"আমার বাংলা ব্লগ"প্রতিযোগিতা - ২৯|-নতুন বছরের নতুন ব্যানার
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের নুসুরা আপুকে এভাবে এত সুন্দর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। কারণ আপনারা সবাই জানেন আমি সব সময় পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এই প্রতিযোগিতা দেখার পরে আমি খুবই এক্সাইটেড হয়ে ছিলাম। আসলে আমি পেইন্টিং করলেও আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে কিভাবে উপস্থাপন করব এটা বুঝতে পারছিলাম না। এরপর ভাবলাম একটা স্টেজ এর মত তৈরি করব। স্টেজের সামনে আমার বাংলা ব্লগের লোগো এবং ব্যানার থাকবে। আর স্টেজের সামনে আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্য দর্শক হিসেবে থাকবে। আর সবাই হাত তুলে আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে অনেক আনন্দ উদযাপন করবে। আমি মূলত এরকম একটা কনসেপ্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তীতে সেটাই আঁকার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। পুরোটা নিজের মতো করেই করার চেষ্টা করেছি।
আমার এই ব্যানারের পেইন্টিংটি তৈরি করতে প্রায় তিন দিন সময় লেগে গিয়েছে। এই পেইন্টিংটি করতে গিয়ে কতবার যে উঠলাম আর কতবার যে বসলাম কে জানে। পেইন্টিং টি করতে আসলেই অনেক সময় দিতে হয়েছে। কারণ আমার শ্বশুর বাড়িতে আমরা চারজন একসাথে থাকি। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমি আর আমার হাজব্যান্ড। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি বৃদ্ধ হবার কারণে ঘরের অনেক ধরনের কাজ করতে হয় আমাকে। পরিবারের সকল কাজ গুলো একসাথে করতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু আমি আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে দেখার পাশাপাশি পরিবারের প্রত্যেকটি কাজও এক হাতে সামলানোর চেষ্টা করি। তাই আমাকে এখন ছবি আঁকতে গেলে প্রায় অনেকবার উঠতে হয়, ছবি আঁকা থেকে। কারণ সবার এক এক সময় একেক জিনিস প্রয়োজন হয়।
তাদেরকে সাহায্য করতে করতে আমি ছবি আঁকতে গেলে আমার অনেক সময় লেগে যায়। এমনিতেই ছবি আঁকতে অনেক ধৈর্য নিয়ে আঁকতে হয়। আর আমার ছবি আঁকতে এমনিতেই অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু আমি তাও পরিবারের সবাইকে সাহায্য করে ধীরে ধীরে আমার পেইন্টিংটি করার চেষ্টা করলাম। জানিনা আমার আজকের ব্যানার তৈরির পেইন্টিংটি আপনাদের কেমন লাগবে। কিন্তু তাও আমি আমার সব কাজ শেষ করে এই পেইন্টিংটি করে আপনাদের মাঝে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের সবারই আমার এই ব্যানারের পেইন্টিং খুবই পছন্দ হবে।
আঁকার উপকরণ
✓ ক্যানভাস বোর্ড
✓ পোস্টার রং
✓ রং করার তুলি
✓ মাস্কিং টেপ
✓ পেন্সিল
✓ রাবার
✓ কাটার
✓ মার্কার
আঁকার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি আঁকার জন্য একটি ক্যানভাস বোর্ড নিয়ে নিলাম। তারপর সেই ক্যানভাস বোর্ডের চারপাশে সুন্দরভাবে মাস্কিং টেপ লাগিয়ে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
তারপর ক্যানভাস বোর্ডের মাঝখানে গোল দাগ দিয়ে আমার বাংলা ব্লগের লোগোটি সুন্দরভাবে পেন্সিল দিয়ে এঁকে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
তারপর বড় লোগোটির নিচের অংশে ছোট আরও একটি লোগো পেন্সিল দিয়ে এঁকে নিলাম। তারপর তার পাশে আমার বাংলা ব্লগ পেন্সিল দিয়ে লিখে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
তারপর সেই লোগোর একেবারে শেষের অংশে পেন্সিল দিয়ে কিছু ভেরি ফায়ার মেম্বার এর হাত তোলার কিছু স্কেচ এঁকে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
তারপর প্রথমে বড় লোগোর একপাশে একটি ছেলে ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকার চিত্র রং করে নিলাম। তার পাশে কিছু ফুলের ছোট গাছ রং করে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
তারপর সেই লোগোর মাঝখানে আরেকপাশে আরো একটি মেয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকার চিত্ররম করে নিলাম। তারপর তার চারপাশেও আরো কিছু চিত্র সুন্দরভাবে রং করে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
তারপর লোগোর ভিতরে একটি নৌকা কমলা কালার রং দিয়ে রং করে নিলাম। তার চারপাশে কিছু বাংলা অক্ষর বিভিন্ন কালার রং দিয়ে সুন্দরভাবে রং করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
তারপর হলুদ কালার আর সবুজ কালার রং দিয়ে লোগোর চারপাশটা সুন্দরভাবে কালারফুল করে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
তারপর লোগোর পিছনের অংশের মধ্যে খয়েরি কালার রং দিয়ে বেনারের কিছু দাগ সুন্দরভাবে কালারফুল করে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১০ :
তারপর খয়রি কালারের রঙের মাঝখানে চিকন করে লাল রং দিয়ে আরও কিছু দাগ সুন্দরভাবে কালারফুল করে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১১ :
তারপর লাল আর খয়রি কালারের মাঝখানে আরো কিছু দাগ হালকা আকাশী কালার রং দিয়ে সুন্দরভাবে কালারফুল করে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১২ :
তারপর বড় লোগোর মাঝখানে আরো কিছু পাতার চিত্র সুন্দরভাবে কালারফুল করে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১৩ :
তারপর লোগোর উপরের অংশে কিছু পাতার চিত্র হলুদ আর হালকা সবুজ কালার রঙ দিয়ে সুন্দরভাবে রং করে নিয়ে নিলাম। তারপর তার চারপাশে কিছু ছোট বড় ঘাস রং করে নিলাম।
ধাপ - ১৪ :
তারপর ছোটলোগর চারপাশটা হালকা সবুজ কালার রঙ দিয়ে রং করে নিলাম। তারপর তার একপাশে কালো আর নীল রঙ দিয়ে আমার বাংলা ব্লগ লেখাটি আরো সুন্দর করে রং করে নিলাম।
ধাপ - ১৫ :
তারপর সেই লেখার আরেক পাশে ছোট লোগোটি বিভিন্ন কালার রং দিয়ে সুন্দরভাবে কালারফুল করে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১৬ :
তারপর নিচের অংশে পেন্সিল দিয়ে আঁকা কিছু ভেরিফাইড মেম্বার এর হাতের স্কেচ গুলো কালো রং দিয়ে সুন্দরভাবে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১৭ :
এইভাবে ব্যানারের চারপাশটা সুন্দরভাবে কালারফুল করে রং করে নিয়ে নিলাম। তারপর ব্যানারের উপরের অংশে আরেকটু হাইলাইট করার জন্য সাদা আর হলুদ রং দিয়ে কিছু হালকা দাগ টেনে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এইভাবে আমি ব্যানার টিকে অনেক সুন্দর করে রং করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের এই পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
জাস্ট ব্রিলিয়ান্ট।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনার মন্তব্যটা পেয়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
এভাবেই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন আমাদের 🥰🥰
https://twitter.com/bdwomen2/status/1618192555933601792?t=XnwWaXDlU7Rf6LyUkdgY-Q&s=19
আপনার শ্বশুর শাশুড়ি সহ পুরো পরিবার সামলে এত সুন্দর একটা পেইন্টিং করেছেন এটা দেখেই ভালো লাগলো। কারণ আমি মনে করি পরিবারের কাজ এবং এখানকার কাজ সবকিছুই সামলানো উচিত। সবকিছু সামলিয়ে আঁকতেও অনেক বেশি সময় লাগে। তবে আপনার পেইন্টিংয়ের কনসেপ্ট টা দারুন লেগেছে। প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন পুরো পরিবার সামনের পেইন্টিং করা আসলেই খুবই কষ্টকর। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
ওয়াও আপু আপনার ব্যানারটি সত্যিই অসম্ভব সুন্দর হয়েছে দেখে তো আমি একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অসাধারণ চমৎকার একটি ব্যানার তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে না যে এটি একটি পেইন্টিং মনে হচ্ছে যে এটি একটি ডিজিটাল আর্ট। সত্যিই আপনি কাজটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আশা করি এই প্রতিযোগিতায় আপনি ভাল একটি স্থান পাবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এই ব্যানার তৈরি করতে আমার প্রায় অনেক সময় লেগেছে। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম
পরিবারের সবার সবকিছু সামলিয়ে আবার এইদিকের কাজগুলো করা খুবই কষ্টকর। চমৎকার একটি ব্যানার তৈরি করেছেন আপু। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। কালার কম্বিনেশন আমার কাছে ভালোই লেগেছে। তৈরি করার ধাপ গুলি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ব্যানার তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন আমার বৃদ্ধ শ্বশুর শাশুড়িকে সামনে আবার পরিবারের সবকিছু সামনে এই কাজগুলো করতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নতুন বছরে ব্যানার দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই আপনি খুবই দক্ষতার সাথে ব্যানার তৈরি করেছেন। উপস্থাপন ছিল অসাধারণ। দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আমি চেষ্টা করলাম ব্যানার টি সুন্দরভাবে তৈরি করা আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আমি তো প্রথমে ছবিটি দেখে মনে করেছিলাম যে এটি কোন বইয়ের মলট। কিন্তু না, পরবর্তীতে দেখলাম এটা আপনার করা একটি পেইন্ট। খুব ক্রেয়েটিভিটি নিয়ে আপনি আপনার আজকের পেইন্টিং টি করেছেন। আমার তো বেশ ভালই লেগেছে।
এই ব্যানারটি আমি নিজের হাতেই পেইন্ট করলাম আপু। আপনার ভালো লেগেছে দেখে অনেক খুশি হলাম
প্রথমে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ নেওয়ার জন্য। আপনার পেইন্টিং টি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম ডিজিটাল আর্ট। পরে পড়ে দেখলাম যে আপনি পেইন্টিং করেছেন। চমৎকার একটি পেইন্টিং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দেখতে আমার কাছেও পরে ডিজিটাল আর্টের মতো মনে হয়েছে। চেষ্টা করলাম সুন্দরভাবে আঁকার জন্য।
আপু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এজন্য অভিনন্দন জানাই আপনাকে।আপনি খুব দক্ষতার সাথে ব্যানারটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য।