গল্প:- শশুরের চালাকি ( শেষ পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগlast year

Blue Paint & Paper Sales Ad Instagram Post_20230819_190303_0000.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। আগে এই গল্পে প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তাই আজকে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এরকম কাহিনী আমার অনেক ভালো লাগে লিখতে। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

ইউপি চেয়ারম্যান রেখাকে জিজ্ঞেস করলেন তার হাসবেন্ড কিভাবে তার সাথে ব্যবহার করে। তখন রেখা বলতেছে মোট কথা হচ্ছে আমার হাজব্যান্ড তবে তেমন বাড়িতে আসে না। বিয়ের প্রথম দুই মাস বাড়িতে আসলো এখন ঠিকমতো বাড়িতে আসে না আমার বিয়ে হয়েছে বিগত দুই বছর হয়ে গেছে। তখন ইউপি চেয়ারম্যান জিজ্ঞেস করলেন আপনার খাওয়া দাওয়া বরন পোশাক সব ঠিকমতো দেই নাকি। তখন রেখা বলতেছে এগুলো ঠিকমতে আমার শ্বশুর দে তবে আমার হাজব্যান্ড দেয় না। তবে আমার শশুর আমাকে অনেক আদর করে নিজের মেয়ের মত করে।

রেখা তার শ্বশুরের কথা বিচার দিলেন না বলতেছে আমার শ্বশুর অনেক ভালো। এরপর চেয়ারম্যান শাশুড়ির কথা জিজ্ঞেস করলেন তখন বলতেছে আমার শাশুড়ি অনেক ভালো শুধু তার নালিশ হচ্ছে তার হাজবেন্ডের উপর। এমত অবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যান রেখার শ্বশুর কে বলতেছেন রেখাকে দিয়ে দিতে। তখন রেখার শশুর বলতেছে আমি কিছু কথা বলব বলার অনুমতি চাই। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান বলতেছে আপনি যখন বাদি অবশ্যই কথা বলতে পারবেন কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন। তখন রেখা শশুর জিজ্ঞেস করল আপনার চেয়ারম্যানি কত বছরের।

চেয়ারম্যান বলতেছে দুই টারম আমি এই ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান। তখন লোকটি আবার জিজ্ঞেস করল কয় বছরের। তখন ইউপি চেয়ারম্যান বলতেছে ৮ বছর আমি চেয়ারম্যান কি হয়েছে সেটা বলেন। এমতাবস্থায় রেখার শ্বশুর বলতেছে আপনার ৮ বছর চেয়ারম্যান অবস্থা কখনো দেখেছেন। ছেলের ওয়াইফ বাবা দিয়ে দিতে পারে। কারণ ছেলের ওয়াইফ তালাক দিলে তা সেই নিজে দিতে পারবে। আমি কিভাবে ছেলের ওয়াইফ দিয়ে দেব। তখন চেয়ারম্যান লোকটির মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে রইল।

আর বিয়ের সময় আমাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছে ছেলে ব্যবসা করার জন্য। এই টাকাগুলো ওই সময় শেষ হয়ে গেল আমার কাছে কোন টাকা নেই। এখন আমার কাছে টাকা চাইলে আমি দিতে পারবো না আপনাদের বিচারে যা হয় তাই করেন। তবে আমার মেয়ে নেই এই কারণে আমি ছেলের ওয়াইফের মেয়ের মত আদর করি। প্রয়োজনে আমার ছেলের ওয়াইফকে আপনারা জিজ্ঞেস করেন। এমত অবস্থায় রেখা বলতেছে আমার শশুর আমাকে অনেক আদর করে। এবং আমাকে একসাথে বসিয়ে খাওয়া দাওয়া করে।

তবে আমার ছেলের ভাগ্য খারাপ সেই এত ভদ্র এবং নামাজী ওয়াইফ রেখে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছে। তবে আমার ছেলের ওয়াইফ যদি চাই আমাদের সাথে থাকতে পারে। আর না হয় আমি ছেলের সাথে যোগাযোগ করে ওয়াইফকে তার কাছে রাখার চেষ্টা করব। এরপর রেখা বলতেছে আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে থাকব। তারপর রেখার বাবা আর কিছুই বললেন না। তবে এখন রেখা তার হাসবেন্ড এবং বাচ্চাকে নিয়ে অনেক সুখে আছে। কারণ তার হাজবেন্ড যে মেয়েকে বিয়ে করেছে সে মহিলাটি খারাপ।

এবং রেখার হাজব্যান্ড ওই মহিলা ছেড়ে বর্তমানে রেখার সাথেই আছে। এবং অনেক সুখে আছে। আসলে রেখা কালো হলেও তার আচার ব্যবহার দিয়ে সবাই এবং হাজবেন্ডের মন জয় করে ফেলেছে। বর্তমানে রেখার এ সুখ দেখে সবাই তার সুনাম করে। আশা করি আমার গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।( শেষ পর্ব )

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 last year (edited)

প্রথম পর্বে তো ভেবেছিলাম সে চেয়ারম্যানের সামনে কিনা কি বলে,আর তার ভবিষ্যৎ কী রকম হয়। এ বিষয় নিয়ে কিছুটা টেনশনে ছিলাম। আজকে শেষ পর্বের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবের গল্পের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন। আর আমরাও জানতে পারলাম যে রেখা তার বাচ্চা ও হাজবেন্ডকে নিয়ে ভালো আছে।ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য। আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আরো।

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 last year 

আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি আমি আগে পড়েছিলাম। আসলে রেখার মতো এরকম অনেক মেয়ে আছে কালো তাদের আচার ব্যবহার অনেক ভালো। শ্বশুরবাড়িতে সবাই তাদেরকে ভালো পাই শুধু একমাত্র হাসবেন্ড ছাড়া। রেখা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে তার শ্বশুর শাশুড়ির কোন বদনামি করে নাই। শুধু তার স্বামী বাড়িতে আসে না। আসলে রেখার হাজবেন্ড দুনিয়াটি রঙিন দেখেছে। এই কারণে অন্য মেয়ের ফাঁদে পা দিয়েছে। যাইহোক শুনে ভালো লাগলো রাখার হাজবেন্ড ওই মেয়েটিকে ছেড়ে এখন রেখার সাথে ভালোভাবে সংসার করতেছে। বর্তমানে তাদের সংসার অনেক সুখী। ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তব একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ঠিক বলেছেন আজকে ধৈর্য ধরার কারণেই রেখা আবারও সুন্দর ফ্যামিলি পেয়ে গেল। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

প্রথম পর্ব পরা হয়নি তাই গল্প টা বুঝতেছি না।আপু বেশ কয়েক জায়গা আপনার একই শব্দ ছন্দ ছাড়া ব্যবহার করেছেন এটা খেয়াল রাখবেন একটা গল্প যেহেতু লিখেছেন।আর বানান কয়েক জায়গা ভুল আছে।ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব পরবর্তী থেকে আরো সুন্দরভাবে গুছিয়ে লেখার জন্য।

 last year 

এই গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম। রেখার হাসবেন্ড গোপনে বিয়ে করে খুব খারাপ কাজ করেছে। যাইহোক অবশেষে রেখাকে মেনে নিয়েছে এবং দ্বিতীয় বউকে ডিভোর্স দিয়েছে, এটা খুব ভালো হয়েছে। কথায় আছে জাতের মেয়ে কালোও ভালো। আশা করি নতুন কোনো গল্প নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া চেষ্টা করব নতুন কোন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপু খুব সম্ভবত এই গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম। আজ যখন গল্পটি পড়তে পড়তে জানতে পারলাম রেখা তার বাচ্চা ও হাজবেন্ডকে নিয়ে ভালো আছে, সুখে শান্তিতে আছে তখন ভীষণ ভালো লাগলো। তবে এদিক থেকে রেখার শশুর ও শাশুড়িকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে হয় এজন্য যে, তারা তাদের ছেলের বউকে খুবই আদর যত্ন করেছিল বলে রেখা তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকতে চেয়েছিল। আর সেজন্যই রেখার পরবর্তী সময়ে সুখী হতে পেরেছে। আপনার সুন্দর গল্প উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

ঠিক বলেছেন কিছু কিছু শশুর শাশুড়ির কারণেই নিজেদের ছেলের বউয়ের সংসারটা বেঁচে যায়। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

 last year 

ধৈর্য ধরলে আগে আর পরে তার ফলাফল পাওয়া যায়। যেমন রেখা পেয়েছে। যদি ঐসময় চেয়াম্যানের কথার সাথে একমত হয়ে চলে যেত তাহলে অনেক বড় ‍ভুল করতো। কারন মানুষ সবসময় এক থাকে না। পরিবর্তন হতে বাধ্য। ধন্যবাদ।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধৈর্যই সবচেয়ে বড় একটি শক্তির কারণ। রেখাও ধৈর্য ধরেছে দেখেই আজকে সুন্দরভাবে সংসার করতেছে।

 last year 

গল্পটির প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম আপু ,সেই পর্বটিও আমার ভালো লেগেছিল আর আজ শেষ পর্বটিও অনেক ভালো লেগেছে। রেখার শ্বশুর সত্যিই একজন ভালো মনের মানুষ। রেখা যেহেতু শ্বশুর বাড়িতে থেকে গেল তাই সে ভবিষ্যতে তার স্বামী, বাচ্চা সবকিছু নিয়ে সুখে সংসার করতে পারল।

 last year 

আমার গল্পটি এবারও পড়েছেন দেখে অনেক অনেক খুশি হলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58551.09
ETH 2617.32
USDT 1.00
SBD 2.44