পছন্দ ও অপছন্দ নিয়ে লেখা কিছু কথা
পছন্দ ও অপছন্দ নিয়ে লেখা কিছু কথা
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জাত, কাল, ধর্ম, শিক্ষার মেধা যেমন আলাদা ঠিক তেমনি একেকটা মানুষের পছন্দের ও অপছন্দের ব্যাপারটাও আলাদা। তুমি যেমনটা তোমাকে মনে করো তেমনটা হয়তো আমি না। তুমি যা পছন্দ করো তা হয়তো আমি পছন্দ করি না আর তুমি যা অপছন্দ করো তা হয়তো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি আর এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। এই বিষয়টাকে জটিল কিংবা কঠিন করার মতো তেমন কিছুই নেই।
পছন্দ ও অপছন্দ এই দুইটা বিষয় সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এটিকে কেউ চাইলেও জোর করে পরিবর্তন করতে পারবেনা। তবে আমরা সম্মান দেখিয়ে, ভালোবেসে কিংবা নিজের পরিবার ও পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করেই সেই পছন্দ ও অপছন্দের কাজ থেকে বিরত থাকি। এটা হতে পারে খুব স্পেশাল কেউ। বিশেষ করে পরিবারের মানুষজন।
এখানেও দুইটা বিষয় কাজ করে। একটা বিষয় হলো খারাপ কাজে কিংবা মন্দ কাজে আগ্রহী হওয়া, আরেকটা হলো ভালো কাজে আগ্রহী হওয়া। এখন খারাপ কিংবা মন্দ কাজে যদি আমি আগ্রহ প্রকাশ করি সেটি আমার জন্য ভুল। সেই মুহূর্তে আরেকজন তার বিপরীত কাজটা আমাকে করতে বলে। যেমন তুমি কখনো এই কাজটি করতে পারবে না। তখন এটা আমাকে আমার পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও মানতে হবে। যদি আমার মধ্যে কিছুটা বুদ্ধি কিংবা শিক্ষার ছোয়া থেকে থাকে।
এই একটা বিষয় দিয়ে আমি শুধু ছোট একটা উদাহরণ দিলাম। এমন আরো হাজারো বিষয় আছে যা কাছের মানুষ, পছন্দের মানুষ কিংবা পরিবারের মানুষ পছন্দ করে না, তবে আমার সেই কাজটি করাই অনেক পছন্দের। তবুও যদি সেই কাজটিকে আমি ভালো কাজ মনে করে করি আর সবার মনে কষ্ট দিয়ে করি সেটা নিশ্চয় আমার জন্য ভালো কিছু হবে না। কারণ কিছু মানুষ ভালো থাকতে চাই, অল্পতে খুশি হয়ে সুখে থাকতে চায়। আর সেখানে ছোট একটা বিষয় নিয়ে কেন এই সুখটাকে নষ্ট করবো। যদি আপনার মধ্যে বিবেক থাকে কিংবা বুদ্ধি থাকে তাহলে আপনি নিজ থেকেই সেখান থেকে সরে আসবেন কারো মনে আঘাত দেয়ার আগেই।
মানুষ এখন যেটা করতে চাই কিংবা যেটা করতে আগ্রহ প্রকাশ করে সেখানে কোনো ভুল কিংবা খারাপ কিছু খুঁজে পায়না। কারণ তার বিবেক তখন কাজ করে না। সে মনে করতে থাকে সে যেটা করছে এটা হয়তো খুব স্বাভাবিক একটা বিষয় আর এটাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। কিন্তু একই কাজ যদি কেউ তার বিপরীতে করে তখন সে এটাকে উপলব্ধি করতে পারে, তখন তার বিবেকের ঘন্টাটাও বেজে উঠতে থাকে।
পছন্দ ও অপছন্দ এই দুইটা শব্দ খুবই সাধারণ, যদি সেটাকে Sacrifice করা হয়। এমন অনেক গুলো বিষয় আছে যা খুব সহজে অপছন্দের হলেও Sacrifice করা যায়, আবার কিছু বিষয় একটু কষ্ট হলেও Sacrifice করা যায়। তবে Sacrifice করা যায়না এমনও অনেক কিছু আছে। তখন হয়তো নিজেকে কন্ট্রোল করা যায়না। অপর মানুষটা শুধু বুঝতে পারে না যে এটা সত্যি আমার করা উঠিত হয়নি।
সংসার জীবনেও এমন অনেক কিছু আছে যা Sacrifice করে চলতে হয়। সবকিছু নিয়ে তর্ক করলে কিংবা সবকিছু নিয়ে পড়ে থাকলে হইতো সংসার সংসারের মতো করে আগায় না। আমার আগে চিন্তা করতে হবে সংসারের কথা, তারপর অন্য কিছু। সুখের জন্য মানুষ তো অনেক কিছুই Sacrifice করে। কখনো কখনো কেউ নিজের জীবনটাকেও Sacrifice করে দেয়। তাই নিজের কিছু পছন্দের কাজকে বলি দিয়ে ভালোবাসার মানুষকে সম্মান করা উচিৎ। হয়তো এতে সে নিজেই আমার হাজারো ভালো কোনো পছন্দের কাজে সাহায্য করবে।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
হাতের পাঁচটি আঙ্গুল যেমন সমান নয়,তেমনি সবার পছন্দ এবং অপছন্দও এক নয়। আল্লাহ তায়ালা সবার মন মানসিকতা সেভাবেই তৈরি করে দিয়েছে। সবার পছন্দ এবং অপছন্দ একরকম হলে তো বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হতো। যাইহোক সংসার জীবনে সুখী হতে চাইলে অবশ্যই অনেক সেক্রিফাইস করে চলতে হয়। নয়তো বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে, এতে করে সংসার একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সাথে আমি এক মত । কিন্তু কিছু সময় আমরা যখন আমাদের ভালোবাসার মানুষের জন্য কোনো পছন্দের কাজকে স্যাক্রিফাইস করি তখন আমাদের মনেও একটা আশা জন্মায় যে তারাও হয়তো আমাদের জন্য কিছু স্যাক্রিফাইস করবে । কিন্তু সব ক্ষেত্রে এইরকম হয় না । তাই আমাদের বার বার কষ্ট পেতে হয় ।
একদমই সঠিক কথা বলেছেন আপনি সবার পছন্দ এক নয়।আমার যা পছন্দ তা অন্য কারো নাও হতে পারে আবার অন্য কারো পছন্দ আমার পছন্দের তালিকায় নাও থাকতে পারে।সংসার জীবনের খুব সুন্দর কথা তুলে ধরেছেন পছন্দ অপছন্দের বিষয়ে ও মানিয়ে চলার বিষয়ে যা বেশ ভালো লাগছে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
সেজন্য প্রতিটা মানুষের ভালো মন্দ খারাপ দিক বিবেক দিয়ে বিচার বিবেচনা করার বোধগম্য থাকতে হবে। বিবেক দিয়ে কাজ না করলে সেই কাজটি সঠিক হচ্ছে না বেঠিক হচ্ছে বুঝতে পারা যায় না । আজকে দারুন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন হয়তো আমাদের সমাজে অনেকেই রয়েছে যেখানে তার বিবেকের কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত। খুব ভালো লাগলো আপু শিক্ষণীয় কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু এতদিন আপনার কবিতা পড়ে মুগ্ধ ছিলাম। আজ আপনার জেনারেল রাইটিং ও কিন্তু আমায় অনেক মুগ্ধ করেছে। শুধু সংসার নয় , সব জায়গাতেই যে সবার পছন্দ এক রকমের হবে সেটা কিন্তু নয়। অন্যের ভালো লাগা গুলো কে প্রাধান্য দিয়ে চলতে পারলেই কিন্তু জীবন হবে সুন্দর এবং শান্তির জায়গা। বেশ ভালো ছিল আপু।