পোস্ট শিরোনাম || হ য ব র ল:
আসসালামু আলাইকুম |
---|
আসলে অনেক পোষ্টের কথাই সারাদিন মাথায় ঘরে কিন্তু যখন পোস্ট করতে বসি তখন যেন কোন পোস্টটি খুঁজে পাইনা ।যাই হোক আজ আমি একটা অন্যরকম পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যেটা আমার ঘরের মধ্যে ইদানিং ঘটেছে ।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের পোস্টের বিস্তারিত:
বন্ধুরা আমরা তিন ভাই তিন ভাইয়ের মধ্যে আমি ছোট আমার বড় ভাই গ্রামে থেকেই সংসারি কাজ করেন এবং মেজ ভাই এসএসসি পাস করার পরে ঢাকায় চলে যান, সেখানে জগন্নাথ ভার্সিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে ঢাকায় চাকরি জীবন শুরু করেন। এবং আমি আমাদের মাদারীপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ঢাকায় চলে যাই এবং ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স মাস্টার্স শেষ করে জব শুরু করি। তবে আমার অভ্যাস হচ্ছে আমি বেশিদিন একই যবে থাকতে পারিনা তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি ঢাকা থেকে একবারে বাড়িতে চলে আসি যদিও বাড়িতে আসার কোন ইচ্ছাই আমার ছিল না।
আলোকচিত্র নাম্বার- এক
আমি এবং আবার মেজো ভাই একই ঘরে থাকি। তো আমি বাড়িতে আসার পর আমার যাবতীয় আসবাবপত্র ঘরের মধ্যে রাখি এবং নিয়মিত আমার পরিবার বাড়িতেই থাকে। যাইহোক আমি চলে আসার পর আমার মেজো ভাই ঢাকাতে একটি রেস্টুরেন্ট চালাতো ইদানিং সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সে রেস্টুরেন্টটা ছেড়ে দিতে হয়, এছাড়াও রেস্টুরেন্টটা ছেড়ে দেওয়ার আরেকটি কারণ হলো রেস্টুরেন্টটিতে এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ভাড়া পেমেন্ট করতে হতো যা আসলে তার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছিল ।
আলোকচিত্র নাম্বার-দুই
এমতাবস্থায় রেস্টুরেন্টটা ছেড়ে তার দিন যাপন করা অনেকটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল, এমন সময় আমাদের এলাকায় একটা রানিং রেস্টুরেন্ট ছেড়ে দিবে বলে আমার এক ভাগিনা তাকে জানায়, এরপর সে একদিন বাড়িতে এসে রেস্টুরেন্টটি দেখে এবং রেস্টুরেন্টের বর্তমান মালিকের সাথে কথা বলে মোটামুটি ফাইনাল করে ফেলে যে রেস্টুরেন্টটি আমার মেজ ভাই নিতে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসের ২৮ তারিখে আমার মেজ ভাই ঢাকার বাসা ছেড়ে পরিবারসহ গ্রামে চলে আসে, এখানেই আমার ঘটনার মূল কাহিনীটা- সেটা হচ্ছে আমাদের একটাই ঘর যেহেতু আমরা দুই ভাই ঢাকাতে থাকি বাড়িতে শুধু আমার মা একা থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা আর আলাদা ঘর দেওয়ার চিন্তা করিনি কিন্তু হঠাৎ করে আমি ঢাকা ছেড়ে বাড়িতে চলে আসায় এবং এই মুহূর্তে আমার মেজো ভাই ও বাড়িতে চলে আসায় একটি ঘরের মধ্যে দুই ভাইয়ের আসবাবপত্র বা অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে থাকাটা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কিছু করার নেই এরই মধ্যে অনেক কষ্ট করে হিবিজিবি অবস্থায় মেজ ভাইয়ের আসবাবপত্র বা অন্যান্য মালামাল ঘরের মধ্যে রাখা হলো।
আলোকচিত্র নাম্বার-তিন
একই ঘরের মধ্যে মেজ ভাইয়ের আসবাবপত্র মালামাল রাখার পর ঘরের যে অবস্থা হল সে অবস্থাটাই আপনাদের মাঝে আমি কিছু আলোকচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আসবাবপত্র বিষয়টা এ পর্যন্ত থাকলেই হতো এছাড়া আমার দুই ছেলে এবং মেজো ভাইয়ের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে এদের সবাইকে নিয়ে একই ঘরের মধ্যে থাকাটা আসলে অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে এর মধ্যে আবার আমার মা, যার বয়স মোটামুটি ৮০ বছরের কাছাকাছি হবে, ঘরের মধ্যে এই হিবিজিবি অবস্থা বা গাদাগাদি অবস্থা দেখে মাঝে মাঝেই চেঁচামেচি শুরু করে দেন।
আলোকচিত্র নাম্বার-চার
আসলে এই পোস্টে আমার কাছে একটি শিক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে মানুষ কখন কিভাবে কোথায় যাবে সেটা আসলে একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কেউ বলতে পারে না তাই আমাদের সবারই উচিত কিছুটা হলেও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাড়িতে থাকার মত একটা ব্যবস্থা করে রাখা আজ যদি আমাদের আগে থেকে আরেকটা ঘর করা থাকতো তাহলে এই সমস্যায় আমাদের পড়তে হতো না।
আলোকচিত্র নাম্বার-পাচ।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের পোস্টটি আশা করি আমার পোস্টটি সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং অবশ্যই কিছু ভালোমন্দ মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন এবং ভবিষ্যতে যেন আমাদের মত আমার বাংলা ব্লগের অন্য কোন ভাই বোনের এই সমস্যায় পড়তে না হয় এই পোস্টটি থেকে সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
পোস্টের সাথে সম্পর্কিত যা যাঃ |
---|
ডিভাইস | Techo provoir 4 |
---|---|
ক্যামেরা | 13MQUAD |
ক্যামেরায় | @azizulmiah |
লোকেশন | মাদারীপুর |