন তার বন্ধুদের উচিত ছিল আসলেই কি হয়েছে তা দেখা। যদিও যারা এরকম গেম খেলে তাদের ওরকম বিবেক বুদ্ধি কাজ করে না তখন। তবে আমি মনে করি, সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ভালো কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল ছেলেটাকে। এখন দেখা যাক, পরবর্তী পর্বে কি জানা যায় এই নিয়ে।
আসলেই মোবাইলের প্রতি আমরা এতটাই আসক্ত যে অন্যদিকে খেয়াল করার ইচ্ছে নাই।কি অবস্থা তাহলে কি কামড়িয়েছিল সেটাই ভালো করে দেখার প্রয়োজন মনে করেনি কেউ কারণ সবাই গেম খেলায় মগ্ন।কি ভয়ংকর কথা যে সাপ কামড়িয়েছিল কিন্তুু ওনারা তা কিছুতেই বুঝতে পারেনি।পরবর্তী পোস্টে ছেলেটির কি হলো তা জানার অধির আগ্রহে থাকলাম।
ভাবতেই অবাক লাগে, মোবাইল গেম এর প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে গিয়েছে যে, সাপে কামড় দিয়েছে নাকি অন্য কিছু কামড় দিয়েছে, সেটা দেখার সময় নেই তাদের। বাবা বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্য বিদেশে থাকলে, খুব সহজেই এই ছোট ছোট ছেলেগুলো হাতে মোবাইল পেয়ে যায়। এতে করে তাদের পড়াশোনা একেবারে গোল্লায় যাচ্ছে এবং শারীরিক ব্যায়াম হচ্ছে না। কারণ এই বয়সে আমরা ক্রিকেট, ফুটবল এবং বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতাম। আসলে খেলাধুলা করলে শরীর স্বাস্থ্য খুব ভালো থাকে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।