আমার করা গত মাসের ডাই পোস্টের সংগ্রহশালা

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সবসময় চেষ্টা করি বিভিন্ন রকম পোস্টগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য একবার হলেও। তাই আজকে অনেক ভেবে চিন্তে আমার এক মাসের ডাই পোস্ট এর সংগ্রহশালা নিয়ে হাজির হলাম। সবার যখন সংগ্রহশালার পোস্ট গুলো দেখি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সংগ্রহশালা পোস্ট এর মাধ্যমে অনেকগুলো পোস্ট একসাথে দেখা যায়। আপনারা যদি আমার কোন ডাই পোস্ট মিস করে যান তাহলে এই পোস্টের মাধ্যমেও দেখতে পাবেন। আমার সবগুলো পোস্ট আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করতে অনেকটাই ভালো লাগলো। আমি এমনিতেই বিভিন্ন রকম পোস্ট করার চেষ্টা করি। তাই আজকে আপনাদের সাথে ডাই পোস্টের সংগ্রহশালা ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার সবগুলো ডাই পোস্ট একসাথে দেখে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

পোস্ট - ১ :

রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি মাছের ওয়ালমেট :

এটা হচ্ছে আমার করা রঙিন কাগজের তৈরি মাছের ওয়ালমেট। আমার কাছে তৈরি করতে বিশেষ করে অনেক ভালো লাগলো। ছোট বড় মাছ গুলো দেখতে একেবারে সত্যিকারের মাছের মতই দেখা ছিল। মাছের গায়ে বিভিন্ন কালারের রঙের কাগজ দিয়ে মাছ গুলো তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছিল। আমি সব সময় এমনিতে চেষ্টা করি আমার বেস্ট কাজগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। এই ওয়ালমেট তৈরি করে আমাদের ঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে রেখেছি। এমনিতেই আমার এরকম জিনিস গুলো তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। কেউ কেউ হয়তো আমার এই পোস্টটি মিস করে দিয়েছেন। তাই আমি চেষ্টা করেছি আবারো আপনাদের মাঝে আমার এই পোস্ট তুলে ধরার জন্য। আশা করি আবারো রঙিন কাগজের মাছের ওয়ালমেট দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।

পোস্টটি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

পোস্ট - ২ :

রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি চশমা :

এটা হচ্ছে রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা চশমা। এই চশমাটি যখন তৈরি করেছিলাম তখন নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমি চোখে পড়ার সময় দেখি চশমাটা একটু ছোট হয়ে গিয়েছে। আসলে আমি নাশিয়ার কাছ থেকে চশমা দেখে নিজেও চশমা তৈরি করার ব্যাপারে ভেবেছি। চেষ্টা করে এই চশমাটি তৈরি করে ফেলেছি। চশমাটি যখন তৈরি করে নাশিয়াকে পরে দিয়েছিলাম নাশিয়া তখন ভীষণ খুশি হয়ে গিয়েছিল। এমনিতেই ছোটদেরকে এরকম সুন্দর জিনিস তৈরি করে দিলে তারা ভীষণ খুশি হয়। নাশিয়াও ভীষণ খুশি হয়েছে। তাই আবারও আমার রঙিন কাগজের তৈরি চশমার পোষ্টটি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আশা করি আবার এই পোস্ট দেখে আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে।

পোস্টটি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

ধাপ ৩ :

কার্ড বোর্ড দিয়ে ঈগল পাখি তৈরি :

এই ঈগল পাখি তৈরি করে আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। তখন আমার মত অনেকেই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। আমিও ভেবেচিন্তে সবার মত ঈগল পাখি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভাবি নি প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হতে পারব। তাও পুরষ্কৃত হতে পেরে ভীষণ ভালোই লাগলো তখন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটাই আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এই ঈগল পাখি তৈরি করতে আমার অনেক সময় লেগেছে বিশেষ করে। ছোট ছোট কাগজগুলো কেটে কেটে পাখিটি তৈরি করতে প্রচুর সময় লেগেছে। যেভাবে অনেক সময় দিয়ে পাখিটি তৈরি করেছি পুরস্কৃত হতে পেরেও তখন ভীষণ ভালোই লাগলো। তাই চেষ্টা করেছি আবারো এই পাখির পোস্ট আপনাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এই পোস্ট আবার দেখে।

পোস্টটি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

ধাপ ৪ :

রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি চকলেট ক্যান্ডি :

এটি হচ্ছে রঙিন কাগজের তৈরি চকলেট ক্যান্ডি। আমি তো নিজেই প্রথমে অবাক হয়ে গেছিলাম এই ক্যান্ডি গুলো দেখে। দেখতে একেবারে সত্যিকারের ক্যান্ডির মতোই হয়েছে। আমার রঙিন কাগজ দিয়ে এরকম জিনিস গুলো তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি কোন না কোন কিছু রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করার জন্য। আমি তো রঙিন কাগজ দিয়ে সবকিছু তৈরি করে নাশিয়ার জন্য রেখে দেই। এই ক্যান্ডি টাও তৈরি করে নাশিয়াকে পরে দিয়েছিলাম। নাশিয়া তো ছোট ছোট ক্যান্ডি গুলো দেখে ভেবেছিল সত্যিকারের ক্যান্ডি তাকে দিয়েছি খাবার জন্য। অনেক বোকা বানালাম নাশিয়াকে তখন। দেখতে আসলেই একেবারে ক্যান্ডির মতোই লেগেছে নাশিয়ার কাছে। আশা করি এই ক্যান্ডি পোষ্ট আবার দেখতে পেরে আপনাদেরও ভালো লাগবে।

পোস্টটি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

ধাপ ৫ :

রঙিন কাগজ দিয়ে ফুলের তোড়া তৈরি :

কয়েকদিন আগে এই ফুলের তোড়া তৈরি করে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছি। আপনারা অনেকেই এই ফুলের তোড়ার পোস্টের মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করেছেন। আসলে এরকম জিনিস গুলো তৈরি করতে যতই না ভালো লাগে আপনাদের কমেন্টগুলো পড়তে আরও বেশি ভালো লাগে। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার বেস্ট কাজটা আপনাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য। এই ফুলের তোড়া রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করতেও আমার অনেক সময় লেগেছে। কেউ কেউ তো বলেছেন তাদেরও এই ফুলের তোড়াটি অনেক ভালো লেগেছে। আপনাদের উৎসাহ পেয়ে আবারো এই পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি ফুলের তোড়ার পোস্ট আবার দেখতে পেরে আপনাদের ভালো লাগবে।

পোস্টটি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

---

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণী	রিভিউ
ডিভাইস	Samsung galaxy a7
ফটোগ্রাফার	@bdwomen
লোকেশন	ফেনী

ধন্যবাদ সবাইকে